somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নটি ভেঙে গেল, স্তব্ধ আমি, বসে আছি... (গল্প)

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সবাই খুব আনন্দ করছে। হাসছে, কেউ কেউ তো গানও গাইছে। সবার মধ্যে কেমন যেন হাসিখুশি ভাব। সামনে বড় পর্দায় চিত্র ভাসছে। সবাই সেই চিত্র প্রদর্শনেই আনন্দ করছে। কোন কোন জায়গায় ছোট পর্দা, কোথাও একটু মাঝারী, কোথাও বা একটু বেশিই বড়। নয়ন যেখানে বসে আছে তার সামনে যে পর্দা সেটাও একটু বড়ই। সেই পর্দার চিত্র দেখেই আনন্দিত হচ্ছে আসে পাশের সবাই। সামনে বসার জন্য বেঞ্চ, কখনো বা খুটির ওপর কাঠের তক্তা সেট করে দেওয়া। তার উপরেই সবাই বসে আছে, দেখছে, দেখছে নয়নও। হাসছে, খুব হাসছে একটু দূরে বসে থাকা মেয়েটি। তার সঙ্গে একজন ছেলেও বসে আছে। ছেলেটি বারবার একটু দমকের সুরেই বলছে একটু কম হাসতে। কিন্তু মেয়েটি মাঝেমধ্যেই হেসে ওঠছে। নয়ন এবার গার ঘুরিয়ে একটু দেখার চেষ্টা করছে, এত সুন্দর হাসছে। মেয়েটিকে একনজর দেখার স্বাদ পেয়ে গেল। কিন্তু তেমন দেখতে পেল না মুখটা। চারিদিক বিদ্যুতের আলো থাকলেও মেয়েটি যেখানটায় বসা, সেখানে কেমন যেন একটু অন্ধকার, আলোর মাঝে আলোর ছায়া। মেয়েটি মাথায় সম্ভবত চাদর পেচানো। চাদরের ছায়া পড়ে মুখটা আর দেখতেই পেল না নয়ন। হাসছে মেয়েটি। নয়ন তার দিকে চাইতেই হাসিটা থেমে গেল। নয়ন কি যেন একটা অপরাধবোধ মনে করলো। তাই আর বাকি সময় মেয়েটির দিকে তাকাইলো না নয়ন।

নয়ন মুগ্ধ হয়েই ছবি দেখছে সামনের বড় পর্দায়। কিছুক্ষণ পর সামিদুল আসলো। নয়নের পাশেই বসে আছে। ভাই কেমন আছেন। ভালো আছি, বসো। তখন পর্দায় গান চলছিল। না না, ছবির কোন গান না। এটা কারোর খালি গলায় গাওয়া। কিন্তু সামনের পর্দায় কেন শুনা যাচ্ছে! নয়নের একটু কৌতূহল লাগলো। নয়ন বুঝতে পারলো সামিদুলের কথায়। হয়তো মাউথপিচ এ গাইছে আঁড়াল থেকে কেউ। ভাই একটা গান গাবেন আজ। আপনার গান এদের চেয়েও ভালো হবে। নয়ন সাধারণত এসব জায়গায় গান গায়নি কখনো। তবুও আজ কেমন যেন মন চাইছে নিজেও একটা গান গাইবে। কিন্তু অপরিচিত জায়গা, কেউ চিনে না তাদের কাছে গান গাওয়ার আবদার করতে চাওয়াটা কেমন যেন অস্বস্তিবোধ করছে নয়ন। তাই গান আর গাওয়া হইল না।

ধীরেধীরে কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গেল সবগুলো বেঞ্চ। সামিদুলও চলে গেল, বলে। দু-তিন বেঞ্চ দূরে মেয়েটি বসেই আছে তখনো, পাশে একটা ছেলে। নয়ন চিনে না কাউকে। এবার নয়নও ভাবছে চলেই যাবে। গান আর গাওয়া হলো না। নয়নের ইচ্ছে ছিল যদিও গান গান গাওয়ার, কিন্তু পরিস্থিতি তেমন হলো না যেন আর।

