somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঐতিহ্যবাহী কুড়িগ্রাম জেলার বেশ কিছু খ্যাতিনামা জ্ঞানী ব্যাক্তির নাম

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবি সৈয়দ শামসুল হক । জন্ম ফুলবাড়ী উপজেলা। তার সহ ধর্মীনি
ক‌বি হা‌মিদা সরকার।

শহীদ লেঃ আবু মঈন মোঃ আসফাকুস
সামাদ বীরউত্তম জন্ম য‌দিও ঢাকায় ত‌বে ৭১ রনাঙ্গ‌নে কু‌ড়িগ্রাম জেলায় বীরউত্তম খ্যা‌তি পে‌য়ে‌ছেন।

সৈয়দ মনসুর আলী টুংকু বীরবিক্রম
জন্ম আসাম। ভারত বিভক্তির পর
কুড়িগ্রামে অগমন। বিমান বাহিনীর
চাকরি ছেড়ে মুসলিম লীগে যোগ
দেন। কুড়িগ্রামের মানুষের কাছে
তিনি ”গরীবের বন্ধু টুংকু ভাই”
হিসেবে পরিচিত।

মোঃ বদরুজ্জামান মিয়া বীরপ্রতীক
জন্ম ফুলবাড়ী। ৯ মার্চ ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাকবহিনীর
গোলাবর্ষ‌নে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ‘৭১
মার্চে তাঁর নেতৃতেই ফুলবাড়ীতে
সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। স্থানীয়
মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে একটি
ইউনিট গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি
শিরোনামে তাঁর রচিত একটি গ্রন্থ
আছে।

আব্দুল হাই সরকার বীরপ্রতীক
জন্ম কুড়িগ্রাম। প্রথম ব্যাচে যে ১০ জন
মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে রণাঙ্গনে
আসেন তাদের একজন আঃ হাই সরকার।
তার নেতৃত্বে ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম
শহর পাকহানাদার মুক্ত হয়।

কাজী ইমদাদুল হক:
জন্ম কুড়িগ্রাম। ১৯২১ সালে অসহযোগ
আন্দোলনের নেতৃস্থানীয়। গান্ধীর
স্বদেশি আদলে ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠা
করেন ভোগডাঙ্গা রুরাল উইভিং
স্কুল। কাজী ইমদাদুল হক বঙ্গীয়
প্রাদেশিক পরিষদে ৩৫ বছর
প্রতিনিধিত্ব করেন। তাকে সংসদে
‘উত্তরবঙ্গের বাঘ’ বলা হতো।

বিজ্ঞানী সতিশ চন্দ দাস গুপ্ত:
জন্ম কুড়িগ্রাম। ব্রিটিশ বিরোধী
আন্দোলনের নেতা ও বাংলার
গান্ধী নামে পরিচিত। নারীমুক্তি,
হরিজন উন্নয়ন, অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ
আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি
মাতগুড় থেকে এ্যালকোহল,
রেক্ট্রিফাইড স্প্রিট এবং
সালফিউরিক এসিড তৈরি করেন।
অগ্নিনির্বাপক ফায়ার কিং,
বর্তমানের পরিচালনযোগ্য টিউবয়েল,
সাশ্রয়ী রঞ্জন পদ্ধতি, গোবরের গ্যাস
প্লান্ট, বাঁশের ছিলকা দিয়ে
স্বল্পমূল্যের কাগজ, দড়ি ও সুতলি তৈরীর
ক্ষুদ্র মেশিন প্রভৃতি আবিষ্কার করেন।

আব্দুল হাই শিকদার:
জন্ম ভূরুঙ্গামারী। কবি, লেখক ও
সাংবাদিক। নজরুল ইনস্টিটিউটের
সাবেক নির্বাহী পরিচালক।
সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি
বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ
করেন।

রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ (ভোলা
মিয়া) জন্ম কুড়িগ্রাম। ১৯৭০-এ এমএনএ
নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে ছয় নম্বর
সেক্টরে রাজনৈতিক দায়িত্ব
সফলভাবে পালন করেন। ১৯৭৩, ১৯৭৯,
১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে সাংসদ এবং
চারবার মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিলেন।
স্পিকার হিসাবেও দায়িত্ব পালন
করেন।

পানাউল্লাহ আহমেদ:
জন্ম কুড়িগ্রাম। তিনি ১৯২৭ সালে
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যোগ
দেন। উত্তরবঙ্গের তিনি প্রথম মুসলিম
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। ১৯৪৭-এর পর যে
ক’জন বাঙালি পূর্ব পাকিস্তানকে
উন্নয়নের ধারায় সংযুক্ত করতে
চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম
প্রধান ছিলেন তিনি।

মেজর জেনারেল (অব) আমসাআ আমিন:
জন্ম উলিপুর।’৭১-এ সেনাবাহিনীর
ক্যাপ্টেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তান
থেকে বিমান নিয়ে পালানোর সময়
বন্দী হন। সেখান থেকে পালিয়ে
ভারতে প্রবেশ করেন।

ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ আলী মন্ডল:
জন্ম রাজারহাট: মুক্তিযোদ্ধা,
সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল হিসাবে অবসর নেন।
ডিজিএফআইয়ের পরিচালক ছিলেন।

