১) "তোমাদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তোমরা বংগবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত সৈনিক।"
২) "এক মাসের মধ্য তোমাদের দাবি যাচাই বাচাই করে বাস্তবায়ন করা হবে।"
------আন্দোলন কারীদের সাথে সচিবালয়ের বৈঠকে ওবায়দুল কাদের---
মাননীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে সুন্দর সমাধানের পথে হাটছিলো ছাত্র সমাজ মেনেও নিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছে ।
.
কিন্তু বিকেলে এই
(পরিষ্কারভাবে বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ চলছে, চলবে। এই রাজাকারের বাচ্চাদের অবশ্যই আমরা দেখে নিব।’ )
---কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী--
বক্তব্যের পরে বিশৃংখলা শুরু হয় উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস।
আন্দোলন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মশিউর রাহমান বলেন "এতো অস্ত্র আর বহিরাগতের উপস্তিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতিতে দেখে নি"
.
আচ্ছা ভিসি'র বাসভবনে হামলা করার কারণ কি? এর উপকারীতা কি? এই হামলা সুস্পষ্ট ন্যায্য দাবি আদায়ের পথ মসৃণ করবে না প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে এইটুকু নিশ্চয় অনুধাবন করার ক্ষমতা তাদের আছে।
এরা মুখোশ পরে এসেছিলো এরা ছাত্র নয়, এরা বহিরাগত। এদের চিহ্নিত করতে হলে আগে বুঝতে হবে কারা কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে? শান্তিপুর্ণ ছাত্র সমাজকে কারা ধাও্য়া পালটা ধাও্য়া করছে? কারা তাদের নিয়ে উলটা পালটা বক্তব্য দিচ্ছে?
মতিয়া চৌধুরী সংসদে বলেছেন "মুখোশ পরে কিসের আন্দোলন? আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবনে কেন হামলা করেছে? তার মানে এই বহিরাগতদের সাথে আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্রদের গুলিয়ে ফেলার অপপ্রয়াশ!
যে যাই বলেন এই আন্দোলনকারি ছাত্র ছাত্রিরা মুখোশ পরতে পারে না এই ছবিগুলিই তার প্রমাণ.
এরা মুখোশ পরার মতো কাপুরুষ নয়! যারা রাইফেলের সামনে একাই আগাতে পারে
আর যাই হোক এরা যে মুখোশ পরবে না এই ছবিগুলিই তার প্রমান, সুতরাং এদের মুখোশধারীদের সাথে গুলিয়ে প্রপ্য ন্যায্য দাবিকে বাঞ্চাল করবেন না, বঞ্চিত করবেন না ন্যায্য অধীকার থেকে। এদের সাথে যে নোংরা পলিটিক্স হইছে এই ছবি দেখেন এই এমপি কার স্বার্থে আন্দোলনকারীদের অত্যাচার করছে?
