দুচোখে বাঁধনখানি শক্ত গেড় দেয়া
টাহর হচ্ছেনা কিছু,কোথায়, কোনবেলা এখন
ক্ষুধায় পেটে যন্ত্রনা ,মাথায় শুধু একটাই চিন্তা
বর্বরগুলো আমায় বাঁচতে দেবেতো ?
মায়ের মুখটা দেখতে পাচ্ছি যেন
গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করছি একটু পানি দাও,
একটু পানিও জুটেনি,
এখন কোন ওয়াক্ত ?নামাজ ছাড়িনি এর আগে
জানিনা কাযা করতে পারব কিনা ।
আমি গ্রামের এক স্কুলশিক্ষক
সত্য আর মানবতার কল্যাণে কবিতা লিখি
ছাত্ররা আমার একমাত্র শ্রোতা
ব্যাস ,এইটুকুই আমার অপরাধ।
কবি বলে আমি নাকি নাস্তিক
খোদাকে ভালবেসে আমার নামাজ
সেগুলি কি বৃথা তবে?
আমার চোখ খুলে দেয়া হল
ভাবলাম ওদের দিলে রহম হয়েছে
হাত দুটোকে পাথরের উপর রাখতে বল্ল
পরক্ষনেই চোখে অন্ধকার দেখলাম
তারপর আর মনে নেই ।
চোখ খুলে দেখলাম হাতে ব্যান্ডেজ
এক মাঝি আমায় নদীর তীরে পায়
নৌকোয় তুলে ডাক্তারের এখানে ।
প্রাণে বাঁচলেও কবিতারা চিরতরে
হারিয়ে যায় আমার বুক থেকে।
যুদ্ধ করিনি মানসে এঁকেছিলাম
স্বাধীনতার জলছবি,দেশটাকে ভালবেসেছিলাম
কবিতার পাতায়।
কবিতাকে উৎসর্গ আর বিসর্জন করেছি স্বাধীনার জন্য
আর আমার হাত দুটোকেও ।।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