মাযহাবীদের জন্য কতিপয় কঠিন প্রশ্ন, যেগুলোর কোন উত্তর পাওয়া যায় না। এই পোষ্ট থেকে কপি পেস্ট করে মাযহাবীদের সত্যের পথে আনার জন্য সকল মুসলিমদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। আল্লাহর জন্যই মুসলিমদের যাবতীয় ইবাদাত।
১। মাযহাব কাকে বলে?
২। মাযহাবের শাব্দিক অর্থ কি?
৩।প্রচলিত চার মাযহাব মান্য করা কি ফরয?
৪। যদি ফরয হয়ে থাকে তা হলে এই ফরযটি উদ্ভাবন করল কে?
৫। ইহা কি সকলের জন্যই?
৬। না কিছু লোকের জন্য?
৭। যারা চার মাযহাব মানে না, তারা কি মুসলমান নয়?
৮। হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী হাম্বলী এই চার মাযহাব কখন
সৃষ্টি হয়েছে?
৯। কে সৃষ্টি করেছে?
১০। কেন করেছে?
১১। ইহা করা এবং মানার জন্য কি আল্লাহএবং রসুলের নির্দেশ আছে?
১২। যাদের নামে মাযহাব সৃষ্টি করা হয়েছে তারা কি এই মাযহাবগুলি বানিয়ে নিতে বলেছেন?
১৩। রাসূল (সঃ) এবং তার সাহাবীগনের মাযহাব কি ছিল?
১৪। উহা কি এখনও প্রচলিত আছে? নাকি বন্ধ হয়ে গেছে?
১৫। বন্ধ হলে কে বন্ধ করল?
১৬। কেন করল?
১৭। বন্ধ করার অধিকার কে দিল?
১৮। আর যদি বন্ধ না হয়ে থাকে, তবে অন্যের নামে মাযহাব সৃষ্টি করার
প্রয়োজন কি?
১৯। চার মাযহাব মান্য করা ফরয হলে যারা চার মাযহাব মানেন না অথবা চার মাযহাব সৃষ্টি হওয়ার আগে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের উপায় কি?
২০। (নাউযুবিল্লাহ) তারা কি দোযখী হবেন?
২১। ইমাম চার জন কোন মাযহাব মানতেন?
২২। তাদের পিতা-মাতা, ওস্তাদ মণ্ডলি ওপূর্বপুরুষগণ কার মাযহাব মেনে চলতেন?
২৩। সেই মাযহাব কি এখন মানা যায় না?
২৪। ঈমানদারীতে ও কুরআন হাদীসের বিদ্যার চার ইমাম শ্রেষ্ঠ ছিলেন না চার খলীফা?
২৫। যদি খলীফাগণ শ্রেষ্ঠ হয়ে থাকেন তবে তাদের নামে মাযহাব হল না কেন?
২৬। তারা কি ঈমামগণ অপেক্ষা কম জ্ঞানীরা যোগ্য ছিলেন?
২৭। নবীর নামে কালেমা পড়বে, ইমামদের নামে মাযহাব মানবে আর পীর-ফকিরদের তরিকা মত চলবে এই নির্দেশ কুরআন হাদীসের কোথায় আছে?
২৮। আল্লাহর নবীর কি মাযহাব বা তরীকা নাই?
২৯। সেই মাযহাব বা তরীকা কি যথেষ্ট নয়?
৩০। নবীর প্রতি ইসলাম কি পরিপূর্ণ করাহয় নাই?
৩১। রাসুলুল্লা (সঃ) কি কামেল নবী নন?
৩২। ইসলাম কি মুকাম্মাল ধর্ম নয়?
৩৩। ইসলাম পূর্ন পরিনত এবং নবী মুহাম্মাদ (সঃ)
কামেল হয়ে থাকলে অন্যের মত ও পথ মান্য করার অবকাশ
কোথায়?
৩৪। যারা পূর্ণ পরিনত ইসলাম এবং কামেল নবীকে অসুম্পূর্ণ প্রমান করে অন্যের দ্বারা তা পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখেছে, তারা কি কুরআন ও হাদীসের
বিরোধিতা করছে না?
৩৫। যে দলটি মুক্তি পাবে বলে নবী (সঃ) সুস্পষ্টভাবে ঘোষনা করেছেন-
সেই নাযাত প্রাপ্ত দল চার মাযহাবের কোনটি?
৩৬। বেহেস্তের পথ বা সিরাতুল মুস্তাকীম বুঝাবার জন্য নবী (সঃ)
একটি সরল রেখা অঙ্কন করে বললেন, ইহা আল্লাহর পথ। তোমরা ইহার অনুসরণ কর। তৎপর ঐ সরল রেখাটির ডানে ও বামে কতকগুলি রেখা আঁকলেন এবং বললেন, এই পথ গুলির প্রত্যেকটির একটি করে শয়তান আছে। তারা নিজ নিজ পথের দিকে ডাকছে। তোমরা ঐ পথ গুলির অনুসরণ করিও না। যদি কর, তা হলে তারা তোমাদিগকে সরল পথ হতে বিভ্রান্ত করে ফেলবে-(মিশকাত)। এই হাদিস অনুযায়ী রসুলের (সঃ)পথ সিরাতুল মুস্তাকীম
ব্যতীত অন্য পথগুলি কি শয়তানের পথ নয়?
৩৭। কালেমা পড়া হয় নবী (সঃ) এর নামে, কবরে রাখা হয় নবীর(সঃ)
তরীকায়, কবরে জিজ্ঞাসা করা হবে নবীর (সঃ) কথা, হাশর ময়দানেও
নবীর(সঃ) শাফায়াত করবেন- সেই মহা নবী (সঃ)এর তরীকা বাদ দিয়ে অন্যের তরিকা মানলে নাজাত পাওয়া যাবে কি?
৩৮। বাংলাদেশে মাযহাব ও পীরের অন্ত নাই; যত পীর তত তরীকা। পীর
সাহেবরা আজকাল কেবলা বানিয়ে নিয়েছে। মানুষ কি মানুষের কেবলা হতে পারে?
৩৯। তারা তাদের আস্তানাগুলিকে দায়রাশরীফ, খানকা শরীফ, মাযার শরীফ, ওরশ শরীফ, উরসেকুল প্রভৃতি নাম দিয়ে মুসলমানদের
তীর্থস্থান মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের অবমাননার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে।
৪০। এগুলি কি দ্বীন ও
শরিয়তের
নামে ভণ্ডামি নয়?
৪১। মুসলমানদের আল্লাহ এক,
নবী এক, কুরআন এক,
কেবলা এক এবং একই তাদের
ধর্মকর্ম রীতি-নীতি।
সুতরাং তাদের মুক্তি ও
কল্যাণের পথ হচ্ছে মাত্র
একটিই। যা ইসলাম,
সিরাতে মুস্তাকীম
বা তরিকায়ে মুহাম্মাদী।