somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সব মেঘে বৃষ্টি হয় না : সংকটে ঢাকাই চলচ্চিত্রের গান

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(আমার এই লেখাটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী মামুন হায়দার সম্পাদিত চলচ্চিত্র্র বিষয়ক জার্নাল 'ম্যাজিক লণ্ঠনে'র ১ম সংখ্যায় প্রকাশিত।ওখানে দেওয়ার সময় লেখাটি কিছুটা সংক্ষেপিত ছিল। এখানে আনকাট লেখাটাই দিলাম)



'Softly,in the dusk,a woman is singing to me;
Taking me back down the vista of years,till I see...............'
- D. H. Lawrence

১.

দি রেইন বা যখন বৃষ্টি নেমেছিল(১৯৭৬) নামে ঢাকার এক বিখ্যাত চলচ্চিত্রের স্বনামখ্যাত গানগুলোর একটি গানের কথা ছিল এ রকম-

'..........পরদেশী মেঘরে আর কোথা যাসনে ,
বন্ধু ঘুমিয়ে আছে দে ছায়া তারে।'

এই গানটির চিত্রায়ন না দেখলে বোধ হয় কোন একজন সুদর্শন যুবা শুয়ে আছে খোলা আকাশের নিচে,ঘাসের বুকে গা ঢেলে দিয়ে।তার অনুরাগী সুন্দরী গলা খুলে মেঘকে ডাকছেন,যেন রোদ পড়ে বন্ধুর ঘুম না ভাঙে.........'আয়রে মেঘ আয়রে'।ঘুম যদি ভাঙেই তবে সেই মেঘে বৃষ্টি নেমে ভাঙুক।

বৃষ্টির শব্দ প্রায়ই ছন্দ মেনে চলে। গানের সুরের মতো।বৃষ্টির নকীব,দূত বা 'হেরল্ড' যাই বলিনা কেন, তার নাম মেঘ । মেঘ ছাড়া বৃষ্টি হয় না।আবার সব মেঘে বৃষ্টি হয় না।কোন কোন সময় মেঘের নাম ছায়া।কোন সময় তার নাম তুলা নয়তো ভেলা।এমনি মেঘের মতো বহু চেতনার মন নিয়ে নিয়ে হাজার-শত বছর ধরে সুরস্রষ্টারা গান বেঁধে আসছেন।

ঢাকার ছবির কয়েক দশকের ইতিহাসে যতখানি স্মরণ করার মতো এর কাহিনী,সংলাপ,চিত্রনাট্য,পরিচালক,অভিনেত্রী-অভিনেতার পরম্পরা,তার চেয়ে যেন কোনভাবেই নিচে নামানো যায় না ঢাকার প্লেব্যাক জগতকে।সুরকার ,গীতিকার ,গায়িকা বা গায়ক।এখানেও একটা আলাদা পরম্পরা আছে,প্রাপ্তি আছে,গর্ব আছে,সম্পদ আছে ।এখানেও আলাদা করে পুষে রাখার মতো হতাশা বা দুর্যোগের অস্তিত্ব আছে।এখানেও মেঘের বিভিন্ন রূপের মতো বিভিন্ন সময় বা ভিন্ন ভিন্ন ধারা খেয়াল করা যায়।





২.
বাংলা চলচ্চিত্রের গানের বিগত দিন



ক.
প্রথম দশা:ইতিহাস


'সঙ্গীত পরিচালনায় -শ্রী সমর দাশ
সাহায্য করেছেন -দেরাজ উদ্দিন
কণ্ঠসঙ্গীতে - মাহবুবা হাসনাত

আব্দুল আলীম '
(মুখ ও মুখোশ,১৯৫৬)

১৯৫৬ সালের আগস্ট মাসের ৩ তারিখে মুক্তি পায় এই ভূ-খণ্ডের প্রথম সবাক ছবি মুখ ও মুখোশ ।মুখ ও মুখোশ এর কাহিনী শুরুর আগে পর্দায় এর সঙ্গীতকার ,তার সহকারী আর দুইজন গায়কের নাম উপরের স্টাইলে লেখা ছিল।প্রশ্ণ উঠতে পারে- 'গীতিকারের নাম কোথায়?' গীতিকারের নাম দেখানো হয় অন্যত্র -নৃত্য পরিচালক, রূপসজ্জাকারের নামের উপরে- বেশ অস্পষ্ট আর কাব্যিক নামটি হয়তো কারও ছদ্মনাম- 'সারথি'।