সে এদেশের ৯৭% ছাত্র ও তাদের অবিভাবকদের কলিজায় আগাত করেছে।
বলছিলাম বংগবন্ধুর বৈষম্য মুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দলে আজ বহিরাগতদের আনাগোনা, মতিয়া চৌধুরী শুধু একাই উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা করে নি, যে ইনু ৭৫ এ ট্যাংকের উপর ঊঠে নেছেছিলেন তিনি বলেছেন " কোটা সংস্কার হবে না কারণ আন্দোলনকারীরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী"
ইকবাল সোবহান চৌধুরী যিনি কিনা গু-আযমদের এদেশে নাগরিকত্ত্ব দেয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ী করেছিলেন তিনি টকসুতে বলেছে "এই আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোদ্ধে"
আর যে অর্থমন্ত্রির জন্য আপনার দল আজ এতো সমালোচিত তিনি বলছেন "এসব বাজেটের পরে দেখা যাবে।"
কোন স্বার্থে কার স্বার্থে এদেশের ৯৭% ছাত্র তাদের অভিভাবককে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে দাড় করাচ্ছে এরা? এরা আও্যামিলিগ কে জনবিচ্ছিন্ন একঘরি করতে চায়। মনে রাখবেন খন্দকার মুস্তাক কিন্তু জাতির জনকের খুব কাছের ছিলো।
আজ নয়তো কাল আপনার হস্তক্ষেপে এই দাবি পুরণ হবে কিন্তু এই হৃদয়বিধারক, মানবতা বিবর্জিত, ছবিগুলি তো হারাবে না, মানুষের অন্তরে যুগ যুগ দাগ কাটবে আওয়ামিলীগ সরকারের শাসন আমলে কোটা পদ্ধতির সং স্কারের জন্য এভাবে নিপিড়িত হয়েছিলো ছাত্র সমাজ।
মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবে এইগুলি আওয়ামি দুঃশাসনের ইতিহাস,
, আমরা আজো যেভাবে ৫২, ৭২, ৭৫, ২১ আগষ্ট, এর ছবি দেখি।
একজন ছাত্রের পরিচয় শুধু ছাত্র হোক, তাকে করুণার আর দয়ার পাত্র করে উপহাস না। জন্মগতকারণে কেউ কোন অধীকারের ভাগিদার হয় না, সে মুক্তিযুদ্ধার ঘরে জন্মে পূণ্য করেছে আর আমি সাধারণের ঘরে জন্মে পাপ করেছি এমন হয়??? এই জন্মে আমার বা তার কোন হাত ছিলোনা। প্লিজ বৈষম্য থেকে সরে আসুন।
যেখানেই বন্যা বাণ মানুষ দুর্দশাগ্রস্থ সেখানেই মাদার অফ হিউম্যানিটি ছুটে যাচ্ছেন রোহিংগাদের কেউ ঠাঁই দেয়নি উনি দিয়েছেন। দেশের অর্থনৈথিক মুক্তি, জীবনমানের উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপায়নে কাজ করে যাচ্ছেন একনিষ্টভাবে, তাঁর এই নিরলস পরিশ্রম আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে স্থান করে নিয়েছেন বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকজন নেতার কাতারে।
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে উত্তাল ছিলো পুরো দেশের সাধারণ ছাত্র সমাজ, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন তাদের দাবির মুল্যায়ন করা প্রয়োজন।
যখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো সেখানে মতিয়া চৌধুরির এমন বক্তব্য জাতিকে খুব হতাশ করেছে। মাত্র ৩% মানুষ মুক্তিযুদ্ধ কোটার আওতায় সেখানে ৯৭% মানুষকে রাজাকার বলার উদ্ধেশ্য কি? এরা কোনদিন আওয়ামিলীগের ভালো চায়নি। জাতির জনকের বিরুদ্ধে কাজ করে গেছে আজিবন। ৭৫ প্রেক্ষাপট জাতি ভুলে নাই। জাতির জনকের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর কথা বলেছিলেন এই মতিয়া চৌধুরী। আজ হয়তো নীতি বদলেছেন কিন্তু আপনার চেহারা বদলে নি।
আপনি এমন বক্তব্য দিয়ে আন্দোলন কারিদের উস্কে দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে মজা নিতে চাইছেন?
আপনি পুরো ছাত্র সমাজ (দেশের ৯৭%) কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযুদ্ধাদের বিরুদ্ধে দাড় করে মুক্তিযুদ্ধাদের
অসম্মান করাতে চাইছেন?
এরা তো কেউ মুক্তিযুদ্ধার বিরোদ্ধে বলে নি এরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছে বংগবন্ধুর ছবি বুকে ধারণ করেছে....
.
মতিয়া চৌধুরির এই নোংরা বক্তব্যের প্রতিবাদ করছি। দেশের ৯৭% মানুষ রাজাকার হলে তুমি কোন মুক্তিযুদ্ধার মেয়ে?
তোমার এই ঘৃণ্য বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত..... ###
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৫