মোহাম্মদ আবু হাফিজ :
জন্ম রৌমারী। সিলেটের বিভাগীয়
কমিশনার, জেলার ডিসি এবং
সরকারের সচিব ছিলেন। বর্তমানে
নির্বাচন কমিশনের কমিশনার।

বিচারপতি এটিএম সাইফুর রহমান লিটন:
উলিপুরের সন্তান। বিলেত থেকে "বার এট ল" করেন। বর্তমানে মহামান্য বিচার পতি হিসাবে কর্মরত আছেন।

মোঃ মাহবুবার রহমান (মাহবুব)জন্ম উলিপুরে, মাননীয় অতিরিক্ত সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন।

মোঃ আলতাফ হোসেন:
জন্ম ভুরুঙ্গামারী : বিলেত থেকে " বার এট ল "করেন। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ছিলেন।

জাহেদুল হক মিলু:
জন্ম নাগেশ্বরী। বাসদ
কেন্দীয় নেতা ছি‌লেন।

ডঃ মোঃ হোসেন আলী ব্যপারী জন্ম কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় তিনি ছিলেন
অধ্যাক্ষ, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

শহীদ রাউফুন বসুনিয়া:
জন্ম রাজারহাট। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ছিলেন।
জাতীয় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়
শাখার সভাপতি। স্বৈরাচার
এরশাদের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা ছাত্র
আন্দোলনের অপরাধে তাকে ১৯৮৫
সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হত্যা করা হয়।

তহমিনা খান ডলি:
জন্ম কুড়িগ্রামে। বাংলাদেশের প্রথম
মহিলা রাষ্ট্রদূত। ১৯৭৯ সালে তিনি
শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের হাই
কমিশনার নিযুক্ত হন।
হামিদা সরকার জন্ম কুড়িগ্রাম। নারী সংগঠক ও লেখিকা। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘আলোর পথে,’ ‘অগ্নিগিরি’ । তার সম্পাদনায়‘জননী’ নামক একটি পত্রিকা প্রকাশিতহয়। কচিকাঁচার মেলা, মকুল ফৌজ,জাগরণী মহিলা সমিতি,
অভিযাত্রিকসহ আরো অনেক
প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন।

ন‌রেন দেব, জন্ম উলিপুর। ঢে‌কি ক‌লের অা‌বিষ্কারক ছি‌লেন।

প্রফেসর ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার:
জন্ম ১৯৫৫ ফুলবাড়ী। মুক্তিযোদ্ধা,
দিনাজপুর মেডি ক্যালজের অধ্যক্ষ।
দেশের অন্যতম সেরা অর্থপেডিক সার্জন।।

ভুরুঙ্গামারীর সামসুল হক চৌধুরী
ছিলেন এমএলএ ও গভর্নর।
কা‌শেম মিয়া অাসাম থে‌কে এসে উলিপু‌রে বস‌তি গ‌ড়েন। তি‌নি পা‌কিস্তা‌নের গভারমে‌ন্টের ‌ডিপু‌টি স্পীকার ছি‌লেন।

৭১ এ বি‌শেষ অবদানে খেতাব প্রাপ্ত দুজন নারীর ম‌ধ্যে ক‌ুড়িগ্রা‌মের বীরপ্রতীক তারামন বি‌বি।

৭১ র স্বাধীনতা যু‌দ্ধে বি‌শেষ অবদান রাখায় বীর‌বিক্রম উপা‌ধি‌তে ভূ‌ষিত হন শওকত অালী, চিলমারী।

অধ্যাপক এম এ ম‌তিন জন্ম উলিপুর। শিক্ষা বো‌ডের সা‌বেক সহকারী প‌রিচালক ছি‌লেন।

এস‌পি শাহ‌রিয়ার ক‌বির জন্ম কু‌ড়িগ্রাম।

ড. মাহফুজার রহমান, জন্ম রাজারহাট
বর্তমান ভূ‌মি সংস্কার বো‌ডের চেয়ারম্যান।

ড. খন্দকার শ‌হিদুল ইসলাম, উলিপুর
‌বিশ্বব্যাং‌কের কা‌ন্ট্রি ম্যা‌নেজার ছি‌লেন।

‌গোলাম হাবীব, চিলমারী
ছিলেন প্রধান বন কর্মকর্তা।

অাব্দুল অা‌জিজ , চিলমারী
RAB এর মহাপ‌রিচালক ছি‌লেন।

ফুলু সরকার ,উ‌লিপুর
বাংলা‌দেশ অাওয়ামী যুবলী‌গের সাধারন সম্পাদক ছি‌লেন।

অাব্বাস উদ্দিন
ভাওয়াইয়া সম্রাট।

শিল্পী কছিম উদ্দিন ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সময় কন্ঠ যোদ্ধা এবং ভাওয়াইয়া গানের রচয়িতা ও কন্ঠ শিল্পী।

এবং বতর্মান বাংলা‌দেশ ছাত্রলী‌গের কান্ডারী সভাপ‌তি রেজয়ানুল হক শোভন চৌধুরী ভুরুঙ্গামারীর কৃ‌তি সন্তান।

অজানা অা‌রো অ‌নে‌কে র‌য়ে‌ছেন যারা কু‌ড়িগ্রা‌মের কৃ‌তি সন্তান কু‌ড়িগ্রাম‌কে সমৃদ্ধ ক‌রে‌ছেন। "সংগ্রহিত"
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×