somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিছু ডাক....আবজাব কথামালা....কিছু গুজব!!

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পিছুটান, পিছুডাক ব্যাপারগুলো কারো জন্যেই ভাল না। আমি সব সময় একটা ব্যাপার মাথায় রাখি। ঠিক মাথায় রাখি না বলে নিজেকে শোনাই বলা ভাল, তা হলো "যেতে হবে অনেক দূর পেছনে তাকানোর সময় নেই।" এটা একপ্রকার কাউন্সেলিং এর মত। যখন দেখি কোন বিষয়ের খপ্পরে পড়ে পিছিয়ে যাচ্ছি, স্মৃতিকাতর হয়ে যাচ্ছি তখন নিজেকে শোনাই এটা। নিজেকেই তাগাদা দেই পেছনে না ফিরে সামনে তাকানোর জন্যে। আমি মনে করি স্বাভাবিক ভাবে একটা মানুষ নিজেই নিজের কাউন্সেলর। নিজেকে নিজে যতটা বুঝবো অন্য কেউ তা বুঝবে না। কী চাই, কী করি আমার চাইতে ভাল কে বুঝে? তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে কারো শান্তনা আশা করি না। তবে সব সময় এতটা শক্ত থাকতে যে পারি তা না। সেই দিকে নাই বা যাই।

শুরু করেছিলাম পেছনে তাকানো নিয়ে। আমি ঘুরে গেলে ফিরে খুব কম তাকাই, কিন্তু কিছু বিষয় এই আমাকেই এত বেশি ডাকে! কিছু স্মৃতি যা আমি মনে না করলেও নিজের অজান্তেই চলে আসে। যেমন আজকের কথাই বলি, শুরুটা একটা স্বপ্ন নিয়ে। আমরা একটা বিল্ডিংএর নিচতলায় একটা ফ্ল্যাটে থাকতাম। তেমন সুন্দর কোন বাসা সেটা ছিল না। তার চাইতে সুন্দর বাসায় ছিলাম ঐ বিল্ডিংয়েই অন্য ফ্ল্যাটে এবং এখন যেটায় থাকি সেটাও কোন অংশে খারাপ না তার পরেও মাঝে মাঝে সেই বাসাটাই আমার স্বপ্নে আসে! হ্যাঁ আমার শৈশবের একটা অংশ এবং কৈশর পার করেছি ঐ বাসায় তবে এমন না আমি খুব কল্পনা করি সেটা নিয়ে। মানুষ বলে যা মানুষ ভাবে তাই রাতে ঘুমের মাঝে দেখে, কিন্তু আমি তো ভাবি না! সেই অন্ধকার বাসা, সেই বারান্দা, বারান্দায় বেঞ্চ পাতা, ফুলের টব, রোদ না পড়ায় ধুকে ধুকে কোন মতে টিকে থাকা গাছ সব দেখতে পাই আমি! কেবল ঢাকার এই বাসা-ই না আমি আমার গ্রামের বাড়ীও দেখি।

আমি দেখতে পাই গ্রামের বাড়ীতে আমার দাদার আমলের পুরনো বাড়ীটা, যেটার অস্তিত্ব আর নেই এখন। আমাদের ঘর সেখান থাকে ভেংগে নিয়ে নতুন জায়গায় করা হয় প্রায় ১২-১৩ বছর আগে। নতুন বাড়ীটা সব দিক দিয়ে অনেক সুন্দর তার পরেও আমার কোন ঘুমের মাঝে একটা বারের জন্যে এই বাড়ীটা দেখেছি কিনা সন্দেহ আছে অথচ অসংখ্যবার পুরনো সেই বাড়ী এসেছে আমার সামনে। অতি সম্প্রতি ছোট চাচা সেই বাড়ী ভেংগে নতুন করে বাড়ী করেন। কোন-ই অস্তিত্ব নেই সেটার আর। আমার ভেতরটা হাহাকার করে সেই বাড়ীর জন্যে। সেই উঠোন, সেই জোড়া রান্নাঘর, বাড়ীর সামনে রাস্তার পরেই আকাশ ছোঁয়া জোড়া শিমুল গাছ, তার পরেই পুকুর পেরিয়ে গাছের বাগান যেখানে দিনের বেলায়ও ভুতুরে গা ছমছমে পরিবেশ থাকে। এত মোটা মোটা কড়ই গাছ যা একজন মানুষ দুই হাতে বেড় পেতো না। কোথায় গেল সেসব! কিচ্ছু নেই, কিচ্ছু না। ঢাকা থেকে বাড়ীতে গেলে রাস্তার পাশে সেই জোড়া শিমুল গাছের নিচে ঝাড়ু, টুকরী দেখলে বুঝতাম আমার দাদু এখানে এসেছেন জ্বালানী পাতা নেওয়ার জন্যে। ছোট খাটো মানুষটাকে ভাল করে খেয়াল না করলে দেখাই যেতো না যে এখানে আছে কোথাও! সেই মানুষটাও নেই। না ফেরার দেশে চলে গেছেন আজকের এই দিনে ৪ বছর আগে। আমি পেছনে তাকাতে চাই না কিন্তু এই বাড়ীটা আমাকে পেছন থেকে টেনে ধরে! সেই উঠোন, রাতে যেখানে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি করে জ্বলা তারা দেখতাম এখনো আমার চোখে সেই দৃশ্য ভাসে। শিমুল গাছের মাথা দেখতে হলে আকাশের দিকে তাকিয়ে আমাকে প্রায় চিত হয়ে যেতে হতো! এত্ত বড় গাছ, আাকাশে তারাদের সাথে গলপ করতো সেই গাছের ডাল-পাতা!

