somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসিংস ওন শহিদুল

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার সাথে শহিদুলের কোন সম্পর্ক হবার কোন যৌক্তিক কারন আছে বলে মনে হয় না। না কাজে মিল না অন্য কিছুতে। তবে তার পরেও তাকে নিয়েও আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিছক কাকতালিয় কিনা সেটা বলতে পারবো না।

তখন পান্থপথের কাজ শেষ হবো হবো করছে। নিউ মডেল হাই স্কুলের বামপাশের যে রাস্তা - তার কথাই বলছি। বড়বড় কালর্ভাটের চারপাশে নরম বালি আর মাটি থাকার জন্যই মনে হয় সোবহানবাগ কলোনী থেকে আমরা পঙ্গপালের মত সেখানে যেতাম। হয়তোবা লাঠিম বা মারবেল খেলার জন্য নয়তো হাটা পথে কাওড়ান বাজার থেকে ঘুড়ি কেনার জন্য । আমি তখন কেবল প্রাথমিকে পড়ি। যে বাড়িটার সামনে বেশটা জায়গা, সেখানেই খেলা হতো বেশি। বাড়ির গেটের উপর একটা সাইনবোর্ড - মেঘবার্তা। তাই মনে আছে। তবে এই বাড়িই পাঠশালা হয়েছিল কিনা, সেটা নিশ্চিত না হলেও এখনকার পাঠাশালা যেখানে, সেটাও আশে পাশে ছিল এটা নিশ্চিত।

এরমধ্যে অনেক সময় চলেগেছে। আমি প্রাথমিক ছেড়ে মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিব একবছর পর। আমার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ভাই-বোনের জন্য বাড়িতে কম্পিউটার এল। সেকি বিশাল উত্তেজনা মনে। আমাদের জীবনে বিলাশিতার কোনকিছু না থাকলেও যেটার প্রয়োজন ছিল তা এসেছিল সময়মত। মনে আছে সাইটেকো ডট নেটের ইউএস রোবোটিকস এর ডায়াল আপ মডেমে ইন্টারনেট নিল ভাইয়া। বড় বড় চোখ করে আমি কম্পিউটার চালানো দেখতাম। এটা দিয়ে নাকি সাড়া দুনিয়া দেখা যায়, ভাইয়া বলেছিল। ১৯৯৬-৯৭ এর ঘটনা। অনেক আগেইতো।

ইত্তেফাক এর পাতায় দৃকের নামটা পড়লাম। কিনা কি একটা পুরস্কার পেয়েছে। দৃক.নেট। আমাদের ডায়াল আপ দিয়ে নেটে যেতে হয়। তাই ভাইয়ার জন্য রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে দুইজনে বসলাম দেখতে। বেশি কিছু মনে না থাকলেও ভাইয়ার গজগজানিতে এটা মনে আছে - অনেক ছবি ছিল ওয়েবটাতে। আর সেটাই ভাইয়ার রাগের কারন। কেননা ছবিতে বেশি ডাটা খরচ হতো। এখন এই হিসাব কেই বা না জানে। তবে তখন আমার জানা ছিলনা। নামটা আটকে গিয়েছিল। কেননা ডিকশনারীতে এর মানে খুজে পেলাম না। পরে জানলাম, দৃক মানে চোখ।

এরমধ্যে আমি মাধ্যমিক পার হয়ে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। শেষ সেমিস্টারের আগে এভারেস্টের স্বর্ন জয়ন্তী। বন্ধুর সাথে করে গিয়েছিলাম এভারেস্ট বেকস্যাম্প ট্রেকিংএ। ২০০৩ সালের কথা। রিফাত ভাইয়ের সাথে পরিকল্পনা করেছিলাম ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার রোডের লেকের ধারে বসে। বিকালের রোদে ঘাসের উপর বসে বাদাম খেতে আমাদের পরিকল্পনা হয়েছিল। কই তখনতো কোন পুলিশ এসে তুলে দেয়নি। ভাগ্যিস দেয়নি। দিলে হয়তো আর যাওয়াই হতো না।

