somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“Nice guy syndrome” বা অতিরিক্ত ভালো ছেলের লক্ষণ, এর অপকারিতা এবং প্যাটার্ন ব্রেক করবার কিছু উপায়

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ আবার কেমন কথা ! এত অদ্ভুত ব্যপার তো কোনদিন শুনিনি ! ঠিক একইরকম ভাবনা এসেছিল আমার মনেও, কয়েক বছর আগে প্রথমবার যখন ডক্টর রবার্ট গ্লোভারের বইটি পড়তে শুরু করি আমি । বইটির নাম “নো মোর মিস্টার নাইস গাই” । অনেকটা কৌতূহলের বশে বইটা পড়তে শুরু করবার পর যতই বইটির ভেতরে ঢুকতে থাকি ততটাই আমি নিশ্চিত হতে থাকি যে রবার্ট গ্লোভার এ বইটি লেখবার সময় কয়েক বছর ধরে আমাকে দূর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে লক্ষ্য করে গেছেন, মোট কথা এই বইটির সাবজেক্ট হিসাবে আবিষ্কার করি আমি নিজেকে । বইটার প্রতিটা চ্যাপটারেই নিজেকে দেখতে থাকি আমি আর সেই যে নিজেকে আবিষ্কারের নেশা শুরু তা আজ অবধি চলছে । হ্যাঁ, এ বইটা পড়বার পরেই আবিষ্কার করতে থাকি যে আমরা যারা নিজেদেরকে ভাল ছেলে বলে দাবী করি তাদের মাঝে এমন কিছু সমস্যা আছে বা থাকতে পারে যা আমাদের জীবনের কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে রোমান্টিক সম্পর্কগুলোর জন্যও খুব খারাপ ফলাফল বয়ে আনতে পারে । ধীরে ধীরে আমি বুঝতে শুরু করি যে আমার এই ভালো ছেলে মনোভাব অনেক ভাবেই আমার জীবনে নিয়ে আসছিল বিপর্যয় এবং আমার ব্যক্তিগত প্রতিভা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও যা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল, জীবনে ভাল হওয়ার সাথে সাথে ব্যক্তিগত বাউন্ডারি, সেলফ-কেয়ার আর ১০০% সততা যে কতটা জরুরী তা অনুভব করতে শুরু করি আমি। আর এটাই ছিলো সচেতনতার সাথে জীবনে আত্মোন্নয়ন শুরু করবার প্রথম ধাপ । যদিও আমি মনে করি যে, আত্মোন্নয়ন এমন একটা ব্যপার যা আমাদেরকে হয়তবা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে , তবে এর প্রথম ধাপ হলো নিজের ভাল-খারাপ সবগুলো গুনের ব্যপারে সচেতনতা । আর সত্যি কথা বলতে কি এই বইটি পড়বার আগে নিজের অনেক দোষ আমি ওভারলুক করে যেতাম নিজের মনের অজান্তেই সাইকোলজি তে যাকে বলা হয় “ডিফেন্স মেকানিজম” । এমনকি অতীতে ঘটে যাওয়া পুরনো কিছু ঘটনাকেও নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পাওয়াটা ছিলো আমার জন্য জীবনের সবচাইতে বড় পাওয়া ।


"Nice guys finish last" এ কথাটি আমরা অনেকেই শুনেছি । হয়তবা এমনও হয়েছে যে, আপনার চোখের সামনেই আপনার ভালোবাসার মানুষটি ব্যাড বয় টাইপ কোন এক ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়েছে অথচ তার জন্য নিজের প্রায় সবটাও বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলেন আপনি । এটা কি গ্রহণযোগ্য ? ভাল হওয়াটা কি তাহলে খারাপ ? মোটেই নয় । তবে অন্যকে প্রাধান্য দেয়াটা যখন আপনার চরিত্রের একটা প্যাটার্নে পরিণত হয় তখন আপনি নিজেকে অবহেলা করতে শুরু করেন আর এই সময়ই আপনার ভাল ছেলে বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাকফায়ার করতে শুরু করে । সামাজিক কন্ডিশনিং এর কারণে একটি ভাল ছেলের ধারণা হয় যে, সে নিজে যদি ভাল, দয়ালু এবং কেয়ারিং মনোভাবের হয় তাহলেই তার জীবনে সে ভালোবাসা পাবে, স্বীকৃত হবে এবং তার জীবন মসৃন হয়ে উঠবে । অথচ হয় ঠিক তার উল্টো ।
নিজেকে ভালো ছেলে ভাবতে ভাবতে নিজের মনের অজান্তেই জীবনে আসা প্রেমিকার জন্য সব বিলিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে ব্রেক আপ অথবা ছাড়াছাড়ির পর তাকে দোষারোপ করবার একটা প্যাটার্ন ছাড়াও আরো নানা রকম অদ্ভুত গুণাবলী দেখতে পাওয়া যায় এই ভালো ছেলেদের মাঝে । আর তাদের এই বিভিন্ন রকমের প্যাটার্ন এবং তার পেছনের কারণ ছাড়াও কিভাবে এই সব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো পরিবর্তন করা যায় সেই সবকিছু নিয়েই বইটি লেখেন নিজেও “নাইস গাই সিন্ড্রোমে” ভোগা কাউন্সিলর ডক্টর রবার্ট গ্লোভার, আর নব্বই এর দশকে লেখা তার এই বইটি বেস্ট সেলার হওয়া ছাড়াও প্রায় প্রতিটা কাউন্সিলর এর ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে অবস্থান করে নেয় । এমনকি পরবর্তিতে আরো প্রচুর বই এর ব্যাকগ্রাউন্ড থিউরি থেকে শুরু করে পুরুষ ও নারীর সম্পর্কবিষয়ক বইগুলোরও একটা রেফারেন্স হয়ে ওঠে এই “No more Mr. Nice Guy” বইটি । এবার জেনে নিন এই ব্যক্তিত্বের অধিকারী লোকের কিছু সেন্টিমেন্ট