'ঢাকাই চলচ্চিত্রের ইতিহাস', এক মুঠো চলচ্ছবি (২০১১) এর তথ্য মতে এরপর ১৯৫৯ সালে আরও তিনটি বাংলা ছায়াছবি মুক্তি পায়: আকাশ আর মাটি,এ দেশ তোমার আমার আর মাটির পাহাড়।সাথে ছিল একটি উর্দু ছবি 'জাগো হুয়া সাবেরা' ('ঢাকাই চলচ্চিত্রের ইতিহাস',শর্মা, পৃ ১৪৬)।

মুখ ও মুখোশের একটি মনে রাখার মতো গান হল মাহবুবা হাসনাতের কণ্ঠে- 'মনের বনে দোলা লাগে ,আসল দখিন হাওয়া'।
তবে অনুমান করা যায় ৫০ এর দশক বাংলা চলচ্চিত্রের গানের জন্য খুব বেশি অবদান হয়তো রাখেনি, তবে শুরুটা ছিল ,শুরুর মতো।


এরপর ১৯৬০ সালে মুক্তি পেল রাজধানীর বুকে ,আছিয়া। রাজধানীর বুকে একটি বিশেষ গানের জন্য আজও কিংবদন্তির চলচ্চিত্র হয়ে আছে।এই ছবিতে তালাত মাহমুদের কণ্ঠে ছিল 'তোমারে লেগেছে এত যে ভালো ,চাঁদ বুঝি তা জানে'।সুরকার রবিন ঘোষ ,সহকারী ফেরদৌসি রহমান।এই ছবির গানগুলো লিখেছিলেন কে জি মোস্তফা।



১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আরও কয়েকটি ছবির মধ্যে ছিল শবনম-রহমান অভিনীত হারানো দিন।সুরকার এবারও রবিন ঘোষ।তবে অন্যতম সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে নয় ,এই ছবিতে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ফেরদৌসি রহমান কালজয়ী জনপ্রিয়তা পান 'আমি রূপনগরের রাজকণ্যা' গানটির জন্যে।তার গাওয়া আরও একটি সুন্দর কথার সুরেলা গান ছিল হারানো দিন -এ ,
'এই যে নিঝুম রাত ,ঐ যে মায়াবী চাঁদ
বলে যেন ইশারায় ভেসে চলি দু'জনায়।'

আবারও রবিন ঘোষ ।এবারে ঢাকার উর্দু ছবি চান্দা র জন্যে সঙ্গীতায়োজন করলেন।'আঁখিয়া তোরি রাহনি হারে,ও পারদেসিয়া' -গানে আবারও মুগ্ধ করল ফেরদৌসি রহমানের কণ্ঠ।ষাটের দশকের গানে অপরিহার্য হয়ে উঠলেন তিনি।এই সালের অন্য একটি ছবি নতুন সুর বেশ উল্লেখযোগ্য কারণ এই ছবিতে ফেরদৌসি রহমানরে সহশিল্পী হিসেবে গান করে বাংলা ছবির প্লেব্যাক আঙিনায় পা রাখেন সাবিনা ইয়াসমীন, পরবর্তীকালে যিনি ঢাকার সিনেমার গানে সর্বাধিক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা।



১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষ আবার কাজ করলেন তালাশ ছবিতে।জহির রায়হানের কাচের দেয়াল ছবিতে খান আতা সঙ্গীতের কাজ করলেন,গান লিখলেন এমনকি গাইলেন ।
'শ্যামল বরণ মেয়েটি ,ডাগর কালো আঁখিটি
না না তার নাম বলব না'

১৯৬৪ তে এল সুভাষ দত্তের সুতরাং ।কাহিনীর পাশাপাশি এই ছবির জন্য গান লিখলেন সৈয়দ শামসুল হক ।'তুমি আসবে বলে ,ভালোবাসবে বলে','আজকে বুবুর গায়ে হলুদ''চাঁদ বাঁকা জানি'।সঙ্গীতের কাজ করেছিলেন সত্য সাহা। ফেরদৈসি রহমান আর মুস্তফা জামান আব্বাসি ,ভাই -বোন, মিলে বেশ মজার এই গানটা করেন
' চাঁদ বাকা জানি ,গাঙ বাঁকা মানি ,
তাহার চেয়ে আরও বাঁকা তোমার ছলনা।'


১৯৬৫ সালে মুক্তি পেল রূপবান।নীনা খানের গানে, মুগ্ধ সুজাতার দু:খে ব্যাকুল, হলমুখী অসংখ্য মানুষ।মূলত গান নির্ভর এই রূপকথাভিত্তিক ছবির গানগুলো ছিল প্রায় একই সুরের ,কাহিনী ভিত্তিক।যেমন:'আমার নিদারূণ শাম,তোমায় নিয়ে বনে আসিলাম','শোনো তাজেল গো ,মন না জেনে' ,'বাড়িরও না দখিন পাশে গো' ইত্যাদি।সত্য সাহার সঙগীতে এই ছবিতে আরও গান করেন আব্দুল আলীম,ইসমত আরা,কুসুম হক ও নজমুল হোসেন ।

১৯৬৬ সালে কাগজের নৌকা গানের জন্য খ্যাতি লাভ করে ।১৯৬৭ সালে আনোয়ারা ,নয়নতারা ,সয়ফুলমুলক বদিউজ্জামাল ,আয়না ও অবশিষ্ট ইত্যাদি ছবির মাঝে গানের জন্য উল্লেখযোগ্য হল আয়না ও অবশিষ্ট।ফেরদৌসি রহমান গাইলেন-
'যার ছায়া পড়েছে মনেরও আয়নাতে
সেকি তুমি নও ওগো তুমি নও'



১৯৬৮ তে সত্য সাহা আবির্ভাব ছবির সঙ্গীত করেন ।তিনি নিজেও একটি গান গেয়েছিলেন এই ছবিতে -'ভাবী যেন ণাজুক লতা'।এই ছবিতে আন্জুমানারা বেগমের কণ্ঠে 'সাতটি রঙের মাঝে আমি মিল খুঁজে না পাই' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।এই সালের অন্যান্য ছবির মধ্যে বাংলা রাখাল বন্ধু,সাত ভাই চম্পা এবং উর্দু ছবি তুম মেরে হো গানের জন্য উল্লেখ করার মতো।

১৯৬৯ সালে ময়নামতি ছবিতে 'অনেক সাধের ময়না আমার ' এই আবেগি আর বিরহী গান দিয়ে মাত করেন বশীর আহমেদ।মনের মতো বউ ছবিতে খান আতা সাবিনা ইয়াসমীন কে দিয়ে করান আরেকটি কালজয়ী গান 'এ কী সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে।' নীল আকাশের নিচে ছবিতে গান গেয়ে সুনাম অর্জন করেন মাহমুদুন্নবী।এই ছবিতে শিরোনাম গানটি করেন খন্দকার ফারুক আহমেদ -
'নীল আকাশের নীচে আমি রাস্তা চলেছি একা,
এই সবুজের শ্যামল মায়ায় দৃষ্টি পড়েছে ঢাকা।'


১৯৭০ সালে মুক্তি পায় গান নিয়ে গর্ব করার মতো বেশকিছু ছবি -একই অঙ্গে এতো রূপ,আপন পর,দর্পচূর্ণ,যোগ বিয়োগ,মধু মিলন,পীচ ঢালা পথ এবং স্বরলিপি।দর্পচূর্ণ ছবিতে সাবিনা ইয়াসমীন ও মাহমুদুন্নবীর কণ্ঠে 'তুমি যে আমার কবিতা' গানটি কিংবদন্তীতুল্য হয়ে ওঠে।মধূমিলন ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন বশির আহমেদ।পীচ ঢালা পথ ছবিতে রবিন ঘোষের সুরে আব্দুল জব্বার গান 'পীচঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি' আর শাহনাজ রহমতুল্লাহর কণ্ঠে ওঠে,'ফুলের কানে ভ্রমর এসে চুপি চুপি বলে যায়'।তবে এই সালের স্বরলিপি ছবিটি অন্য একটি কারণে মনে রাখার মতো।এই ছবিতে গান গেয়ে কোন বাংলা ছবির জন্য প্রথম প্লেব্যাক করেন তখনকার উর্দু সিনেমার ব্যস্ত কিশোরী গায়িকা রুনা লায়লা।ছবিটি পরিচালনা করেন নজরুল ইসলাম,গান লেখেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ,সুর করেন সুবল দাস।রুনা লায়লার গানটি লাহোর গিয়ে রেকর্ড করে আনেন তাঁরা ।




