ভারতবর্ষ
পোকায় খাওয়া আমাদের বাংলাদেশ
মি জিন্নাহ
বঙ্গবন্ধু
নরপিচাশ ইয়াহিয়া
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
অথর্ব সিমলা চুক্তি
১৯৪৭ সাল পূর্ব ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে পশ্চিম পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য কোন ব্যক্তিকে দেখা যায় না।অথচ পাকিস্তানের তাড়াহুড়ার ফলশ্রুতিতে,হিন্দু পরিচালিত কংগ্রেসের চাণক্য-চাল,মুসলিম রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা ও অদুরদর্শিতায় ফলশ্রুতিতে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট বাংলার মুসলমানরা যে অংশটি পায় তার সীমানা এবং মানচিত্রকে ”পোকায় খাওয়া” এবং ”শুণ্ডু পরিমন্ডিত"(truncated andmoth eaten)একটি মানচিত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়।১৯৪৭ মি. ডসরিল রেডক্লিপের অত্যন্ত তড়িগড়ি করে প্রস্তুত ঐ সীমানা বিভক্তি নিদের্শক চূড়ান্ত পাক-ভারত বাংলাদেশে ইতিহাসে ’রেডক্লিপ রোয়েদাদ’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। রেডক্লিপ সাহেবের ভারতীয় পূর্বাঞ্চল ও পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের মধ্যকার ঐ সীমানা বন্টনকার্য আদতে ভারতে হিন্দু জনগোষ্টির প্রতি নিতান্ত পক্ষপাত দুষ্ট এবং বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্টির স্বার্থের পরিপন্তী উদ্যোগ হিসাবে প্রমাণিত হয়।আমরা হারিয়েছি আমাদের ন্যার্য প্রাপ্য বিপুল ভূকৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ও ভূসম্পদ সমৃদ্ধ মূল্যবান ভূখন্ড। জনসংখ্যার দিক দিয়ে সংখাগরিষ্ট হওয়া সত্তেও পশ্চিম বঙ্গের মুশির্দাবাদ জেলা এবং সিলেট জেলার করিমগঞ্জ মহকুমার সাড়ে তিনটি থানা (বদরপুর,হাইলা,কান্দি,রাতাবাড়ি ও করিমগঞ্জসহ) অযোক্তিকভাবে ভারতকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।ঠিক একইভাবে সুকৌশলে মালদহ জেলার কয়েকটি থানা,উওরবঙ্গের পশ্চিম দিনাজপুর,পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর ও চব্বিশ পরগনার যোক্তিক অধিকার থেকেও বাংলাদেশের মুসলমানদের বঞ্চিত করা হয়।মেঘালয়ের(শিলং শৈলানিবাস) গারো পাহাড় ও খাসিয়া জয়ান্তি পাহাড় অঞ্চলে সংখাগরিষ্ট জনসাধারণ অহিন্দু হওয়া সত্তেও ভূকৌশলগত ঐ পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়।তৎকালীন আসাম রাজ্যের দরঙ্গ,গোয়ালপাড়া এবং নওগাঁ জেলাত্রয় মুসলিম জনসংখ্যা হওয়া সত্তেও এবং কাছার জেলার সংখ্যাগরিষ্ট জনগন মুসলমান হওয়া সত্তেও ঐসব অঞ্চলকে নিঃসংকোচে ভারতকে উপহার দেওয়া হওয়া।১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ –ভারত বিভক্তির সময় করদরাজ্য ত্রিপুরার তৎকালীন রানী মাতা পূর্বপাকিস্তানে যোগ দিতে চান এবং ঐ রাজ্যের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৪%মুসলমান এবং প্রায় ৫২ ভাগ অহিন্দু প্রকৃতি পূজারি উপজাতি হওয়া সত্তেও পরবর্তীতে ত্রিপুরা ভারতে অঈীভূত হয়।আবার পশ্চিম পাকিস্তানে কাশ্মিরের জনসংখ্যা ৮০ভাগ মুসলমান হওয়া সত্তেও সেখানকার রাজার ভারতে যোগ দেওয়া ভাসনাতে তা ভারতে জুড়ে দেওয়া হয়।যা আজও ঐ রাজ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আন্তে পারেনি।এসব সংঘঠিত হওয়ার পেছনে যেমন দায়ী হিন্দু-ব্রিটিশ আঁতাত তেমনি তৎকালীন পাকিস্তানের নেতৃত্বের ঔদাসীন্যতা আর অকর্মন্যতা।আসলে ভারতে গুজরাটের কাথিবারে জম্ম নেওয়া জিন্না তার একক প্রচেষ্টা যতটুকু পেরেছেন,ততটুকু নিয়েছেন।তার জীবন সায়াহেৃ তিনি পৌঁছে গেছেন, এই উপলব্দি থেকে তিনি বোধহয় বড়বেশি তাড়াহুড়া করে ফেলেছেন।কিন্তু আর সব নেতারা মনে হয় বসে বসে ঘাস খেয়েছেন।তাদের ঘাস খাওয়ার নমুনা হিসাবে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্বপাকিস্তানে তাদের উপনিবেশ স্থাপন করেছে।পরে লক্ষ প্রাণের বিনিময় ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তানি উপনিবেশ থেকে মুক্তি পেলাম।বলা যায় তাদের সাথে থাকা ২৩ বছর তারা সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছে।সে তুলনা এই অঞ্চলে অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তান টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক ছাড় দিয়েছেন।১৯৭১সালে ২৫মার্চ তারা তাদের বর্বরতা এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও তারা প্রমাণ দিয়েছে তাদের মাথা ভর্তি গোবর।তারা আমাদের সাথে চুক্তি না করে ভারতের সাথে চুক্তি করেছে,একে গর্দভ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।তারা তাদের সেসব যুদ্ধপরাধীদের বিচার করল না,না চাইলো বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা,না দিলো ক্ষতিপূরণ।কিন্তু এই গর্দভ,অথর্ব জাতিকে একদিন ক্ষমা চাইতে হবে এবং অপরাধের বিচার করতে হবে।সেদিন তারা বুঝবে তাদের অংকার ছিল নিরর্থক এবং সেদিন তারা মানুষ হতে শিখবে।একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি,এতকিছুর পরও আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা ঠিক হবে না।তাহলে মুসলিম বিশ্বের অন্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে ভূল বার্তা যাবে,এ অঞ্চলের কূটনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং ভারত আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।তাই আমাদের কূটনৈতিকভাবেই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চালাতে হবে।
ছবিসূত্রঃ-নেট
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