somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিয়ালের হাতে মুরগির খোয়ারের শুভউদ্বোধন।

২১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অবশেষে দীর্ঘ দশ বছর পর বিভাগীয় শহর রংপুর থেকে রাজধানী ঢাকায় সরাসরি রেলচলাচল আবারও শুরু হচ্ছে। যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে আজ রেলচলাচলের উদ্বোধন করবেন।সূত্র

যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের ভেতরে বাংলাদেশ রেলওয়েকে রাখা আর শিয়ালের গর্তে মুরগি পালন করা একই কথা।

কেউ বলেঃ তাহলে কি আরেকটা মন্ত্রণালয় করতে বলেন?...দেশটা তো মন্ত্রণালয় মন্ত্রনালয়ে ভরে যাচ্ছে!

আবার কেউঃ রেলওয়ে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে থাকবে না তো কোথায় থাকবে? গর্ত বানানো হয়েছিলো মুরগীর জন্যই কিন্তু তাতে হয়তো শেয়াল ঢুকে পড়েছে...

লেখক বলেনঃ আপনার কথামত নৌপরিবহন ও বিমানকেও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে আনা উচিত।

যা হউক এদেশের মানুষ রেলে ভ্রমন যে কত পছন্দ করে তা যেমন বলে শেষ করা যাবে না তেমনি পরিবহন মালিক শ্রমিক গোষ্ঠির মদদপুষ্ট সরকারগুলো দেশের রেল ব্যবস্থাকে আজ কোথায় নিয়ে এসেছে তাও বলে শেষ করা যাবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়েকে শুধু যোগাযোগ মন্ত্রনালয় থেকে আলাদা না একে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী করে দেয়া উচিত। যেমন ঢাকা ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগে যদি এই অঞ্চলের জনগণ বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারতো তাহলে এতদিনে এই রুটে সারাদিন ঘন্টায় ঘন্টায় রেলগাড়ি চলাচল করতো, সড়কে যাত্রী খুজে পাওয়া যেত না। পরিবহন বানিজ্য লাটে উঠতো।একটি একটি করে দেশের প্রতিটি রেল রুটের ৭৫% শেয়ার পাবলিকের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত।

উল্লেখ্য রেল যোগাযোগকে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের ভেতরে রাখার মধ্যেই রেলওয়েকে ধ্বংস করার সকল ষড়যন্ত্র নিহিত।আমাদের সকল কাজের আদর্শ ভারতেও কিন্তু রেল বিভাগের জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় আছে।

আরও উল্লেখ্যঃ শুধু রেল না সড়ক ও জনপথের আন্ডারে থাকা দুই প্রকারের রাস্তা যথা ১. হাইওয়ে ২. ফিডাররোড এর মধ্যে শুধু হাইওয়ে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীন রেখে ফিডার রোডগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীন নিয়ে আসা অতীব জরুরী। কারন নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১৯৯৬ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা ছিল ১৫ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। ২০১০-এ হয়েছে ২১ হাজার ৪০ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ৬০% হাইওয়ে বাকিটুকু ফিডার রোড।ফিডার রোডগুলো মূলত উপজেলার প্রধান সংযোগ সড়ক ও উপজেলা ও জেলার অভ্যন্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক।

ছবিটা একটা উপজেলার অভ্যন্তরে সড়ক ও জনপথের এক খন্ড রাস্তার চিত্র যা গত সাত বছর যাবৎ নরকযাত্রার পথ থেকে গত একমাস আগে সংষ্কার হয়েছে।দেশের হাতে গোনা কয়েকটি উপজেলা -যেগুলো কোন হাইওয়ের পাশে অবস্থিত - ছাড়া বাকি প্রায় ৪০০ উপজেলার মূল সংযোগ সড়কগুলো সহ উপজেলার অভ্যন্তরে খন্ড খন্ড কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা আছে যেগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের আন্ডারে। যেগুলো প্রতিটি উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সড়ক হলেও স্থানীয় সরকারের সেগুলোতে টাচ করাও স্ট্রিকলি প্রহিবিটেড।

এখানে সবচেয়ে বড় কথা উপজেলা পর্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলো যদি রোডস এ্যান্ড হাইওয়ের আন্ডারে থাকায় এরা দেশের হাইওয়েগুলো দেখাশুনার পর এই ফিডার রোডগুলোকে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার স্থানও দিতে পারে না।অথচ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীনে থাকলে এগুলো হবে প্রথম অগ্রাধীকার।

গত বিএনপি সরকারের সময় এলজিআরডি মন্ত্রী একবার ঘোষনা দিল এখন থেকে সড়ক ও জনপথের উপজেলা সংযোগ সড়কগুলোর মালিকানা সড়ক ও জনপথ মন্ত্রনালয়ের অধীনেই থাকবে তবে সংষ্কার স্থানীয় সরকার করবে। এই কথা শুনে সড়ক ও জনপথের ড্রাইভার থেকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত ধর্মঘট শুরু করলো। তখন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুলহুদা বললো, মান্নান ভাই আপনি আমাদের সবচেয়ে ফার্টাইল ভূমি টুকু নিয়ে যেতে চাচ্ছেন ?

ছবিতে সড়ক ও জনপথের বেলাবো রাধাখালি ব্রিজের একটি দৃষ্য। ব্রিজটি ২০০৬ সালে হলেও আজও সংযোগ সড়কটি আজও হয়নি। উল্লেখ্য সড়ক ও জনপথের ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার অর্ধেক হাইওয়েগুলো বাদ দিলে উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার রাস্তার খবর আমাদের সচেতনতার সীমানার অনেক বাইরে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×