এই সালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি বলতে হবে জীবন থেকে নেয়া কে (উইকিপিডিয়ায়এ সঙ্কান্ত ভুক্তি,)।খান আতাউর রহমান জহির রায়হানের এই ক্লাসিক ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব নেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশ পর্যায়ের 'আমার সোনার বাংলা' গানটি এই ছবিতেই প্রথম ব্যবহার করা হয়।নজরুলের 'কারার ঐ লৌহ কপাট' সহ এই ছবির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে ছিল খান আতার নিজের গাওয়া 'এ খাঁচা ভাঙব আমি কেমন করে'।


খ.
দ্বিতীয় দশা:ইতিহাস ও প্রায়-বর্তমান




১৯৭১ সালটা আমাদের জন্য পুরোপুরি ইতিহাস নয় কখনওই। কারণ আমাদের বর্তমান অস্তিত্ব এখনও তাকে ধারণ করে বর্তমান।তবু তো অতীত ,আজ থেকে ৪০ বছর আগের সময়।

সজল শর্মার 'ঢাকাই চলচ্চিত্রের ইতিহাস' এ সংগৃহিত তথ্যমতে ১৯৭১ সাল মুক্ত পায় ৬ টি বাঙলা আর ২ট উর্দু ছবি( একমুঠো চল্চ্ছবি,পৃ ১৪৬)।এর মধ্য গানের জন্য অনবদ্য নাচের পুতুল।এই ছবিতে মাহমুদুন্নবীর কণ্ঠে 'আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন' গানটি ব্যাপক সাড়া ফেলে।

স্বাধীনতার পরে ওরা এগারো জন নির্মাণ করেন চাষী নজরুল ইসলাম।'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ' গানটির চিত্রায়ন হয় বেশ আবেগি ভাবে,গানের বক্তব্য মিশে যায় সুরের সাথে।

কাজী জহিরের অবুঝ মন (১৯৭২) ছবিতে সাবিনা ইয়াসমীন গাইলেন,
'শুধু গান গেয়ে পরিচয় ।
চলার পথে ক্ষণিক দেখা,
একি শুধু অভিনয়।'

সাবিনা ইয়াসমীনের এই তুমুল জনপ্রিয় গান শুধু তার ক্যারিয়ারে নয় বাংলা প্লেব্যাক জগতের অন্যতম টার্নিং।তিনি এই জগতে নিজের অবস্হান যেন সদর্পে পাকা করে নিলেন।পরের বছর রংবাজ (ইংরেজি নাম The Romeo)(The Brief History of Bangladesh Cinema, Anupam Hayat)ছবিতে গাইলেন 'সে যে কেন এলো না'।মানুষ তখন থেকেই এই গায়িকার নাম মাথায় রেখে গান শোনা শুরু করল।রংবাজ চিরাচরিত রোমান্টিক জগত থেকে বের হয়ে ঢাকার ছবিতে অ্যাকশনের যে ধারার সূচনা করে,যে রং লাগায়,গান গুলোও সে যাত্রায় সঙ্গী হয়ে ওঠে।যেমন,
' হৈ হৈ রঙ্গিলা ,রঙ্গিলা রে,
রিমঝিম বরষায় মন নিলা রে।'