চতুর দিকে ভাসা পানি। অন্ধকার রাত্রি। চারিদিক অন্ধকার। ওপারে যেতে হবে। কোন ফেরি নেই, নৌকা নেই। যাওয়ার কোন উপায়ও নেই। কি করবে এখন। কেমনে যাবে ওপারে। ঘাটের কাছে একটু আলো জ্বলছে। সম্ভবত কোন নৌকার ছইয়ার ভেতর হারিকেন বা কুপি হবে হয়তো। নয়ন একটু আশ্বস্তই হলো। কাছে গিয়ে জানতে পারলো, না, তারা ওই দিকে যাবে না। নৌকাটি নয়নের বিপরীত দিকে যাবে। কোনমতেই নয়নকে ওপারে নিয়ে যেতে রাজি হবে না মাঝি। তাই মাঝিকে আর বিরক্ত করলো না নয়ন। পারে দাঁড়িয়ে আছে। কি করবে। তাহলে কি আজ সাত্রিয়ে যেতে হবে। যেতে তো হবেই। দেরি করে আর লাভ কি। ভিজুক সব, তবুও যেতে হবে। পানিতে নেমে পড়লো নয়ন। ওপারে বিদ্যুতের আলো দেখা যাচ্ছে। হেটে হেটেই যাচ্ছে নয়ন। বুক পানি। ধীরেধীরে এগিয়ে যাচ্ছে পাড়ের দিকে। মাঝখানটায় আসতেই নয়নের চোখে পড়লো তার বাম পার্শ্বে কি যেন ভাসছে। হ্যা ভাসছে। একজন মেয়ে ভেসে আছে পানিতে। মেয়ে কিনা মহিলা তা বোঝা গেল না অন্ধকারে। মনে হচ্ছে পানির উপর শুয়ে আছে। বুকে তার একটি ছোট বাচ্চার মতো মনে হচ্ছে। প্রথম হঠাৎ দেখে নয়নের একটু ভয়ই চেপে গেল মনে। এ আবার কেমনে সম্ভব! পানির উপর শোয়ে আছে বুকে বাচ্চা নিয়ে! শোয়ে আছে না, সেও ওপারে যাচ্ছে সম্ভবত। নয়ন জিজ্ঞেস করতেই উত্তর এল, নয়ন ভাই, আমাকে নিয়ে যান ওপারে। নয়ন কাছে গেল। সে দুটি কলাগাছের তৈরি ভেলার উপর শোয়া, বুকে একটা বাচ্চা। নয়ন জিজ্ঞেস করছে এভাবে কেন আপনি। কোথায় থাকেন, যাবেন কোথায়? মেয়েটি বলে, ভাই, আমাকে আপনি চিনবেন না। আমি আপনাকে চিনি। আমি আপনাদের সামনের গ্রামে থাকি। আমাকে নিয়ে যান। নয়ন আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। তাকে টেনে পাড়ে নিয়ে এল।

পাড়ে ওঠে হাটছে তিনজন। মেয়েটি সম্ভবত বাইশ কিংবা পচিশ বছরেরই হবে। কুলের বাচ্চা মাটিতে ছেড়ে দিয়েছে, সেও হাটছে, মেয়েটিও হাটছে। কাপড় পড়া থাকলেও মহিলাটিকে মনে হচ্ছে মেয়ের মতোই। ছিমছাম শরীর। কাপড় পড়া। একটা বাজারের মতো জায়গায় হেটে যাচ্ছে তারা। নয়নের খুব মায়া হয়েছিল মেয়েটির ওপর। রাত্রিকাল, কোথায় যাবে, কিভাবে যাবে। এইসব চিন্তা নয়নকে একটু চিন্তিতই করে তুলছে। একটা রিক্সা খুঁজছে যে মেয়েটিকে আর তার বাচ্চাটিকে তুলে দিয়ে দায়িত্ব মুক্ত হবে নয়ন। কিন্তু কোথাও কোন রিক্সা না পেয়ে হাটছে তারা। মেয়েটি নয়নের সাথে কথা বলছে আর হাটছে। হঠাৎ নয়ন খেয়াল করছে বাচ্চাটি আর নেই। কোথায় গেল! আসে পাশেও নেই, কোথাও দেখা যাচ্ছে না। নয়নের একবন্ধু নয়নের মোটরসাইকেল নিয়ে হাটছে তাদের সাথেই। নয়ন বলছে এই আপু আপনার বাচ্চাকে তো দেখছি না। কোথায় গেল! কিছুক্ষণ আগেও তো দেখলাম হাটছে ছোট ছোট পায়ে আমাদের সাথেই। এখন তো দেখছি না। কিন্তু নয়ন অবাক হলো মেয়েটির কথা শোনে। মেয়েটি বলছে, চলেন আমারা হাটতেই থাকি সে যেখানে থাকুক আসবেই আমার কাছে। নয়নতো অবাক তার কথা শুনে। বলে কি! এতটুকু বাচ্চা সে কেমনে আসবে! মায়ের মনে কোনও চিন্তাও নেই। নাকি বিতৃষ্ণা কাজ করছে। না! কিসের বিতৃষ্ণা থাকতে পারে। কোনকিছু ভেবে পাচ্ছে না নয়ন। মেয়েটি বলছে চলেন তো, তার চিন্তা করে আপনার সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন নেই। সে আসবেই আমার কাছে। কোনকিছু তাকে আটকে রাখতে পারবেনা।