কিছু ভাল ছেলে টাইপ সেন্টিমেন্ট
আমি আমার দেখা সবচাইতে ভাল ছেলেদের মাঝে একজন ।
আমি জীবনে পাওয়ার চাইতে দেই অনেক বেশি অথচ খুব কম মানুষ তা বুঝে ।
এই সব কিছুর বিনিময়ে আমি শুধু স্বীকৃত হতে চেয়েছি, এই চাওয়াটা কি খুব বেশি ?
আমার উদ্দেশ্য/অভিপ্রায় সৎ হওয়ার পরেও কেন মানুষ আমাকে ভুল বোঝে ?
মেয়েরা আমার মত ভাল ছেলেকে পেলে বুঝত ভালোবাসা কাকে বলে !
আমার প্রেমিকা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে অথচ আজও আমি তাকে ভালোবেসে যাচ্ছি ।

আরো কিছু প্যাটার্ন

*প্রায়ই ভালো ছেলেরা সদ্য পরিচিত কোন মেয়ের জন্য এমন অনেক কিছু করে থাকে যা স্বাভাবিক ভাবে অন্য সবার জন্য করবে না ।
*একটি ভালো লাগা মেয়ের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করাটাও এই ছেলেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, আর এই থেরাপিস্টের কাজটা তার কাছে কিছুটা নেশার মত হয়ে ওঠে ।
* মেয়েদেরকে রাগাতে ভয় পায় এই অতিরিক্ত ভালো ছেলেরা ।
* বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেকে মেয়েদের বন্ধু বা থেরাপিস্টের আসনে দেখতে পাওয়া ।
* ভালো ছেলেরা মেয়েদের প্রতি প্যাসিভ- অ্যাগ্রেসিভ ।
* অন্যের অনুমোদন এর প্রতি একটা চাহিদা নিজের অজান্তেই তৈরি হয় ।
* অন্যের সাথে সংঘাত এড়িয়ে চলবার একটা প্রবণতা তৈরি হয় ।
* সংঘাত এড়িয়ে চলবার প্রবণতা থেকে তার মাঝে ম্যানিপুলেটিভ ব্যক্তিত্ব তৈরি হয় । ( উদাহরণঃ প্রচণ্ড ভাল ব্যবহারের বিনিময়ে মেয়েদের কাছে ভালোবাসা আশা করা ।)
* নিজস্ব ত্রুটি এবং ভুলগুলো মানুষের কাছ থেকে লুকানোর একটা প্যাটার্ন তৈরি হয় ফলাফল হিসাবে ছোটখাট মিথ্যা বলবার অভ্যাস সৃষ্টি হয় ।
* সবসময় একটি কাজ সঠিক ভাবে করবার দিকে অতিরিক্ত মানসিক এনার্জি খরচ করে ফেলা ।
* “না” শব্দটি বলতে পারার একটি অক্ষমতা তৈরি হয় তার মাঝে ।
* নিজেকে প্রাধান্য দিতেও তার মাঝে কিছু অপরাধবোধের সৃষ্টি হয় ।
* মানসিক ভাবে এরা তাদের পার্টনারের ওপর ডিপেন্ডেন্ট হয়ে উঠে ফলাফল হিসাবে ভালোবাসার মানুষটিও তাকে দুর্বল ধরে নেয় এবং অবচেতনে সম্মান হারাতে থাকে ।
* নিজস্ব ক্ষমতা বর্জন করে নিজেকে ভিক্টিম এর আসনে বসানো ।হতাশাগ্রস্ত হওয়া । পেসিমিস্টিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন ।
* ভালোবাসার সম্পর্কগুলোতে প্রায়ই হতাশাগ্রস্ত মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ ।
* সবশেষে নিজের পূর্ণ প্রতিভা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় এই ছেলেরা ।
* পুরুষ মানুষ হিসাবে নিজের প্রতি একরকমের অপরাধবোধ তৈরি হয় এসব ছেলের অবচেতনে যার ফলাফল হিসাবে তার মাঝে নিজেকে মেয়েদের থেকে নিম্ন অবস্থানে ফেলবার প্রবণতা সৃষ্টি হয় ।


ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলবো যে এ ব্যপারগুলো জানার পর প্রথমেই একটা ছেলের মধ্যে যে প্রবণতা আসবে তা হলো একদম উল্টো অর্থাৎ ব্যাড বয় স্টেরিওটাইপ হতে চাওয়া । যাকে সাইকোলজি তে বলা হয়ে থাকে শ্যাডো পারসোনালিটি । অথচ জীবনে প্রতিটা ক্ষেত্রে ব্যাল্যান্স খুব জরুরী । আশা করি এটা মনে রাখবেন পাঠক । আমার নিজের ফলো করা কিছু পয়েন্ট থেকে এই অতিরিক্ত ভাল ছেলে স্টেরিওটাইপ প্যাটার্ন ব্রেক করবার উদাহরণ দিচ্ছি এবার । উপরোক্ত লক্ষণ গুলো আপনার সাথে মিলে গেলে এর থেকে ভাল ফলাফল পাবেন আশা করা যায় ।

১। সবার সাথে একমত হওয়া বন্ধ করুনঃ
জীবনে অবশ্যই কিছু কিছু ব্যপারে আপনার মজবুত কিছু দর্শন থাকতে হবে । অবশ্যই অপরের কথা শুনবেন তবে তাই বলে কাউকে( বিশেষ করে মেয়েদের কথা) খুশি করবার জন্য তার সাথে একমত হবার প্রবণতা বর্জন করতে হবে , নয়তবা আপনার ব্যক্তিত্ব কম বলে ধরে নেবে আশেপাশের লোকজন । ব্যাল্যান্স শব্দটি মনে রাখতে চেষ্টা করবেন ।

২। না বলতে শিখাঃ
হ্যাঁ বলাটা যদি আপনার চরিত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়ে তবে অবশ্যই সচেতনতার সাথে আপনাকে তা বর্জন করতে হবে । শুধু কাউকে খুশি করতে যখনই আপনি হ্যাঁ বলবেন তখনই অবচেতনে আপনার সেলফ-এস্টিম ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।

৩। ব্যক্তিগত লাইন অথবা বাউন্ডারী আঁকুনঃ
ভালো ছেলেদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তারা অনেক সময়ই ব্যক্তিগত অপমান সহ্য করে যায় । মনে রাখবেন – আপনাকে অপমান বা উপেক্ষা করবার মত বড় কেউ নয়, এমনকি আপনার গার্লফ্রেন্ডও নয় । আপনার আইডিয়া আপনার একজন কলিগ তার বলে চালিয়ে দিল – তাকে কিছু না বললে আপনি ভাল নন – বরং কাপুরুষ । ব্যক্তিগত দর্শনগুলো শক্তভাবে মেইন্টেইন করতে শিখুন, এবং প্রেমিকার জন্যও তা পরিবর্তন করবেন না যদি না আপনি নিজে থেকে অনুভব করেন । অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে আপনার জীবনে খুব শক্ত একটা বাউন্ডারী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষ মানুষ হিসাবে আপনাকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে যাবার পথে বড় একটি ধাপ ।


৪। সংঘাত ফেইস করুনঃ
ভায়োলেন্স ছাড়াও সংঘাতের সমাধান করা যায় । সেটা শিখতে চেষ্টা করুন । সংঘাত এড়াতে গিয়ে নিজের মূল্যবোধ কোনভাবেই বিসর্জন দেয়া যাবে না । অবশ্যই নিজের দোষ দেখতে পেলে সঠিকভাবে তা স্বীকার করে কোন ব্যপার মীমাংসা করা সম্ভব । আবার সংঘাত এড়িয়ে চলবার প্রবণতা থেকে অনেক সময় ক্ষোভ জমতে থাকে এবং ফলাফল হিসাবে প্যাসিভ- অ্যাগ্রেসিভ আচরণ দেখা যায় । তাই সঠিক উপায়ে ক্ষোভের কথা আশেপাশের মানুষকে জানাতে শিখুন ।