সাবিনা ইয়াসমীন তখন প্লেব্যাকের ব্যস্ত শিল্পী,সঙ্গীত পরিচালকদের প্রথম পছন্দ।১৯৭৪ সালে মুক্তি পেলো আলোর মিছিল ,পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতা।ববিতার লিপে সাবিনা ইয়াসশীন আবারও চরম জনপ্রিয় হলেন ,'এই পৃথিবীর পরে ,কত ফুল ফোটে আর ঝরে।' সঙ্গীতে ছিলেন সত্য সাহা।

১৯৭৪ সাল মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যতম ছবি জীবন সাথী।সদ্য স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কারী লাহোরের সিনেমার সাড়া জাগানো গায়িকা রুনা লায়লাকে দিয়ে সত্য সাহা গাওয়ালেন 'ও জীবন সাথী, তুমি আমার প্রেমের অহংকার'।সাথে কণ্ঠ দিয়েছিলেন খোন্দকার ফারুক আহমেদ।

১৯৭৫ এ লাঠিয়াল ,বাদী থেকে বেগম মুক্তি পেল।এ বছর থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।(তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইট,www.moi.gov.bd)বেবী ইসলাম পরিচালিত চরিত্রহীন ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার লাভ করেন যৌথভাবে দেবু ভট্টাচার্য ও লোকমান হোসেন ফকির।সুজন সখি ছবিতে খান আতার সুরে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়ক গায়িকার পুরস্কার পান আব্দল আলীম ও সাবিনা ইয়াসমীন।


১৯৭৬ সালে আলমগীর কবির জয়শ্রী কবির আর এহসান আলী সিডনী কে নিয়ে বানালেন সূর্যকন্যা।এই ছবিতে প্লেব্যাক করেন শ্যামল মিত্র,'চেনা চেনা লাগে,তবু অচেনা'।এবছরই সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে প্রথম একজন নারী জাতীয় চলচ্চিত্রপুরস্কার পান ,ফেরদৌসি রহমান (পাক্ষিক তারকালোক,পৃ ২২,১-১৪ ফেব্রু ১৯৮৫)।তবে সঙ্গীতের জন্য এ সালের সর্বাধিক আলোচিত চলচ্চিত্র হল, দি রেইন।'একা একা কেন ভালো লাগে না','মনে মনে','চোখে যদি চোখ পড়ে যায়' আর 'চঞ্চলা হাওয়ারে' এই চারটি গান রুনা লায়লাকে দিয়ে গাওয়ালেন আনোয়ার পারভেজ।১৯৭৭ সালে ঘোষিত হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৭৬(তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইট,www.moi.gov.bd)।রুনা লায়লা শেষের গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকার স্বীকৃতি পেলেন।

তবে চলচ্চিত্রের গানের জন্য সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি আসে ১৯৭৭ সালে চালু হওয়া রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার 'স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার' যখন ঘোষনা করা হল।মোট দশজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্ব স্ব ক্ষত্রে অবদানের জন্য এই সম্ম্নে ভূষিত করা হয় (উইকিপিডিয়ায় এ সঙ্ক্রান্ত ভুক্তি Click This Link)।সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম,চিত্রকলায় জয়নুল আবেদীনের পাশাপাশি সঙ্গীতে একজন প্লেব্যাক গায়িকা,রুনা লায়লাকে(মাত্র ২৪ বছর বয়সে,)এই মহাসম্মানে ভূষিত করা হয় ।

১৯৭৭ সালে সুভাষ দত্তের বসুন্ধরা,আলমগীর কবিরের সীমানা পেরিয়ে ,আব্দুল লতিফ বাচ্চুর যাদুর বাঁশি প্রভৃতি ছবি মুক্তি পায়।সীমানা পেরিয়ে ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা গায়ক ও সুরকার ভূপেন হাজারিকা।এখানে আবিদা সুলতানার 'বিমূর্ত এই রাত্রি আমার',ভুপেন হাজারিকার কণ্ঠে 'মেঘ থমথম করে' উল্লেখ করার মতো গান।তবে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতপরিচালক নির্বাচিত হন আজাদ রহমান আর শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হন রুনা লায়লা ,উভয়েই যাদুর বাঁশি চলচ্চিত্রের জন্য।উল্লেখ যোগ্য গান,
'আকাশ বিনা চাঁদ যেমন হাসিতে পারে না,
যাদু বিনা পাখি তেমন বাঁচিতে পারেনা।'

