সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কোনো প্রত্যক্ষ্য অভিজ্ঞতা নাই।যা আছে তা সম্পূর্ণ কিছু ফিল্ম,বই,ডকুমেন্টারী,ইতিহাসে সীমাবদ্ধ।আমি জানি আমি আসলে সঠিক পরিমানে দেশপ্রেমিকও হইতে পারি নাই,আমার স্বীকার করতে দোষ নাই যে আমাদের রাজনীতির লোকজন এই সমাজের প্রতি আমাকে বিষিয়ে তুলেছে।আমি ব্যাক্তি বিচ্ছিন্নতার ফাঁদে পড়ে অস্তিত্বের স্বাধীনতার মধুরতম কথা ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
মুক্তিযুদ্ধ মানেই আমার কাছে আমার অনাগত অস্তিত্বের পূর্বের কিছু বিস্ফোরণ,ধোঁয়াওঠা ছাপড়া ঘর,গুলিতে ছিদ্র হয়ে যাওয়া ভাতের ডেকচি,স্বাধীনতা পরবর্তী নৈরাজ্য এসে আমাকে আরো অস্থির করে তোলে।ভেংগে পড়া সমাজের জন্য আমার দায়বোধ হয়,আমি কিছু করতে গিয়ে ব্যার্থ হই,আমাকে একঘরে করে রাখা হয়।আমি আবার হাল ছেড়ে দেই।শুধু ভেতরে ভেতরে একটা শৈত্যপ্রদাহ ঘটে যেতে থাকে।আমি আর কিছুতেই নড়ে উঠতে পারি না।
কিছুদিন আগে ব্লগার নাজিমউদ্দীনের পুরণো লেখা পড়তে পড়তে হঠাৎ এ ছবিটি চোখে পড়ে।একটা নির্লিপ্ত প্রাতিস্ঠানিক ছবি,অথচ কতটা ঋণাত্নক ইতিহাস তা বহন করে!আমার কারো কাছে কোনো বিষাদ,কিংবা রাগত বাসনাও এখন আর হয়না,কোনো অনুভূতিহীন তবে কন্টকময় প্রাচীরে ঘিরে আমি আমার পোষা কুকুরটিকে নিয়ে বসে থাকি তারকোভস্কির "নস্টালজিয়া"র শেষ দৃশ্যটির মতো করে...
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:২১