আজকের লিখার প্রথমেই পৃথিবীর বুকে বসবাস
করা কয়েক কুত্তার জবানী দিয়ে শুরু করছি। কত
বড় কুকুর হলে নির্মম মানুষ হত্যার পক্ষে শুর
তূলা সম্ভব তা আমার জানা নেই। প্রথমেই
ওবামা নামক কালা কুত্তা ইসরাইলের
সমর্থন দেয় এর ধারাবাহিকতায় মানকি মুন,
ইহুদিবাদী ধর্মগুরু রাবাই,
সাদা কুত্তা ঢং কেরি এবং সর্ব শেষ রন
ডারমার ঘেউ ঘেউ শব্দের
মাধ্যমে কালা কুত্তা ওবামার পক্ষ নেয়! আর
এদের এই ঘেউ ঘেউ শব্দ শুনে আমি নিশ্চিত
হতে পারি এরা প্রত্যেকেই কুকুর, কুকুর এবং কুকুর!
কুকুরদের ঘেউ ঘেউ এর
কিছুটা নমুনা নিচে তুলে ধরলাম।
• ফিলিস্তিনিরা ঐতিহ্যগতভাবে যুদ্ধবাজ।
এটা আরব বিশ্বের সংস্কৃতি বিশেষ করে তাদের
ধর্মের মধ্যে নিহিত। - রন ডার্মার
• প্রয়োজনে পুরো গাজা ধ্বংস করে দেয়ার
অনুমতিও সেনাবাহিনীর থাকবে।
ইহুদিবাদী ধর্মগুরু রাবাই।
• পুরাফিলিস্তিনির হামাসের ‘জঘন্য’ রকেট
হামলা বন্ধ করতে হবে: মাংকি মুন, বিশ্ব
কুজাতিসংঘ (বান কি মুন)।
• মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রি জন কেরি বলেছেন,
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়
ইসরাইলি হামলা ‘সঠিক ও বৈধ’।
• ফিলিস্তিনিকে মারা বৈধ এবং ইসরায়েলের
অধিকার আছে তাদের আত্মরক্ষা করার ।
প্রেসিডেন্ট ওবামা।
• ‘অকল্পনীয় ধৈর্যের’ পরিচয় দিয়েছে সেজন্য
ইসরাইলি সৈন্যদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হোক
রাষ্ট্রদূত রন ডারমার।
আফসুস এরপরেও আপনের কন্ঠে একটু প্রতিবাদ
নেই?! এর পরও আপনি চুপ থাকবেন? ভাল
তাহলে আপনিও তাদের চেয়ে কম কোথায়?
অবাক লাগছে এর পরেও আরব লীগ,
সৌদি আরাবিয়া, কাতার, কুয়েত, আরব
আমিরাত, দুবাই চুপ! মুসলিম বিশ্বের প্রধান
প্রধানরাও চুপ? শুধু মুসলিম বিশ্বের প্রধান নয়
আমাদের ধর্মিয় গুরুরাও চুপ! আফসুস! তাদের
সাথে আপনিও চুপ হয়ে গেলেন?
কিছু বললেই আমি কি করবু? আমাদের কি করার
আছে? জাতিসংঘ বলছে উরা ভাল আমার
কি করার আছে? আরব
দেশগুলা বলে না আমি কেন বলে না আমি কেন
বলব? ইত্যাদি, ইত্যাদি। কিন্তু করার
ইচ্ছে থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
১। ইসরাইলী পন্য বৈকট করতে পারি। এতে শুধু
ফিলিস্তিনি নয় আমাদের দেশও উপকৃত হতে পারে।
২। ইসরাইলী পন্য-এর সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক
করতে পারি আলোচনা এবং প্রচারের মাধ্যমে।
৩। অ্যামেরিকা এবং কুজাতিসংঘ এর আসল রুপ
সকলের কাছে তুলে ধরতে পারি।
৪। নিজেরা ভিবিন্ন অনলাইন অ্যাক্টিভিটিস এর
মাধ্যমে ঘিন্যা প্রদর্শন করতে পারি।
৫। মাল্লু আর ভারতিয় খান দের
পেজে গিয়ে দালালী না করে ফিলিস্তিনি পেজ
গ্রুপগুলোতে গিয়ে সমর্থন জানাতে পারি।
৬। যারা সরাসরি এবং আঁকার
ঈংগিতে ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে তাদের
ঘিন্যা করতে পারি।
৭। যে সকল কুকুর ইসরাইলে শান্তি ভ্রমন
করে তাদের প্রতি সমর্থন দেয় তাদের থুথু
দিতে পারি।
৮। ইসরাইলের ইয়াহুদি এজেন্টদের পরিচয় সকলের
সামনে তুলে ধরতে পারি।
৯। অমুসলিম - মুসলিম যে সকল মানুষ ইসরাইলের
বিপক্ষে প্রতিবাদ করেছে তাদের ধন্যবাদ
দিতে পারি।
সর্ব শেষ এবং সবেচেয়ে শক্তিশালী কাজ
যেটা আমরা করতে পারি খুব সহজেই। দিনের
মাত্র দশটি মিনিট সময় অপচয় করে মহান
সৃষ্টি কর্তার কাছে দোয়া চাইতে পারি। কারন
মুসলিমের সবচেয়ে বড় হাতিয়ারই হচ্ছে দোয়া! এই
দোয়া ধ্বংস করে দিতে পারে আসমান জমিন।
দোয়া করতে পারি মুসলিম জাঁতির ঐক্যের জন্য।