হাটতে হাটতে মেয়েটির গ্রামের কাছে চলে এসেছে তারা। নয়নের বন্ধুটি মোটরসাইকেল নিয়েই হাটছে। মেয়েটি চলে গেল। যাওয়ার সময় বলে গেল নয়ন ভাই, আইসেন আমাদের বাড়িতে বেড়াতে। সামনের গ্রামের প্রথমেই আমাদের বাড়ি। বন্ধুটি বলছে আমি চিনি তাদের বাড়ি। মেয়েটি চলে গেলো সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে। নয়ন আর তার বন্ধুটি রাস্তা থেকে বাম দিকে নেমে পড়লো। বন্ধুর বাড়ির ওঠোনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নয়ন বন্ধুর বাবার হুক্কা টানা দেখছে। গল্প করছে। কোথায় থেকে আসলো কেন দেরি করলো সে বিষয়ে বন্ধুটিকে কথা বলছে একটু রাগের সুরেই।

ওঠোনে বিদ্যুতের আলোয় মোটামুটিরকম একটু আলোকিত। নয়নের গাড়ির দিকে নজর পড়লো। দেখছে গাড়িতে খুব কাদা লেগে আছে। গাড়ির কাছাকাছি এসে ঘুরে ঘুরে দেখছে। হঠাৎ নয়নের চোখে পড়লো গাড়িতে ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগটির দিকে। সচ্ছ মোটা পলিথিনের ব্যাগ ঝুলানো। সেটা গাড়িতেই থাকে। কাদা লেগে কেমন যেন ঘোলা হয়ে গেছে। কাছে যেতেই নয়নের চোখ তো অবাক! ব্যাগের ভিতর একটা বাচ্চা! হায় হায়! এই বাচ্চা এখানে কি করে এল। সম্ভবত ঘুমিয়ে আছে বাচ্চাটি। কোন সাড়াশব্দ নেই। নয়নের মনে ভীষণ ভয় হতে লাগলো। হায়! বাচ্চাটি যদি এতক্ষণে মরে গিয়ে থাকে তো কি হবে এখন! এই বাচ্চা এখানে কেমনে ঢুকলো! এখন কি করবো। খুব ভয় হচ্ছে মনে। যদি মরে গিয়ে থাকে তো! কেউ দেখে তো কি ভাববে!! নয়ন বন্ধুটিকে ডাকছে। এই চানু তাড়াতাড়ি বের হ। যেতে হবে এক জায়গায়। ভেতর থেকে বন্ধুটি বলছে একটু দাঁড়াও কিছু খেয়ে আসি। তুমিও খাও কিছু আসো। নয়নের মনে তখন নানা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। আরে না, খাওয়া দরকার নেই, তাড়াতাড়ি বের হ। আসছি ভাই, দুই মিনিট। এমন সময় বাহিরে যেন একটা মোটরসাইকেল দাঁড়ালো মনে হল। হ্যা, মোটরসাইকেলই। গাড়ি বাহিরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভেতর দুইজন পুলিশ অফিসার ঢুকলো। নয়নের চিন্তা যেন আরও চরমে ওঠে গেল মুহূর্তেই। এখন কি হবে! নয়ন তাড়াতাড়ি তার গাড়িতে রাখা ব্যাগটিকে আঁড়াল করে দাঁড়ালো। যেন পুলিশের চোখে না পড়ে।

