স্বর্ণকমল অঙ্গ লতায় তার চক্ষু ভরা মায়া,
কাজল কালো ওই চোখে ভালোবাসার ছায়া।
মনভরে যায় দেখে তারে হাসিমুখে কলসি কাঁখে
রোজ দুপুরে আমার তরী যখন ভিড়ে সেই ঘাটে।
রুদ্র জিলিক রূপের আগুন দেখে না'পাই দিশা,
হৃদয় থাকে ঘাটেই পড়ে তাই তো ফিরে আসা।
কত আশা মনের ঘরে বলবো কথা হৃদয় খোলে,
ভুলেও যদি বন্ধু আমার একটু সময় বসে পাশে।
বলবো কি আর দুঃখের কথা মনের কতো ব্যথা,
এতো দিনেও বুঝলোনা সে আমার যাওয়া আসা।
দেখে আমায় একটু হাসে চোখ পড়ে যখন চোখে,
বুকের সাথে খালি কলস ধরেই থাকে শক্ত করে।
হয় তো বুঝে একলা মনে আমার চোখের ভাষা,
দেয়না বোঝতে আমায় কিছু হয়তো বুঝে খোদা।
রূপ কুমারীর রূপ সাগরে আমি বুঝি যাচ্ছি ডুবে,
হোক'না মরণ যদিনা সে টেনে তুলে হাতটি ধরে।
হও যদি গো মনের রাণী আমি হবো রাজা
ভালোবাসা দেবো তোমায় যেন বাধ্য প্রজা।
নিশি জেগে প্রতি রাতে চন্দ্রালোকে ভাসবো সুখে,
অমানিশা অন্ধকারে জোছনা রবেই আমার ঘরে।
------------------------
ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে...। (গান)
আমার বুকের ভিতরে, অন্দর কঠোরে,
ভালোবেসে রেখেছি যাকে,
হৃদয় খুলিয়া বিছানা করিয়া
রাখিয়াছি যতন করে।।
আজ বিরহের আগুনে, একাকী গোপনে
দিবানিশি অন্তর শুধু জ্বলে...
জ্বলে শুধু অন্তর জ্বলে
ও মিনতি
ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে।।
তোমাকে আমি ভালোবাসি
আমার অন্তর দিয়ে,
জীবন মরণে তোমাতেই আমি
রয়ে যাবো মিশে।।
আজ মনের বাসরে, তোমারি কারণে
অন্তর আমার কেঁদে মরে...
জ্বলে শুধু অন্তর জ্বলে
ও মিনতি
ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে।।
চন্দ্র তারা বনের লতা
সাক্ষী করে তুমি,
আমার চোখে চোখ রাখিয়া
বলতে তোমারি আমি।।
আজ ভুলিয়া সে কথা, অন্যের ঘরে গেলা
ভাবতেই চোখ দুটি জলে ভরে....
জ্বলে শুধু অন্তর জ্বলে
ও মিনতি
ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে।।
আমার বুকের......ঐ
গান:- ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে
কথা ও সুর : নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
গানটি প্রায় ষোলো বছর আগে লেখা। তখনো গেয়েছি এই সুরেই। ২০০০ সালে আমার প্রথম হারানো ব্যথা ভরা অনুভবে গানটি লেখা প্রিয় মানুষটির নামেই। গতকাল সুরটাকে ধরে রাখতে নিজের গলায় রেকর্ড করে রাখলাম। থাকুক স্মৃতিগুলো, যেন হারিয়ে না ফেলি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩০