আজ বিকালে ফেবুতে ঢুকে দেখি সফল তারকা দম্পতি তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদ। বেশ কিছুদিন গুঞ্জন শুনছিলাম, আজ তা সত্যি হলো। মিডিয়ার বদৌলতে তাদেরকে সফল জুটি হিসেবেই দেখা গিয়েছিল। তাহসান সফল সঙ্গীত শিল্পী, কালেভদ্রে জনপ্রিয় অভিনেতা। বাংলার নারী সমাজে আবাল-বৃ্দ্ধ-বনিতার জাতীয় ক্রাশ সে। আই.বি.এ. গ্র্যাজুয়ট তাহসান একটি নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও। অন্যদিকে তন্বী মিথিলারও কালেভদ্রে গান শোনা যায়, বেশ কিছু নাটকের নায়িকাও সে। বর্তমানে কোন এক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী। যতদূর জানি দু'জনার প্রেম করে বিয়ে। ছোট একটা বাচ্চাও আছে। মিডিয়ার স্রোতের বিপরীতে আদর্শ যুগল হিসেবে সর্বজনবিদীত ছিলেন এরা দু'জন।
কিন্তু তারপরও তাদের প্রেমের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা এসেছিল, ঝড় এসে তাদের সাজানো সংসার চূরমার করে দিল অবশেষে। শিশুকন্যাও তাদেরকে এক রাখতে পারল না। তাদের বিচ্ছেদের কারন কি?-তারা দু'জন ও তাদের কাছের মানুষজনই জানবে ভালো। তবুও মিডিয়ার বিশ্লেষণ ও মাতামাতিতে আমরা কিছু জানতে পারবই।
দিনের শেষভাগে এসে শুনতে পাই, বিশ্বখ্যাত ব্যান্ডের বিখ্যাত রকস্টার চেস্টার বেনিংটন নাকি ফাঁসি নিয়েছে। লিংকিন পার্ক খুবই বিখ্যাত ব্যান্ড এবং আমারও বিশেষ পছন্দের অন্যতম। সেই স্কুল বয়স থেকে ওদের গান শোনা। শুরুর দিকে মেটাল গান আমার কোমল কানের জন্য বিশেষ সুখকর ছিল না। কিন্তু বড় হতে হতে ওদের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছেই বৈ কমছে না। সেই প্রিয় ব্যন্ডের পরিচিত কণ্ঠের লোকটি কেন কোন দু:খে আত্মহত্যার মত এই জঘন্য কাজটি করতে গেল, বুঝতে পারছি না।
ওপরে আলোচ্য দু'ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে, সফলতার শিখরে থেকেও এরা কেউ সুখী ছিলেন না। না তাহসান-মিথিলা জুটি দেশসেরা জুটি হয়েও তাদের সংসারে সুখী ছিলেন, না চেস্টার তার জগৎজোড়া খ্যাতিতে তুষ্ট ছিলেন। দু'দিকে দু'টি বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে গেল।
আমরা এখন টিভির পর্দায় একটা চমৎকার জুটি দেখা থেকে বঞ্চিত হব। আর চাইলেও আর চেস্টার ভরাট কণ্ঠের নতুন নতুন গান আর শুনতে পাব না। জানি না লিংকিন পার্ক কি আর আগের মত সেই "অসাম" থাকবে।
সফলতাই শেষ কথা নয়, শেষ কথা হল কে, কোথায়, কতটা সুখী। বিশ্বায়ণের যাতাকলে, ব্যস্ততার নিষ্পেশনে আমরা মানুষ যতটুকু, তারচেয়ে বেশি যন্ত্র। জগতের সকল মানুষ সুখে থাক।
আর কারো ঘর না ভাঙুক, তারচেয়েও বেশি আর কেউ যেন নিজের জীবন অকালে না বিলিয়ে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৫