তাহলে যে বলি পেছনে তাকানোর সময় নেই, এইযে পেছনে কতদূর তাকালাম, প্রায়-ই তাকাই, কত সময় নষ্ট করি!
পেছনে তাকানোর অভ্যাস না থাকলে এই ব্লগেই ত আসতাম না! তাও যেখানে আমার নামে মিথ্যা বদনাম উঠেছে তা জানার পরেও সেখানে আসার প্রশ্নই আসে না। স্বাভাবিক ভাবে ভাবলে না আসাটাই উচিত ছিল। আমি সব সময় বলে এসেছি এই ব্লগ থেকে আমি অনেক পেয়েছি। বড় আপু-ভাইয়াসম অনেক মানুষ, যারা আমাকে যথেষ্ট আদর ভালবাসাই দিয়েছেন, পরামর্শ, উপদেশ দিয়েছেন প্রয়োজনে। পাওয়াটা এত বড় ছিল যে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে সেটা কখনো উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে ইদানিং নতুন করে ভাবতে হয়েছে। আমি কারো সাথে কোন প্রকার দন্দ্ব-বিবাদে জড়াইনি আমার জানা মতে কোন শত্রু ছিল না। কিন্তু আমার নামেই এমন কিছু কথা উঠেছে, চলে এসেছে যা আমার কাছে অত্যাশ্চর্য লেগেছে!

আমি জামায়াত শিবির করি ! আমি ব্লগের-ই কারো সাথে প্রেম করি! এমনকি আমি দিল্লিকা লাড্ডু খেয়ে ফেলেছি মানে আমি বিয়ে করেছি !

আমিতো কোন সেলিব্রেটি না যে আমার নামে গুজব উঠবে! গুজব তো সেলিব্রেটিদের নামে উঠে! আমি ভেবেই পাইনি কেন এসব উঠেছে আমার নামে!
যেই নীলু(পছন্দের এই নামটাও ব্লগ থেকেই পাওয়া) ভাবত এখানে কেবল-ই তার ভাই-বেরাদার, আপু-সিস্টারতুল্য মানুষ আছে তারাই এসব কথা ছড়িয়েছেন!

যারা এসব বলেছেন, ছড়িয়েছেন কিসের ভিত্তিতে ছড়িয়েছেন জানিনা, কোন রাজনৈতিক ক্যাচালের পোষ্টে কমেন্ট করিনি, ব্যক্তিগত ভাবে কারো পক্ষ নেইনি। কারো কোন ক্ষতি করেছি বলে মনে পড়েনা। তবে আমার নামে কিসের ভিত্তিতে এসব উঠল ভেবেই পাইনি। সম্মানিত ভাই-বেরাদার, কী লাভ হয়েছে আপনাদের এসব ছড়িয়ে? আমার তো তেমন ক্ষতিও হয়নি, তবে একটা মানুষের নামে মিথ্যা ছড়ানো ঠিক না এই টুকু জ্ঞান আপনাদের নেই এটা আমার মানতে কষ্ট হচ্ছে!

পেছনে ফিরতে না চাইলেও মাঝে মাঝে ফিরতে হয়। ব্লগে আমার পেছনের ভাল সময়টাই মনে করবো। তবে যারা আমার পেছনে এসব কথা রটিয়েছেন আমার মনে হয় না সামনে এসে বলার মুখ আছে আপনাদের। ভাল থাকবেন আপনারা। চোগলখোরী করবেন না। :)

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×