১৪২৫ বঙ্গাব্দ চলে এল। ১ বৈশাখ- আমার আম্মুর জন্মদিন। আম্মুকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আমার পরিবার সাধারণ বাঙালি পরিবার। এমন উপলক্ষ পালনে অভ্যস্ত নয়। তবুও মাঝে মাঝে আমি আর ছোট বোন মিলে আব্বু-আম্মুর বিবাহ বার্ষিকী, আব্বু বা আম্মুর জন্মদিন টুকটাক উদযাপন করি। আমার আর আমার ছোট বোনের জন্মদিনই আমার পরিবারে নিয়মিত উদযাপিত হয় না সেভাবে। আমাদের দুইজনের জন্মদিনের উদযাপন বলতে
সাধারণত আম্মুর বাসায় পোলাও বা বিরিয়ানি টাইপ কিছু রান্না করা। আব্বু-আম্মুর কোন উপলক্ষে আমি আর আমার বোন গোপনে কেক এনে চমকে দেই মাঝে মাঝে। তখন তারা বলে, ধুর, এগুলা করছ কেন? এগুলা করা ভালো না। ইত্যকার কথা বলে। আনু্ষ্ঠানিক উদযাপনের ব্যপারগুলো এখনও আমার পরিবারে তেমন চলে না।
অনেক দিনের কিছু লালিত স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয়ার ঠিক দোড়গোঁড়ায়। আর একটি ধাপ পার হলেই জীবনটা পুরাই সেট হয়ে যাবে। কিন্তু ধাপটি অনেক কঠিন। এখনও আশায় আছি। অনেকদিন ধরে অপেক্ষায় আছি। অপেক্ষার অবসান হবে খুব শীঘ্রই। ফলাফল আমার পক্ষে আসতে পারে, আবার বিপক্ষেও যেতে পারে। খুব করে চাইছি আমার পক্ষে আসুক তা। আমার পরিবারের লোকজন হয়তো আমার চেয়েও বেশি চাইছে। তাঁদের জন্য হলেও চাচ্ছি খুব করে আমি। আল্লাহর কাছে এই বছরে চাওয়া এই একটাই- যেন পেয়ে যাই এবারই।
দেশটা এগুচ্ছে। আরো এগিয়ে যাক এই নতুন বছরে। মানুষগুলো ভালো থাক। পরিপূর্ণ ভালো না থাকলেও যতটুকু পারুক ভালো থাক মানুষগুলো। দেশটা এগিয়ে নিয়ে যাক। জীবনগুলো সুন্দর হয়ে উঠুক। জীবনগুলো নিরাপদে কাটুক।
অযথা বাক্যব্যয় করে আর কষ্ট না দেই আপনাদের। শুধু বলব উদযাপন হোক শতভাগ বাঙালিয়ানায়, পাশ্চাত্যের উদ্দামতায় নয়। আর ভীড়ের মধ্যে প্রতিটি নারী নিরাপদে থাকুন। প্রতিটি পুরুষের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা বজায় রাখুন। উৎসব হোক কলুষমুক্ত, ভয়হীন, নিরাপদ।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুধু ১৪২৫-ই নয়, সামনের বছরগুলোও প্রতিটা বাঙালির নিরাপদে কাটুক। ভালো কাটুক। ভালো থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৯