পুলিশ অফিসার দুজন বাড়িতে ঢুকেই বন্ধুর বাবার সামনে গিয়ে বলছে, মুরুব্বী আপনার রেডিও কোথায়? নয়ন অবাক হলো রেডিও খোঁজা দেখে। চাচা আপনার রেডিও আছে না? থাকলে দেন। আপনার বাড়িতে আলো দেখেই ঢুকে পড়লাম। আর সব বাড়িতো নীরব। বন্ধুর বাপে হুক্কা টানা বন্ধ করে মাথা তুলে বলছে, নারে বাবা, আমার তো রেডিও নাই এখন। একটা ছিল, অনেকদিন আগেই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। পুলিশ অফিসার দুজন একটু নিরাশ হয়ে বলছে, ও হো, চাচা ভাবলাম আপনার কাছে পাবো, কিন্তু হলো না। এখন কিভাবে খুঁজটা নেই বলেন তো! আমাদেন সেটের ব্যাটারি শেষ। ভাবলাম একটা রেডিও পাইলে কোনরকম একটু সংবাদ সংগ্রহ করতে পারতাম। নয়ন ভেবে পাচ্ছে না তাদের রেডিও খোঁজার কারণ কি এটাই। নাকি অন্য কিছু। আমার গাড়ির দিকে নজর পড়লে কেমন হবে এখন। কি জবাব দিবো। নানা চিন্তায় নয়ন চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশ অফিসার দুজন আবার বেরিয়ে গেল বাড়ি থেকে। নয়ন একটু আশ্বস্ত হলো। কিন্তু যাওয়ার সময় নয়নের দিকে এমনভাবে তাকালো যেন কি একটা বলে গেল। নয়নের মনে চিন্তা আর ভয় আরও বেড়ে গেল। কি করবে এখন। বাচ্চাটি কি মরে গেছে? নাকি ঘুমিয়ে আছে? বোঝারও কোন উপায় নেই। ভাবছে যদি মরে যায় তো কোন একজায়গায় মাটির নিচে পুতে রাখতে হবে গোপনে। আর যদি বেঁচে থাকে তাহলে তার মায়ের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। না! কি যে একটা বিপদে পড়লাম মেয়েটিকে মায়া দেখাতে গিয়ে! কেন গেলাম তাকে সাহায্য করতে! যদি তার প্রতি এমন মায়া না দেখাতাম তাহলে এমন ভয়ের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। সেই পানিতে ভাসা থেকে শুরু করে হেটে আসা, বাচ্চাটি হারানো সবকিছু চোখে ভাসতে লাগলো নয়নের। বড়ই অবাক করা কাণ্ড!! কেনই বা বিশ্বাস করে সাহায্য করতে গেলাম মেয়েটিকে! আমাকে ফাসিয়ে দিল না তো? না, সেই মুহূর্তে কি আর করার ছিল আমার, তাকে সাহায্য করা ছাড়া! নাকি কোন ভূত ছিল মেয়েটি। তবে বাচ্চাটি কোত্থেকে এলো গাড়িতে রাখা ব্যাগে! নাকি এও ভূত? না কিছু মাথায় ঢুকছে না। লম্বা একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে নয়ন বন্ধুটিকে ঢাকছে, এই তাড়াতাড়ি বের হ। নয়নের কণ্ঠ একটু জড়তায় রুদ্ধ হয়ে আসতে চাইছে...... স্বপ্নটি ভেঙ্গে গেল, স্তব্ধ আমি, বসে আছি।।।

(এটা কোন বাস্তবতা নয়, পুরাই স্বপ্নের মধ্যে দেখা। কোন কিছু সংযোজন করিনি, হয়তো মনের দু একটা অনুভূতি বাদ পড়তে পারে কিন্তু নতুন কিছু লাগাইনি। বন্ধুটি কে ছিল জানিনা। চানু নামটা আমি লাগিয়েছি। আমিই যেহেতু স্বপ্নটি দেখেছি তাই আমার নামই লাগিয়েছ।)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×