somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় (Season-2) - পর্ব- ২

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আস্তে আস্তে অন্ধ বৃদ্ধটাকে নিয়ে রাস্তা পার হয়ে একটা টেম্পু স্ট্যান্ডের দিকে রওনা দিলাম। যেতে যেতে খুনখুনে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বৃদ্ধ আমাকে বলল-
-”আমাকে আমার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারো বাবা?”
আমি ভীষণ খুশি হলাম, কিন্তু সেটা গোপন করে স্বাভাবিক কণ্ঠে একটু ইতস্তত হয়ে বললাম-
-”বিকেল হয়ে এসেছে চাচা… যদি আজকের রাত টা আপনার বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করতেন তবে খুব খুশি হতাম”
বৃদ্ধ হো হো করে হেসে উঠলো!! এবং আমার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতেই বলল-
-”তুমি করে বলার জন্য আবার রাগ করনি তো? তুমি আর আমি তো একই গোয়ালের গরু”!!
বলেই আবারো হাহাহা করে হাসলেন তিনি। কিন্তু আমি চমকে উঠলাম!! না… তার তুমি করে বলার জন্য নয়!! এক “গোয়ালের গরু” বলতে তিনি আসলে কি বোঝাতে চাইলেন সেটা কিছুতেই বোধগম্য হলনা। তবে অবশ্যই একদিন বোধগম্য হবে সে সিগন্যাল পেলাম আমার ছয় নাম্বার ইন্দ্রিয়ের কাছ থেকে।

একটা টেম্পুতে উঠে পাশাপাশি বসে পরলাম আমরা দুজন । একহাতে লাঠি আর অন্য হাত দিয়ে শক্ত করে আমার হাতটা ধরে রেখেছেন বৃদ্ধ। বৃদ্ধের নাম- আব্বাস মিয়া। তার বাড়ি মাগুরার এক সময়কার বিখ্যাত রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ থেকে ৩০ কদম দক্ষিনে। এটি মাগুরা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মধুমতী নদীর তীরের একটি প্রত্নস্থান, যা স্থানীয়ভাবে রাজবাড়ী নামে পরিচিত। কোন এক পুরনো রাজবাড়ীর আসে পাশে একরাত থাকতে পারবো এবং ভৌতিক একটা পরিবেশ উপভোগ করতে পারবো ভেবে খুব ভালো লাগলো।

প্রায় ২৫ কিমিঃ পথ পারি দিয়ে আমরা পৌঁছলাম আমাদের গন্তব্য স্থলে এবং টেম্পু থেকে নেমে জোরসে আড়মোড়া ভেঙ্গে শরীরের প্রত্যেকটা হাড় মটমট করে ফুটিয়ে নিলাম। যদিও এখনো প্রায় ১ কিমিঃ পথ হাঁটতে হবে। অনেকটা রাত হয়ে এসেছে। তাই আমাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িটা চলে যেতেই রাস্তাটা অনেকটাই নিরিবিলি হয়ে গেল। আমি বুড়োর হাত ধরে হাঁটতে থাকলাম। সুনসান নিরিবিলি রাস্তার দুই দিকেই ঘন গাছের সারিবদ্ধ মিছিল আর মাঝে মাঝে এক পাশের বাঁশঝাড় আরেক পাশে এসে অবৈধ সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছে। যদিও মানব জাতির মত গাছ গাছালিরও অবৈধ বা নিষিদ্ধ কাজের প্রতি কোন আকর্ষণ আছে কিনা আমার জানা নেই।
কিছুক্ষন বাদে আব্বাস মিয়া হালকা কাশি দিয়ে গলা পরিস্কার করে আমায় বললেন-
-”আচ্ছা তোমার নামটা তো জানা হলনা… মিঃ?”
-”নাঈম... নাঈম ফয়সাল আমার নাম”
চটপট উত্তর দিলাম আমি। তিনি বললেন-
-”হ্যাঁ, মিঃ নাঈম, আচ্ছা বলোতো এত মানুষের ভীরে আমি তোমাকেই কেন আলাদা করে দেখলাম আর তোমার গাড়ি ভাড়া কেন দিলাম?”
-” তাতো জানিনা”!!
-”জানতে চাও না?”
-”হ্যাঁ চাই তো, বলুন”
-”আমি, ভাল আর মন্দ আলাদা করতে পারি!! সব অন্ধরা পারে কিনা জানিনা। তবে আমি পারি।”
-”কেমন করে?”
-”এই যেমন ধরো দুনিয়ার সমস্ত ভাল জিনিস সাদা রংয়ের আর সমস্ত খারাপ জিনিস কালো রঙের দেখি। সাদা রঙ আমার জন্য নিরাপদ, আর কালো রঙ আমার জন্য বিপদজনক”
-”তার মানে বাসের ভিতরে আমাকে আপনি সাদা রঙে দেখেছেন?”
-”ঠিক তাই। ভালমন্দ আলাদা করতে না পারলে তো অন্ধদের জন্য পথ চলা দুষ্কর হয়ে যেত। তবে খুব আশ্চর্যের বিষয় কি জানো?”
-”জী না, জানিনা। বলুন”
এমন সময় একটা কালো কুচকুচে কুকুরকে দেখে বুড়োকে শক্ত করে চেপে ধরলাম আমি। কুকুরটা আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে গেল এবং আব্বাস মিয়া একটু হেসে বলল -
-”হাহা ওকে ভয় পেওনা। ও কামরাবে না। পৃথীবির সমস্ত পশুপাখিকে আমি সাদা রঙে দেখি!! অথচ সৃষ্টির সেরা জীব এই মানুষ্য জাতি দিন দিন কালো রঙে পরিণত হচ্ছে! যেমন ধরো এতবড় বাসের ভিতরে শুধু একজনকেই আমার মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়েছে যে, ‘এই লোকটি ভাল মানুষ’। আর বাকিসব বিপদজনক!! একটা বাসের ভিতরের অবস্থা যদি এমন হয়, তবে ধারণা করতে পারো সমগ্র দুনিয়াটার বর্তমান অবস্থা কেমন?”
-”জী ধারণা করতে পারছি”
আসলে কিছুই ধারণা করতে পারছিনা। কেননা জীবনে এই প্রথম কেউ একজন আমাকে ভাল মানুষের খেতাব দিল দেখে খুব চিন্তায় পরে গেছি। আমি যদি ভাল মানুষ হই তবে আসল ভাল মানুষদের অপমান করা হবে বলেই আপাতত আমার ধারণা।