১৯৭৮ সালে সাহিত্য থেকে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় (The Brief History of Bangladesh Cinema,Anupam Hayat)।শহীদুল্লাহ কায়সারের সারেং বউ উপন্যাস থেকে কবরী ,ফারুক কে নিয়ে বানালেন সারেং বউ। চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনায় হাত দিলেন আলম খান।সুর করলেন 'ওরে নীল দরিয়া'।তাঁর ব্যতিক্রম ছন্দের সঙ্গীত আলোড়িত করল সবাইকে।তবে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার হাতে পেলেন আমজাদ হোসেন ,ছায়াছবি :গোলাপি এখন ট্রেনে(তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইট,www.moi.gov.bd)।ফকির মজনু শাহ ছবিতে সৈয়দ আব্দুল হাদীর গাওয়া 'চক্ষের নজর এমনি কইরা একদিন ক্ষইয়া যাবে' ,গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। আলাউদ্দিন আলী ছিলেন সঙ্গীতকার ।এই ছবিরই আরেকটি জনপ্রিয় গান নায়ক জাফর ইকবাল আর গায়িকা রুনা লায়লার দৈত কণ্ঠে 'প্রেমের আগুনে জ্বলে গেলাম সজনিগো'।

১৯৭৯ সালে আলাউদ্দিন আলি সুন্দরী ছবির সঙ্গীতের জন্য পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ।একই ছবির জন্য সেরা গায়ক ,গায়িকা নির্বাচিত হলেন সৈয়দ আব্দুল হাদী আর সাবিনা ইয়াসমীন।১৯৮০ তেও এই ত্রয়ীর পুনরায় পুরস্কার প্রাপ্তি ।ছায়ছবি কসাই(তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইট,www.moi.gov.bd)।


শুরু হল বাংলা সিনেমার গানের জগতের আলোচিত আর সমালোচিত দশক ।আশির দশক শুরু হতে হতে সিনেমার গানে নিজেদের আসন বেশ জোরালোভাবেই পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন রুনা লায়লা আর সাবিনা ইয়াসমীন ।দু'জনেই চরম ব্যস্ত ।প্রতিদিন রেকর্ডিং।একের পর এক জাতীয় পুরস্কার পেয়ে আলোচিত সাবিনা।অন্যদিকে ভারত আর পাকিস্তানের অডিও বাজারের বাম্পার হিট দু'টো অ্যালবাম উপহার দিয়ে,দেশের বাইরে একের পর এক সফল কনসার্ট করে আন্তার্জাতিক খ্যাতি পেয়ে চলেছেন রুনা ।তখনকার সিনেমা আর টিভি নিয়ে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে জানা যায় তাঁদের তখনকার বৈরী সম্পর্কের কথা।৭০ এর দশকে আজিম পরিচালিত প্রতিনিধি ছবিতে সত্যসাহার সুরে একটি শ্রোতাপ্রিয় গানে দু'জনের কণ্ঠ পাওয়া যায় :'তুমি,তুমি বড় ভাগ্যবতী'।এরপর হয়তো তাদের আর এক করা সম্ভব হয়নি।১৯৮২ সালের ১৩ মে প্রকাশিত সিনেমা কেন্দ্রিক সাপ্তাহিক 'পূর্বানী' 'রুনা লায়লা এখন কতখানি জনপ্রিয়' শিরোনামে তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করে ।প্রশ্নোত্তরের এক পর্যায়ে রুনা লায়লা বলেন,

'আমি ওঁর( সাবিনা ইয়াসমীন) গানের প্রশংসা করি সব সময়ই।চমৎকার ওঁর গলা।কিন্তু একবার ওঁ আমাকে দু:খ দিয়েছিল..................সেইম উইথ সৈয়দ আব্দুল হাদী।আমি হাদী সাহেবের সঙ্গেও কোনদিন গান করব না।'( পূর্বানী ,পৃ ২)