নামচে বাজারে আমরা দু রাত ছিলাম। এটাকে বলা হয় শেরপাদের রাজধানী। উচ্চতার সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের মতো অনেকেই একটা বাড়তি দিন কাটায়। স্বর্নজয়ন্তীতে যতনা ট্রেকার প্রায় তার সমান সাংবাদিক। পথে আমরা একটা অঘোষিত দলে পরিনিত হয়েছিলাম সেই লুকলা থেকে। দলে ভারতীয় আরুন ছিল। সে ফটোইন্ক নামের একটা এজেন্সি হয়ে ছবি তুলতে এসেছে। তার সাথে বেশি ভাব হবার একটা কারন ছিল যে সে আমাদের দেশের একজনের কথা বার বার বলছিল। ’ সাইদুল ’ ভারতীয় উচ্চারনে নামটা একদম বুঝতে পারিনি প্রথমে। তবে রিফাত ভাই ভুলনা শুধরে দিয়েছিলেন - ”শহিদুল’’। ওহ! শহিদুল? আচ্ছা । আরুনের কাছেই জানা হলো বেশি দৃক নিয়ে। কি অদ্ভুত। হিমালয়ের এই স্বর্গোদ্যানে যেখানে এভারেস্ট মহীমায় মুগ্ধ হয়ে কেবল তারই বন্দনা করার কথা -সেখানে এক ভিনদেশীর মুখে বাংলাদেশের কিছু শুনতে পাওয়াই মনে হয় অকৃত্রিম ভাবে বন্ধু হতে সাহায্য করেছিল। সেই আরুনের সাথে আমার এখনও সখ্যতা আছে। সফদারজং এনক্লেভের দুকামড়ার স্টুডিওর মেঝেতে বসে আড্ডা হয়েছে আরও কয়েক বার। শহিদুলও উঠে এসেছেন অনেক ভাবেই। আর আমার শহিদুল গ্যান তখনকার মত এখনও অপ্রতুল। তবে খুবই ভাললাগতো শুনতে। কেনই বা না? আমাদের ভাল কথা কদাচিৎই শোনা হয়। যদি বিদেশ যাওয়া হয় তো - হয় বন্যা না হয় দূর্নিতি - এই দুই গল্পে আটকে থাকে আমার বাংলাদেশ।

পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে আমি অভিযাত্রীক ভাবনাটাকে প্রাধান্য দিয়েই ঘুরতে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। কখনও বা পাহাড়ে কখনও বা সাগরে। কোনটাই তেমন কিছুনা। শুধু ভাললাগা থেকে। তবে এনডিসি এর নেচার স্টাডি ক্লাবের জন্যই মনে হয় ছবি প্রতি হয়েছিল। তাই অনেক পরে হলেও শহিদুলের নিউজলেটার সাবক্রাইব করা হতো। খুবই অবাক হয়ে পড়তাম ঘটনা গুলো। তার চেয়ে বেশি অবাক হতাম কোথায় থেকে লিখছেন সেটা দেখে। একজন মানুষ কি ভাবে এতসুন্দও কওে লিখতে পারে! আবার একজন মানুষ কি করে এত ভ্রমণ করতে পারে। আজ কায়রো তো কাল দিল্লী। ভ্রমণ করতেই পারে, কিন্তু কেন করে? এই প্রশ্নের উত্তর আমার আজও জানা হয়ে ওঠেনি।

২০০৮ সালে আমাদের একটা দলীয় আলোকচিত্র প্রর্দশনী হয়েছিল বেঙ্গল গ্যালারিতে। শহিদুলকে আমন্ত্রন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ আর ভারতের পর্বোতারোহীদের নিয়ে শান্তির জন্য পর্বোতারোহনের ছবি নিয়ে হয়েছিল এই প্রর্দশনী। সুবীর দা’র খুব একটা আগ্রহ ছিলনা। কেননা এ ধরনের আলোকচিত্র বাংলাদেশে মোটেও সিরিয়াস কিছুনা। তার উপর এর নাই কোন বান্যিজিক তাৎতপর্য। আবার অনারম্বর উদ্বোধনী না হলে জাত যায় জাত যায় অবস্থা। আমার যদি খুব ভুল না হয় - শহিদুলকে পাওয়া যায়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে জাতে তোলার জন্য হলেও। কি ভিষন মন খারাপ হয়েছিল আমার। কেনই বা এলেন না। এতই কি ব্যস্ত! তবে হ্যা, এখন কিছুটা হলেও অনুমেয়। তিনি ব্যাস্ত থাকতেই পারেন।

