ঘটনা-১
বছর তিনেক আগে বিভিন্ন ভার্সিটিতে এডমিশন দিয়ে বেড়াচ্ছি। রুয়েট এ পরীক্ষা দিতে গেলাম। ফেরার জন্য ট্রেনে টিকেট পাব ভাবিনি। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে টিকেট কাউন্টারের কাছে ঘোরাঘুরি করছিলাম, একটা স্ট্যন্ডিং টিকেট হয়ত পেয়ে যাব এই আশায়। এমন সময়, ট্রেনের এক টিকেট চেকার একটা টিকেট নিয়ে হাজির। বেশি না ২০ টাকা বেশি নিল।
যাক ট্রেনে উঠলাম। সিট পড়েছিল একেবারে দরজার পাশে। ট্রেনের ঐ সিটের পিছনে একজন দাড়ানোর মত জায়গা থাকে। উঠে দেখলাম ওখানে এক মহিলা তার ব্যগ বোচকার বসে আছে। বসার ভজ্ঞীটা খুব অদ্ভুত। সে তার শাড়ী দিয়ে ব্যগটাকে পুরাপুরি ঢেকে বসে আছে। যেন কিছু লুকাতে চাইছে। আমার মনে সন্দেহ হল সে চোরাকারবারী হতে পারে, বা মাদক চালানকারী। আমার ধারনা পরে সত্য হয়েছিল।
ট্রেন ছাড়ার আগে রেলওয়ে পুলিশ চেক করছিল। ঔ মহিলার কাছে এসে হাতে থাকা লাঠি উঠিয়ে জিগাইল-
- এই কি তোমার ব্যগে। ওঠো দেখি।
আমি তো মজা পইয়া গেছি। দেখতেছি কি হয়। মহিলা পুলিসগোরে কি যেন ইশারা করল। পুলিশরা তাকে নিয়ে ট্রেনের দুটি কামরার মাঝে যে ফাকা জায়গা থাকে ওখানে গেল। আমি দেখলাম মহিলা তার আঁচল খুলে দশ টকার একটা নোট বের করে দিল। আরও মজার ব্যপার হল এতে করেই পুলিশের মুখ একেবারে চুপ। ওখানে পুলিশ ছিল চার জন। হিসেবে তাদেের ভাগ্যে পড়ল মাত্র আড়াই টাকা। ঘটনা এখানেই শেষ না। পরের স্টেশনে এসে RAB উঠল। চেকাপের জন্য। তখন ঔ পুলিশ এসে মহিলাকে তার ব্যগ সহ নিয়ে গেল অন্য কোথাও। আমি মনে মনে ভাবলাম, দয়টাকার এত দাপট?
ঘাটনা-২
এখন আমি সিলেটে থাকি। গতকাল রাতে বন্দর থেকে বাসায় ফিরছিলাম ফিরছিলাম সিএনজিতে। লামাবাজার পুলিশ ফাড়ির কাছে সিএনজি পৌছুতেই, এক পুলিশ লাঠি হাতে সিএনজি আটকালো। কাগজপত্র দেখতে চাইল। ড্রাইভার নেমে গেল। ফিরে এসে বলল ২০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিছে।তার নাকি কাগজপত্র সব ঠিক ছিল।
বলবেন বাংলাদেশের পুলিশ ঘুষ খাবে এটা আবার অদ্ভুত কি?
অদ্ভুত তাদের ঘুষের পরিমান। ১০ টাকা ২০টাকা।
সত্যিই অদ্ভুত।
কালকের ঐ ঘটনা আমাকে আগের অভিজ্ঞতাটা মনে করিয়ে দিল।
অদ্ভুত মনে হলে জানাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৯