সুন্দরী নারী তোমার টকটকা ঠোঁট,
স্থির চোখে বারবার দেখি হয়ে চুপ;
অঙ্গের ও'ভাঁজে ভরা যৌবনরস,
মত্ত এ'মন শুনে প্রেম করার সখ!
ভালোবাসা সে'তো মিছে ছলনায় ভরা,
চাই না আর যদিও বুকে মমতার খরা।
সুন্দরী দেখে বুকে বাড়ে বড়ই দুখ,
উল্টো তাদের মন ভালোবাসার পোক;
দেহ খায় ধীরেধীরে জীবনটাও শেষে,
কত মানব নিঃস্ব হল সুন্দরীদের বিষে।
আমার লেখা সবচেয়ে ছোট কবিতার মতো লেখাগুলো মধ্যে এটিই মনে হয় সবচেয়ে ছোট, মাত্র দশ লাইন। একে তো সময়গুলো খুব ব্যস্ত হয়ে গেছে আমার, তার উপর কেমন যেন লেখালেখিতে একরকম অনীহা। আসলে অনীহা কিনা তাও ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারিনা, কারণ, এখন আর আগের মতো মুক্ত সময় আমার কাছে আসে না। কিছু লিখতে গেলে মুক্ত সময়ের দরকার(আমার বেলায় যেমনটি অনুভব করেছি)। ব্যস্ত সময়ে কিছু লিখে পূর্ণতা দেয়ার মতো লেখক আমি নই। খণ্ড খণ্ড দু'চার লাইন লিখতে পারলেও পূর্ণ কবিতা লেখা হয়ে উঠে না আমার। যা হোক, আজ দুপুরবেলা ভাত খাওয়ার আগে ফেসবুক খুলে ঘুরছিলাম নিউজফিড। এমন সময় একটা ম্যাসেজ। ক্লিক করে তো আমার চোখ যতদূর সম্ভব কপালে উঠার প্রতিযোগিতা শুরুকরে দিয়েছে। বড়বড় চোখ করে দেখছি, ভাববার সময় নেই, শুধু দেখছি সুন্দরী একটা মেয়ের ফটো!! কেন কি উদ্দেশ্যে সেটা ভাবতেই এক লাইনের আরেকটা লেখা এল 'আপনার সাথে প্রেম করতে চায়'!! এবার অবাক যেমন হলাম তেমনি অনেকটা চিন্তিতও। আমাকে কিভাবে চিনে, কেনই বা আমার সাথে প্রেম করতে চাইতে পারে কিছুই মাথায় ঢুকছিল না। কিছুই না বলে ফেসবুক ফিডে লিখতে থাকলাম ম্যাসেজ অপশন থেকে বের হয়ে। উপরোক্ত লেখাটুকু লেখার পর আর কিছু লিখতেও মন চাইল না। কেন যেন এটুকুই সেন্ট করে দিলাম। আমি আজ উপলব্ধি করলাম প্রেম শব্দটিকে আমি কতটা ভয় পাই।।
মেয়েটির ছবিটিই দিতে পারতাম, বা সুন্দরী কোন নারীর ছবিও গুগল সার্চ করে আনতে পারতাম। কিন্তু, কয়েকদিন আগে শাইয়্যান ভাইয়ের ছবি আপলোড করার নিয়মের কথা মনে হতেই সেদিকে যাওয়ার সাহস করলাম না। গরীবের যে কত ভয়, গরীব ছাড়া বুঝবেনা কেউ। কেমন যেন ভয় হতে লাগলো। শেষমেশ নিজের মোবাইলে ধারণকৃত ছবি থেকেই গরীবের ছবিটি দিয়ে দিলাম। বিরক্তিকর মনে হলে বলবেন মুছে দিবো ছবিটি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