তবে সরাসরি পরিচিত না হলেও চিনে গেছি এতোদিনে। তার ২৪ সাইজ চাকার একটা লাল রংগা সাইকেলের জন্য । তাকে কোথায় না দেখা যায় - বিশ্ব বিদ্যালয়ের রাস্তায়, বাটার সিগনালে, ধানমন্ডিতে, মোহাম্মাদপুরে। উনি নির্লিপ্ত ভাবে সাইকেল চালিয়ে যেতেন। শহিদুলের প্রতি টান আমার বেড়ে গিয়েছিল এই সাইকেলের জন্যই। তার এই সাইকেল প্রিতি আমার কাছে তার আলোকচিত্রির পরিচয় থেকে অনেক বড় মনে হয়েছিল।

এতদিনে দৃককে সবাই চিনেগেছে। পাঠশালা। আকাশ। আবীর। অমি। ওয়াসিফ। মুনির। বিরাজ। তপু। আরও কতোকতো নাম। সবই পড়ে জানা। আরও জেনে গেছে “ছবিমেলা” এ অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া সবগুলো মহাদেশের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত আয়োজন। এটাও শহিদুলের এক অমর কৃত্তি। তাই শহিদুল অনেকের কাছে মহাতারকা। কিন্তু তার এই নির্বিকার সাইকেলে চলাচলে মহাতারকা সুলভ আচরন ধরা পরতো না। বেশ কাছের মনে হতো লোকটাকে। সাইকেলের গল্প করেছিলেন আমার বন্ধুর মাসুকের বাবা। শহিদুলের সহপাঠি। হায় আল্লাহ! শহিদুল তো বুইড়া। আমার বন্ধুর বাবা যদি হয় তার সহপাঠি তবে তাকে বুইড়া না বলে অন্য কি বলা যায় আমি জানি না। আগাগোড়াই সাইকেল আর সময়ের প্রতি অগাদ ভালবাসার নাম শহিদুল। অঙ্কেলের কথায় - শহিদুলের চারটা মানে চারটা। সেই কবে থেকে এই শহিদুল।

বংশালের সেরা সাইকেলটা তখন আমার। ঢাকায় তখনও এত দামী সাইকেলের দোকান আসেনি। প্যাশন কাম ফ্যাশন থেকে হেলমেট পরে আমার অফিস যাওয়া - রোজ। মিরপুর টু গুলশান। তবে শহিদুলের সাইকেল আমারটার মতো কেতাদুরস্ত ছিলনা। তার সাইকেল ছিল হকারদের সাইকেলের মতো। ব্যাসিক আর ঝামেলামুক্ত। আর আমারটার ঠেলা আছে - আজ এটা তো কাল ওটা। এখন প্রায় ১৪ বছর পর বুঝতে পারলাম - তার সাইকেলটাই ভাল ছিল। শহিদুল আমার থেকে ঢের ভাল বা দামী সাইকেল কিনতে পারতেন তবে আমারটার থেকে ভাল সার্ভিস পেতেন কিনা জানি না। কথাগুলো একারনেই বলাযে ওনার সাধারন মানুষের মত চলাচল করার সাহসিকতা। এটাতো সাহসই। কেননা সেসময় “কর্পোরেটে” কাজ করা আমার মোত কোন প্রকৌশলী গাড়ি ছাড়া চলে না। হয়তোবা আমাদের জীবনে সময়ের মূল্য কিছুটা কম ছিল তাই মনে হয় এত আগেই আমরা গাড়িতে উঠে গিয়েছিলাম।

