somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোথায় আছো, কেমন আছো আমার ছোট্ট বেলার বন্ধুরা

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি পুরনো দিনে ফিরে যেতে চাই না, ফিরে পেতেও চাই না তেমন কিন্তু সেই সব দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে খুব পছন্দ করি। মাঝে মাঝেই বসে সেসব দিনের কথা ভাবি। ইচ্ছে মতন বিচরন করে আসি সেই জগতে। মাঝে মাঝেই আমি ভাবি আমার স্কুল লাইফের কিছু সহপাঠীর কথা। ভাবি..
সানি'র কথা: ধবধবে ফর্সা গায়ের রং, টকটকে লাল ঠোঁট জোড়া ছিল তার। দুপুরে আমাদের বাসায় আসলে দুজনে খেলতাম। কোথায় আছে মেয়েটা এখন, কেমন আছে। হয়ত বিয়ে হয়েছে, বাচ্চার মা হয়েছে। ওর কী মনে আছে আমার কথা....কে জানে.....

প্রেমা'র কথাও ভাবি মাঝে মাঝে, সানির মতই ছিল অনেকটা। ছোট্ট খাটো মেয়েটা। খুব সম্ভবত ক্লাশ টু-তে পড়তাম তখন। একদিন ক্লাশে হৈচৈ পড়ে গেল গন্ধে। আবিষ্কার হল টয়লেট চেপে ছিল, কোন কারনে বাথরুমে যেতে না পেরে প্রেমা ক্লাশেই বড় টয়লেট করে দিয়েছে। =p~ । ওর কী মনে আছে এখনো এসব কথা...

ইমনে'র কথা আগেও ব্লগে লিখেছিলাম। ওর দেওয়া সুতার লাল পুতুলটার মিস করি। মাঝে মাঝে মনে হয় পুতুলটা না হারালেও হতো। ইমন এখন জেন্টল ম্যান হয়ে গেছে নিশ্চই। ক্লাস ওয়ানের সেই বন্ধুর কথা নিশ্চই ওর মনে নেই এখন। না থাকাটাই স্বাভাবিক। আমার মতন বেকার ক'জনাই আছে!! :)

মামুন নামে একটা ছেলে ছিল, মোটুসোটু ছেলেটা আমাকে এত্ত এত্ত স্টিকার দিত। এখন কখনো দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম সেই কথা ওর মনে আছে কিনা। বলতাম এক পাতা স্টিকার দিতে। :P B-)

তাপসী, ছোট খাটো মোটু মেয়েটা, রাগলে যাকে ভুটকী বলতাম আর ও রেগে যেতো তাও কেন যেনো অনেক খাতির ছিল ওর সাথে। অনেক দিন আগে শুনেছিলাম বিয়ে হয়েছে ওর। কেমন আছে, কেমন হয়েছে কে জানে। দু'একবার ওদের বাসায় গিয়েছিলাম এখনো সেখানে আছে কিনা, আর আমিও বাসা ঠিক খুজে পাবো না তাই মাঝে মাঝে ইচ্ছে করলেও খোজ নিতে পারিনা।

শাকেরা মেয়েটা আমার এক বছরের জুনিয়র ছিল। এক টিচারের বাসায় এক সাথে পড়তাম সেখান থেকে সখ্যতা হয়েছিল দুজনের। কত্ত দুষ্টুমি যে করতাম দুজন মিলে, ও ছিল পাজির পা ঝাড়া। দুজনে পড়তে গিয়ে একদিন বের করলাম "মুলা খেলে পাদ হয়" এটার আরবী কী সেটা জানতে হবে আমাদের। কীভাবে করি কীভাবে করি ভেবেই পাচ্ছিলাম না। টিচারকে তো আর পুরো বাক্য লিখে বলা যায় না যে এটার আরবী করে দেন। শেষে দুজনে ঠিক করে মুলা আরবী জানলাম। আবার বাকী পাদ। কী করি কী ভাবেই পাচ্ছিলাম না। শেষে দুজনে বের করলাম পাদ হয়ে বাযু সুতরাং বায়ু আরবীটা জানলেই চলবে। তাই করেছিলাম। এখনো খুব হাসি ঘটনাটা মনে করে। =p~ =p~ । শুনেছি ইন্টার পাশ করার আগেই বিয়ে হয়ে গেছে মেয়েটার। ভাল থাকুক, খুব ভাল থাকুক মেয়েটা।

আরো কত কত মানুষের কথা যে মনে পড়ে। সবাই খুব ভাল থাকুক নিজ নিজ অবস্থান থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৩
১৬টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×