হিজলের বনে তারার সনে লুকোচুরি
অভয়ারণ্যে সুখেরা সবুজের আলিপ্পন আঁকে
উচ্ছ্বাসিত আবেগ গলে গলে পড়ে
অস্থির প্রেমের বরিষণে লুটিয়েছিলো যুগল প্রণয়ের সঙ্গমে।
প্রসন্ন চিত্তে উদলা হয়েছিল উদগ্র কামনা; মনস্তাপ হয়নি একটুও
অবগাহন করেছিলো চন্দ্রাহতের ন্যায় কামনার নীলসায়রে।
একলহমায় অধ্রুব মন অমসৃণ সুখে কাতর
বহতা নদীর যৌবন বুঝি ফিকে হয়েছে আজ!
তাইতো উচ্ছিষ্ট ভোজনের ন্যায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়া
নর্দমায়- নোংরা নালায়! রক্তিম চিতা জ্বলেছিল সেদিন অনঘ নয়নে
প্রশ্ন রেখেছিল মনে, কেন ধরাশায়ী হয়েছিল লিপ্সিত মনের কাছে?
অসুখের পেয়ালায় আজ সুখ খোঁজে মন; হিমায়িত আবেগে বাধ্য করে নিজেকে
প্রসারিত অজস্র হাত অবহেলা করতে পারে আজ অবলীলায়!
হিজলের বনে আজও আনমনে; দীপ জ্বেলে যায় অলুব্ধ মন
যদি কখনও সখা ফিরে আসে হিরন্ময়ীর নিঃস্বার্থ প্রেমের টানে!
ঠিকানা সেই হিজলের বন আজও অপরিবর্তিত -----।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ নির্বাসিত জোছনাদল , বইমেলা ২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