মানুষ আজকাল শিল্প কে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যেন শিল্প শব্দটি শুনলেই কেমন যেন ভয় লাগে। আর কিছু না হোক তারা জীবনানন্দের নামটা কিন্তু জানে। শিল্পী তুমি কয়টি জীবনানন্দ পড়েছো শুনি!
গল্প কবিতায় যে কেউ তার নিজের মত করে নিজের বর্ননায় প্রেম ভালবাসা আক্ষেপ তুলে ধরতে পারে। সেখানে যৌনতাও আসতে পারে। ফিরে দেখো রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শামসুর রহমান এমন কি হেলাল হাফিজ সহ সব লেখক কোন না কোন সময় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে। তাই বলে তারা খাপছাড়া কোন কথা, রুচির বিপরীতে কোন মন্তব্য করে যায়নি। এক বোতল থিনার কে আমি যদি বাতাসের মধ্যে খুলে রাখি তবে তা মিলিয়ে যাবে। কিন্তু তার খাপ যদি বন্ধ রাখি, প্রয়োজনে খুলে সঠিক জায়গায় ব্যবহার করি তবেই তার উপকারিতা আমি লাভ করতে পারব। তেমনি একটি বই কিংবা একটি গল্প কিংবা একটি কবিতা, তার চেয়েও ক্ষুদ্র একটি চরণ, যদি তার থেকে কিছু শিখতেই না পারি তাহলে সেই বই কিংবা কবিতা কিংবা লেখাগুলো ডাস্টবিনেই শোভা পায়।
সাহিত্যের নামে এইসব পেডোফিলিয়ার হাত থেকে সমাজকে মুক্ত করার এক বুক আশা নিয়ে বেঁচে আছি। হয়ত কোন একদিন কোন গল্পকার কিংবা কবির কবিতা হাতে নিয়ে বলব, আমাদের সাহিত্য বেঁচে গেছে পেডোফিলিয়ার হাত থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