তার সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ ২০০৮ সালে। তাও ইমেইলে। আর্ন্তজাতিক এইডস কন্ফারেন্সে আমার কিছু ছবির প্রর্দশনী হয়েছিল। এলেবেলে ভাবে তোলা ছবিগুলোর শিল্পের মর্যাদা না পেলেও “ম্যাগনাম” এর এক্সেস টু লাইফ প্রর্দশনীর আশেপাশের দেয়ালেই আমার ছবিও ঝুলছিল। সেটাই আমার জন্য কত কি! মেক্সিকো সিটি ইয়্যুত র্ফোসের আমন্ত্রনে আমার যাওয়া। কাজ ছিল ইয়্যুতদের ব্লগের জন্য ছবি তোলা। মজার ব্যপার হলো আমি কোন এনজিও থেকে যাইনি। না আমি কোন পদধারী কেউ। স্রেফ ফ্লিকার থেকে আমার ছবি দেখে তারা আমায় আমন্ত্রন করেছিল। তবে সেই একই ঘটনা। ম্যাগনামের প্রর্দশনীর কর্মকর্তাদের সাথে কথোপকথনে আবার সেই শহিদুল। ওনার অবদান- কাজ - এটাসেটা। এযেন এক বিশাল পাপ তাকে না জানা। আমি আসলেও তার নাম আর দৃক, পাঠশালা ছাড়া বিশেষ কিছুই জানি না। তবে যেখানেই যাই। ঘটনা পরিক্রমায় তার গল্প চলে আসে। আদতে মধুর মনে হলেও,বেশ অস্বস্তীকর। আমার তাই মনে হতো।

“আপনি মেক্সিকোতে বাংলাদেশী পেলেন কিভাবে?” এইছিল মেইলের মূল কথা। তার মেইল সাবক্রাইব করতাম, সেটা আগেই বলা। তবে তার মতো করে লেখার চেষ্টা যে আমি করিনি, তাও না। সাথে এড্রেস বুকে সবাইকে সে লেখাও জোর করে পাঠিয়েও দিতাম। কেননা আমার মেইল কেউ সাবক্রাইব করতো না। ঠিক এমনই একটা মেইলের উত্তর তিনি দিয়েছিলেন। আমি অবাক হয়ে পড়েছিলাম সেই মেইল, অনেকবার। বাংলাদেশী বলতে তখন ২/৩ টা ঘর মেক্সিকোসিটিতে। কি নিদারুন বাস্তবায় আমি মসজিদ থেকে খুজে বের করেছিলাম বাংলাদেশীদের কে। কারন ভিসা জটিলতায় আমাকে থাকতে হয়েছিল বেশ কিছু দিন আর হোটেলে থাকার মতো টাকাও ছিল না। পরে শহিদুলের সাথে তাদের যোগাযোগ হয়েছিল। সেই শুরু।

এরপর তাকে ঢেকেছিলাম ট্যান্ডেম রাইডের জন্য । বিশ্ব ধরনী দিবসে আমরা আমরাই রাইড করেছিলাম। তিনি এসেছিলেন।

এরপর কক্সবাজারের ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনাপ বলে আমাদের যে ছোট উদ্যোগ টা হতো, সেখানে তিনি এসেছিলেন। খুব বেশি বেগ পতে হয়নি। না আমাদের নাকানি চুবানিও খেতে হয়নি। আরও অনেকের মাঝে তাকে নিয়ে চিন্তা মনে হয় সব থেকেই কম করতে হয়েছিল। তবে এটাও ঠিক অন্য যারাও গিয়েছিলেন তারাও যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন।

অভিযান কে বিষয় করে আমরা একটা ত্রৈমাসিক করতাম ’তৃণ’ নামে। সংখ্যাটা ছিল সাইকেল নিয়ে। প্রচ্ছদ এ এমন একটা কিছু আমরা আশা করছিল যা আমাদেও আশেপাশে ঘটে আবার যা আমাদের অনুপ্রেরনা দিবে। ফটোগ্রাফার ডেভিড বারিকদারের স্টুডিও তখন জিগাতলা বাসস্টেন্ডের একদম কাছে। ডেভিডের ’শহিদুল’ গল্পটাও দারুন। কার্ডিফে আলোকচিত্র নিয়ে পড়তে যাওয়ায় তার অবদানের কথা অনেকবার বলেছিলেন ডেভিড। ডেভিড আমাদের সাথে সাইকেল চালাতো। রামগড় হয়ে খাগড়াছড়ি, শ্রীমঙ্গল হয়ে জৈন্তপুর, বড়চতুলের কাছে কাটা খালের পাশে ক্যাম্পিং - আরও কতো কতো জায়াগায়। তাই বেগ পেতে হয়নি তাকে দিয়ে শহিদুলের সাইকেল সমেত ছবি তোলার। প্রচ্ছদটাও বেশ হলো। ডেভিডের যেমন সাইকেলটা নতুন কিছু নয়, শহিদুলের তো নয়ই।

