আমাদের দেশে পুরানে একটি গল্প আছে। গ্রাম শুদ্ধ মানুষকে উৎপীড়নকারী এক ব্যাক্তি মৃত্যুর আগে তার ছেলেকে বলে গেলো যে, “আমিতো সারা জীবন গ্রামের মানুষকে জ্বালিয়েছি। তাই আমার শেষ ইচ্ছা, আমার মৃত্যুর পর আমার পশ্চদেশে বাঁশ ঢুকিয়ে বাজারে টাঙ্গীয়ে রাখবে।” তার মৃত্যুর পর ছেলেরা পিতার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাই করল। এক ব্যাক্তির পশ্চাতদেশে বাঁশ ঢুকিয়ে বাজারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে স্থানীয় থানা এসে হত্যার দায়ে গ্রামের সকল মানুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। তখন গ্রামের মানুষ বলল যে এ লোকটা জীবিত থাকতে আমাদের যন্ত্রনা দিল আবার মৃত্যুর পরও যন্ত্রনা দিয়ে গেল। সামজে এধরনের কিছু লোক থাকে।
মানবতা বিরোধী দায়ে সব ধরণের আইনী সুযোগ পেয়েও, ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত সাকা মোজাহিদ ১৯৭১ সালে তো সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে এবং গত ৪৪ বছর তারা দেশকে জ্বালিয়েছে। ফাসির আগে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করে, তারােই আবার বলে গেল যে তারা সাধারণ ক্ষমা চায় নি। সারা জীবন তারা মিথ্যার বেসাতি করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করারই ছিল তাদের রাজনীতি করার উদ্দেশ্য। ফাঁসির পরও তারা পরিবারের কাছে মিথ্যা বলে আবারও তারা জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়ে গেল। এটাই তাদের চরিত্র। ত না হলে মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসি দন্ড প্রাপ্ত আগের দুই অপরাধী কাদের মোল্লা এবং কামারুজ্জামানতো ক্ষমা চায় নি। তাই সরকার তাদের ফাঁসি কর্যকর করতে সময় নেয় নি। সাকা-মোজাহিদরা ক্ষমা চেয়েছিল বলেই তাদের ফাঁসি দিতে দেরী হল। না হলেতো সরকার তা আরো আগেই কার্যকারি করতে পারতো। এটা যারা বুঝতে অক্ষম তাদের প্রতি করুণা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