৫। জীবনে সচেতনতার সাথে গতি রক্ষা করে চলুন
নিজের এবং অন্যের ব্যপারে ধৈর্যশীল হতে শিখুন । কর্মক্ষেত্রে এর অর্থ হটাত করে অতিরিক্ত কাজের ভার না নিয়ে নেয়া আর রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্তে না আসা । অথবা কাউকে খুব তাড়াতাড়ি সবটা না দেয়া । বুঝতে শিখুন যে জীবনের প্রতিটি সম্পর্কের রাস্তার লেইন দু-মুখো ।
অফিস থেকে যদি নিয়মিত লেইট করে বাড়ি ফিরেন বা অন্যের কাজ করে দেন তবে আপনার কলিগ বা বস অবচেতনে এটাই ধরে নেবে যে আপনার সময়ের তেমন মূল্য নেই অথবা আপনি হয়ত কাজ করতেই ভাল বাসেন, যার ফলাফল হবে আপনার জন্য খারাপ । রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গিফট, ফুল বা জুয়েলারি দিয়ে অতিরিক্ত ইন্টারেস্ট দেখানোর প্রবণতা থেকে বিরত থাকুন । বড় কিছু করবার আগে সময় নিয়ে এক একটি ধাপ পার করুন । প্রেম করতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত লাইফস্টাইল পরিবর্তন করবার আগে দশবার চিন্তা করুন। আর অবশ্যই প্রেমিকার জন্য বন্ধু এবং ব্যক্তিগত প্যাশন ছাড়া যাবে না মনে রাখুন । বন্ধু তারাই যারা আপনার খারাপ সময়ে আপনার পাশে থেকেছে । ভাল সময়ে তাদের ভুলে গেলে চলবে না । শুধু সুন্দরী বলেই একটি মেয়ের আপনার সাথে যেমন-তেমন ব্যবহার করার কোন অজুহাত থকতে পারে না । এটা মেনে চললে মেয়েরাও আপনাকে শুধু বন্ধু হিসাবে না দেখে বরং সম্মান করতে শিখবে মনে রাখুন ।

৬। আপনার সুখী হওয়ার জন্য আর কারোর সুখ আপনার দরকার নেইঃ
আজকাল প্রায়ই ভাল ছেলেদের বলতে শোনা যায় যে “ আমি শুধু চাই যে সে সুখে থাকুক তাহলেই আমিও খুশি হবো ।” একদম ভুল কনসেপ্ট । বরং নিজে খুশি থাকলেই আপনি অতীতের মানুষগুলোর প্রতি রাগ ভুলে যেতে পারবেন এবং সত্যিকার অর্থে তাকে ক্ষমা করতে পারবেন । আপনার সুখ যখন অন্য কারো সুখের ওপর নির্ভর করে তখন সে এটাই ধরে নেয় যে আপনি ইমোশনালী অতিরিক্ত ডিপেন্ডেন্ট এবং এটা কাছের লোককেও দূরে সরিয়ে দেয় । তাই সবার আগে নিজের ওপর নির্ভর করতে শিখুন ।

৭। আপনার ব্যপারে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধে ভাবতে শিখুন
আমাদের সমাজ ব্যবস্থাই এমন যে ছোটবেলা থেকে পাছে লোকে কি বলে মনোভাব আমাদের অনেকের মনে বড় ছাপ ফেলে যায় । তাই সচেতন হয়ে নিজের ইচ্ছা এবং স্বপ্নগুলোকে মর্যাদা দিতে শিখুন আর অন্যের নেগেটিভ মন্তব্য থেকে বাঁচবার উপায় খোজা বন্ধ করুন । সবসময় আপনার কাছে যেটা সঠিক বলে মনে হচ্ছে তাই করুন , অন্যরা যা বলে বলুক, এতে আপনি নিজেকে সম্মান করতে শিখবেন । আপনার সুখী হবার ক্ষেত্রে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আত্ম-সম্মান ।

৮। সবশেষে ভালো ছেলে হয়েই থাকুনঃ
আপনার ভালো গুনগুলোই যে আপনাকে বিপর্যয়ের মুখোমুখি দার করিয়ে দেয় তা নয় । আপনি একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষ মানুষ হতে পারেন একজন ব্যাড বয় না হয়েও ।আত্মসম্মান রেখে আপনি মেয়েদের সম্মান করতেই পারেন । নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন না দিয়েও আপনি অন্যের কাজ করে দিতে পারেন । সবকিছুর মাঝেই ব্যলান্স খুঁজে নিতে হবে আপনাকে । নিজেকে সবসময় আপনার ভালো লাগার ব্যক্তিদের মাঝে রাখুন যারা আপনাকে একইসাথে সম্মান এবং ভালবাসতে জানে । এবং অন্যকে সম্মান করবার সাথে সাথে আপনার সাথে ব্যবহার করবার সঠিক উপায় দেখিয়ে দিতে ভুলবেন না ।

ভালো থাকবেন ।

https://www.facebook.com/DoctorXBD


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৬
৩২টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×