২০১২ এ দিকে এমইটি এর কিছু ছাত্রের সাথে ঢাকার বাসরুট গুলোর একটা মানচিত্রের কাজ করছিলাম। না এটা কোন প্রজেক্ট ছিলনা। ’ঢাকা বাস ম্যাপ’ নামের কাজটা ছিল বেশ মজার। এত এত বাস কিন্তু কোনটা কই থেকে কই যায়, সেটা সবার জানা আছে এমনটা ভাবা কঠিন। এটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এন্ডরয়েডের জন্য আমরা একটা এ্যপ তৈরি করেছিলাম। হ্যা - এটাই পরবর্তীতে ডিজিটাল বাস হয়েছিল।

২০১৩ এর শেষের দিকে বা ১৪ এর শুরু দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এটা না বল্লেই না - আমাদের অনেক সম্মান করেছিলেন তারা। পূর্ন স্বাধীনতা ছিল বিআটিসি এর সাথে কাজ করার। আমরাও চেষ্টা করেছিলাম মনপ্রান দিয়ে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আর পলোক সাহেব বাসে করে ফার্মগেট থেকে জাতীয় সংসদের দক্ষিন দিক পর্যন্ত গিয়েছিলেন বাসে করে। খুবই সমিচিন ভাবে শুরু হয়েছিল এই উদ্যোগ। তবে তাদের অকুন্ঠ উৎসাহে মনে হয়েছিল বাস গুলো আরেকটু ভাল হয়ে যাবে হয়তো।

এমআইটি এর যে দুইজন আমাদের সাথে কাজ করছিল, তাদের একজনের বন্ধু শহিদুলের বিশাল ফ্যান। ’স্কিরা-বেঙ্গল’ থেকে শহিদুলের যে বইটা বের হয়েছিল তার একটা কপি তার লাগবে। সাথে থাকতে হবে শহিদুলের অটোগ্রাফ। সেটাই আমার বন্ধুর জন্য সবচেয়ে বড়ৃ প্রাপ্তি ছিল।

আলোকচিত্রি হিসেবে শহিদুল কতো বড়, সেটা আমার পক্ষে বলা হয়তো সম্ভবনা। তার ছবির থেকে অন্য অনেকের ছবি আমার কাছে ভাল লাগে। কিন্তু শহিদুলের লেখা, সাধারনভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারার যে বিশাল ক্ষমতা - তা খুব অনুকরনীয়।

এই ঘটনা ইউএসএ-র। জায়গার নামটা মনে করতে পারছিনা। আমি আর উজ্জল ভাই ছিলাম। মিড ওয়েস্টের রিপাবলিকান স্টেট গুলো হয়ে আমরা সিয়াটল থেকে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি পর্যন্ত এসেছিলাম সাইকেলে করে। এ পরিক্রমায় অনেক শহরেই থাকা বা দেখা হয়েছিল। এমনই একটা শহরে ঢোকার আগে এ্যন্সেল এ্যডাম্স - এর চিত্র প্রর্দশনীর একটা বিলবোর্ড দেখেছিলাম। ঠা-ঠা রোদের মধ্যে আর বেশি কিছু পড়ার শক্তি ছিলনা।

সিটি পার্কে তাবু ফেলার পর যে কজন স্থানীয়রা এসেছিলেন তাদের কাছেই আমি জি¹েস করেছিলাম এ্যাডাম্স সাহেবের প্রর্দশনীটা কোথায়?
- ওহ এটা খুব দূরে নয়, ঘন্টার মত ড্রাইভ।
আমার আগ্রহ আছে দেখে তিনিই এবার জানতে চাইলেন - ছবি মেলা কেমন হয়?

হায়! আবার সেই শহিদুল।



সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×