১৯৮১ সালে ,খুব সম্ভব রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার ফলে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষনা করা হয় নি।গানের জন্য এই বছরের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল :জন্ম থেকে জ্বলছি ,কলমীলতা ইত্যাদি।১৯৮২ সালে বড় ভালো লোক ছিল ছবির জন্য আলম খান শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার লাভ করেন ।একই ছবিতে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা 'হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস' গানটি গেয়ে সেরা গায়ক ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হন।আলাউদ্দিন আলীর সুরে 'এই দুনিয়া এখন তো আর' গানটির জন্য পুরস্কৃত হন মিতালী মুখার্জী,চলচ্চিত্র:দুই পয়সার আলতা(তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইট,www.moi.gov.bd)।



১৯৮৩ সালেও বোন পুরস্কার দেওয়া হয়নি।এবছর মুক্তি পায় ভারত,পাকিস্তান আর বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় মুক্তি পায় দূরদেশ। এ ছবির বাংলা ভার্শনে সৈয়দ আব্দুল হাদী আর সাবিনা ইয়াসমীনের গাওয়া 'যেওনা সাথী',রুনা লায়লার 'দুশমনি করোনা প্রিয়তম' প্রভৃতি গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে ।১৯৮৪ সালে চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।এবছর চন্দ্রনাথ ছবির সঙ্গীতের জন্য পুরস্কৃত হন খোন্দকার নুরুল আলম।সাবিনা ইয়াসমীন এই ছবির জন্য পান সেরা গায়িকার স্বীকৃতি।অন্যদিকে সেমিক্ল্যাসিকাল ধাচের সুর দিয়ে শেখ সাদী খান মহানায়ক ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন।সুবীর নন্দীর কণ্ঠে 'হাজার মনের কাছে প্রশ্ণ রেখে' গানটি তুমুল শ্রোতাপ্রিয় হয়।তিনি পান সেরা গায়ক ক্যাটাগরিতে জাতীয় পুরস্কার।(তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইট,www.moi.gov.bd)।


১৯৮৫ সালে আলম খান তিন কন্যা ছবির জন্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।১৯৮৬ তে মুক্তি পায় শুভদা।সেরা সঙ্গীত পরিচালক খোন্দকার নুরুল আলম ,সেরা গায়ক আর গায়িকা সুবির নন্দী ও নিলুফার ইয়াসমীন ,তিনটি পুরস্কারই যায় এই ছবির দখলে।১৯৮৭ সারেন্ডার আর রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত ছবির জন্য পুরস্কৃত হন আলম খান,এন্ড্রু কিশোর এবং সাবিনা ইয়াসমীন। রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত ছবিতে রুনা লায়লার কণ্ঠে 'বাজুবান্দ খুল খুল যায়','ইয়ে নসীব হামারে' ,হিন্দী গানের ব্যবহার দেখা যায়।১৯৮৮ সালে আলাউদ্দিন আলী (যোগাযোগ),সাবিনা ইয়্সমীন(দুই জীবন) জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন।তবে দুই জীবনে আলম খানের সুরে রুনা লায়লা ,এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া 'আমি একদিন তোমায় না দেখিলে ' গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে।১৯৮৯ সালে দীর্ঘ দিন পরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় দেখা যায় রুনা লায়লার নাম।অ্যাক্সিডেন্ট ছবির জন্য তিনি,ব্যাথার দান ছবির সুর করে আলী হোসেন লাভ করেন(তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইট,www.moi.gov.bd)।এবছরই মুক্তি পায় বেদের মেয়ে জোছনা । সংগীত পরিচালনা করেন আবু তাহের। গল্পের সাথে কথার মিল রেখে গীত রচনা করেন ছবির পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল।
চরম জনপ্রিয় গান 'বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে' প্রায় সব মানুষের মুখস্হ হবার জো হয়।


