প্রতি রোজাতেই সেহরিতে আমাদের একদিন হুড়মুড় লাগে। সেদিন যে যে যেভাবে পারি ফল, পানি খেয়ে রোজা থাকতে হয়। এবার গত কাল বা পরশু দিন ভাবছিলাম আমাদেরতো এবার এখনো হুড়মুড় লাগলোনা। কিন্তু সেটা যে এত তাড়াতাড়িই ফলে যাবে কে ভেবেছিলো! আম্মার ফোনে এলার্ম দেওয়া থাকলেও আমি ঘুমানোর সময় আমার ফোনেও দেই যদিও আগে ওঠেন আম্মা-ই। তো গতকালও এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়েছি। যথারিতী বেজেছে ৩টায় এবং আমি আবারো ঘুমিয়েছি ! অন্য সময় এলার্ম বন্ধ করে তাকিয়ে দেখি অন্য ঘরের লাইট জ্বলছে, তারমানে আম্মা উঠেছেন। আমি আবার চোখ বন্ধ করে থাকি ডাকের অপেক্ষায় । এটা রোজা ছাড়াও ফজর নামাজের সময় হয়। আগে টের পেলেও আম্মার ডাকের অপেক্ষায় থাকি। তো গতকাল দেখলাম লাইট অফ। তার মানে কেউ ওঠনি। আমি যদি উঠে ডাকি তাহলে আর এই ঘটনা হয়না। কিন্তু আমিতো ঘুমিয়ে পড়েছি আবার।
আম্মা ৪.২০ মিনিট এ এসে বলেন, কীরে কী অবস্থা হইব ৪ টা ২০ বাইজা গেলো। আমি ফোন হাতে নিয়ে সময় দেখে বললাম কী আর হইবো নামাজ পইড়া ঘুমায় থাকো। বলেই আবার চোখ বন্ধ করেছি। আবার আম্মা এসে বলেন তোর ভাইতো বললো ২০ মিনিট সময় আছে তাড়াতাড়ি ওঠ। বুঝলাম তাড়াতাড়ায় মা-ছেলের মাথা গেছে। না উঠলে যা জানি খাওয়াই শুরু করে। উঠে গিয়ে এবার ভাইয়াকে বললাম বাজে চারটা বিশ বিশ মিনিট সময় থাকে কেমনে!
আসলে তাড়াহুড়া করে উঠে ৩.২০ মনে করেছে। । এই বার হুশ হলো।
আমাদের এত্ত হুড়মুড় এর মধ্যে আব্বা একটু নড়াচড়া দিয়ে আবার সুন্দর করে ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি হয়ত ভেবেছেন যাক আজকের মত সেহরি খাওয়া থেকে বাঁচলাম। আব্বা সেহরিতে খেতে চাননা।
শয়তানের বাচ্চা অর্থাৎ বাচ্চা শয়তান পা এমন করে টিপেছে আর মালিশ করেছে যে আরামে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম! কী আর করা, নামাজ পড়ে আবার ঘুম দিলাম।
গত বছরও এরকম হয়েছে সেইদিনও আম্মা সেহরির জন্যে শাক দিয়ে মাছ রান্না করেছেন। আজও তাই হয়েছিলো। টবে লাগানো মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু ও পুঁইশাক দিয়ে মাছ রান্না করেছিলেন। আর শাক দিয়ে মাছের ঝোল আমার সবারই খুব পছন্দ। কিন্তু ঐ যে কপালে না থাকলে খাবো কী করে।
আজকে দেখি ফ্রেন্ডে বাসায় ইফতারের দাওয়াত পেলাম। বললাম সুন্থ থাকলে যাবো। যাক দিন মনে হয়না খারাপ যাবেনা, আল্লাহ ভরসা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২০