৯০ এর দশকে শুরুতে আলাউদ্দিন আলী ,সৈয়দ আব্দুল হাদী আর শাহনাজ রহমতুল্লাহ পেলেন জাতীয় পুরস্কার পেলেন।১৯৯১ সালে পদ্মা মেঘনা যমুনা ছবির জন্য পুরস্কৃত হলেন ।এন্ড্রু কিশোর আর সাবিনা ইয়াসমীন পেলেন বছর-শ্রেষ্ঠ গায়ক গায়িকার পুরস্কার। মাঝখানে ১৯৯৫,১৯৯৮ বাদ রেখে ১৯৯৯ পর্যন্ত পুরস্কৃত সঙ্গীত পরিচালকেরা হলেন-
আলম খান,ছায়াছবি :দিনকাল (১৯৯২),
আজাদ রহমান ,ছায়াছবি:চাঁদাবাজ(১৯৯৩),
সত্য সাহা ,ছায়াছবি:আগুনের পরশমণি(১৯৯৪),
সত্যসাহা,ছায়াছবি:অজান্তে(১৯৯৬),
খান আতাউর রহমান ,ছায়াছবি:এখনও অনেক রাত(১৯৯৭),
মকসুদ জামিল মিন্টু,ছায়াছবি:শ্রাবণ মেঘের দিনে(১৯৯৯)।


১৯৯৯ পর্যন্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা আর গায়কেরা হলেন-
সাবিনা ইয়াসমীন,ছায়াছবি:রাধা-কৃষ্ণ এবং সৈয়দ আব্দুল হাদী, ছায়াছবি:ক্ষমা (১৯৯২);
ফরিদা পারভীন ,ছায়াছবি:অন্ধপ্রেম, এবং আজাদ রহমান ,ছায়াছবি:চাঁদাবাজ(১৯৯৩);
রুনা লায়লা ,ছায়াছবি: অন্তরে অন্তরে এবং খালিদ হাসান মিলু ,ছায়াছবি :হৃদয় থেকে হৃদয়(১৯৯৪);
কনকচাঁপা ,ছায়াছবি: লাভস্টোরি এবংসাইদুর রহমান বয়াতি:ছায়াছবি:নদীর নাম মধুমতি(১৯৯৫);
এন্ড্রু কিশোর ,ছায়াছবি :কবুল (১৯৯৬);
কিরণচন্দ্র রায়,ছায়াছবি:দুখাই(১৯৯৭)
সুবীর নন্দী,ছায়াছবি:শ্রাবণ মেঘের দিনে(১৯৯৯)।
(তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইট, http://www.moi.gov.bd)।


নব্বই দশকে গানের জন্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র গুলো হল-
চাঁদনী ,চোখে চোখে,দাঙ্গা,বিশ্বপ্রেমিক,স্বপ্নের ঠিকানা,স্বপ্নের পৃথিবী,প্রথম প্রেম,হারানো প্রেম,তোমাকে চাই,অন্তরে অন্তরে,দেনমোহর,ঘর দুয়ার,আদরের সন্তান ,সাগরিকা,হৃদয় আমার,বিক্ষোভ,আনন্দ অশ্রু,মহামিলন,তুমি আমার ,প্রিয়জন,প্রাণের চেয়ে প্রিয়,হৃদয়ের আয়না ইত্যাদি।

১৯৯৭ সালে বাংলা প্লেব্যাক জগতে একটি অনন্য ঘটনার জন্ম দেন রুনা লায়লা।বাংলাদেশে এই প্রথম কোন গায়িকার জীবন নিয়ে নির্মিত হল চলচ্চিত্র শিল্পী।অভিনয় করলেন রুনা নিজেই।প্রথমবারের মতো এক ছবিতে এক সাথে পাঁচজন সঙ্গীত পরিচালক একত্রিত হন:সুবল দাস,আলম খান,আলাউদ্দিন আলী,আলী হোসেন আর আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।বিটিভিতে রুনার গাওয়া জনপ্রিয় গান 'শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাবো' সহ বাংলা ,ইংরেজি,হিন্দী,উর্দু,আরবী,জাপানী ইত্যাদি ভাষায় গাওয়া আঠারোটি গান ব্যবহৃত হয় শিল্পী ছবিতে।এর মধ্যে একটি গানের কথা ছিল এরকম-

'কে জানে কতদূরে সুখের ঠিকানা?
প্রতিদিন দেখা হয় তোমার আমার
তবুও রয়েছি মোরা অচেনা।'



...............................................................................চলবে





সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:১১
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×