কিছুক্ষণ বাদে একটা ভাঙাচোরা বাড়ির সামনে এসে দাড়ালাম। চারিদিকে ঝিঝি পোকা, জোনাকি পোকা ছাড়াও আরো বিভিন্ন পোকামাকড়ের সশব্দ বিচরনে একটা মায়াবী জাঁকজমক পরিবেশ বিরাজমান। বাড়ির সামনেই হারিকেন হাতে কে যেন একজন দাড়িয়ে ছিল এবং আমাদেরকে দেখতে পেয়েই হারিকেন টা মাটিতে রেখেই ছুটে দৌড়ে এসে আব্বাস মিয়া কে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতেঁ শুরু করলো। কান্নার শব্দ নিশ্চিত করলো ওটা একটা মেয়ে। এমন নারী কন্ঠের কান্না কোনদিন শুনেছি বলে মনে করতে পারলাম না। মেয়েটি কাঁদছে আর বলছে “কেন এত দেরী করলি আজ বাপজান??? কেন?? আমি যদি মরে যেতাম তবে কি হত তোর??”
বলে আবারো কাদতেঁ থাকলো। আব্বাস মিয়া মেয়েটার কপালে চুমু খেতে খেতে বলল -
-”আজ অনেক লম্বা লাইন ছিলরে মা। এরপরে আর হবেনা এমন।”

প্রতি মাসের একই দিনে আব্বাস মিয়া যান মাগুরা শহরে তার পেনশনের টাকা তুলতে। আর যৎসামান্য সেই টাকা দিয়ে মা মরা একমাত্র মেয়াটাকে নিয়ে কোনরকমে বেচেঁ আছেন তারা দুজন। মেয়েকে বুক থেকে ছাড়িয়ে আমার দিকে ফিরে বললেন -
-”ইনি হলেন আমাদের আজ রাতের মেহমান মা, উনিই আমাকে এতটা পথ আসতে সাহায্য করেছেন।”
হালকা চাদেঁর আলো আর কিঞ্চিৎ হারিকেনের ছটায় মেয়েটার চাঁদমুখ টা দেখলাম। আমি বুঝে শুনেই তাকে চাদেঁর সাথে তুলনা করেছি! এতে মোটেও চাঁদকে ছোট করা হয়নি বরং এমন মায়াবতী ষোড়শীর সাথে চাদেঁর তুলনা করে চাঁদকে সম্মানিতই করেছি। যদিও এত অল্প আলোয় মেয়েটার পূর্ণ সৌন্দর্য চোখভোরে উপভোগ করতে পারিনি। তবে কিছুক্ষণের জন্য বিমোহিত হয়েছিলাম সেকথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই।

মেয়েটা একটু জড়োসড়ো হয়ে গেল। এতক্ষণে খেয়াল হল যে, বাবার সাথে অপরিচিত একজন আগুন্তক আছে!! তারপর গায়ের কাপড়টা একটু ঠিকঠাক করে আমাকে একটা সালাম দিল। আমি সালামের উত্তর নিয়ে বললাম -
-”বাথরুম টা কোনদিকে?”
বাপ মেয়ে একে অপরের দিকে চাওয়া-চাওয়ি করছে দেখে সাথে সাথেই আবার বললাম -
-”না মানে, খুব গোসল লেগেছেতো তাই একটু গোসল করবো”!!
আবারো বাপ মেয়ে একে অপরের দিকে তাকালো। ক্ষুধা লাগা, পিপাসা লাগা, ব্যথা লাগা, হাগা লাগা ইত্যাদি ইত্যাদি “লাগা” সম্পর্কে তারা অবগত আছেন কিন্তু “গোসল গালা” শব্দটা হয়তো এই প্রথম শুনলেন। তারপর দুই বাপবেটি বিষয়টি বুঝতে পেরে হয়তো হোহো করে হেসে দিল এবং আমাকে বাথরুমের রাস্তা দেখিয়ে দিল। আমি দেখানো পথে এগোলাম এবং পিছন থেকে আমার সম্পর্কে আব্বাস মিয়ার হালকা প্রসংশা কানে ভেসে এলো, যেমন- “খুব ভাল ছেলে রে মা ...সহজ সরল... ইত্যাদি ইত্যাদি …”
আমি ভাল কিনা জানিনা তবে অবশ্যই সহজ সরল নই। আমি যদি সহজ সরল হই তবে দুনিয়াতে একটিও গরল খুজেঁ পাওয়া যাবেনা!!

মেয়েটার নাম “ছায়া”, মামনুন ইফতান চৌধুরী ছায়া। ওর মায়ের নাম ছিল “মায়া”। মা খুব সখ করে নিজের সাথে মিল রেখে মেয়ের নাম রেখেছিলেন “ছায়া”। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত আমি, আব্বাস মিয়া, ও ছায়া গল্প করেই কাটিয়ে দিলাম। বাবার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছে মেয়েটা। হারিকেনের দপদপে আলোয় ওর মুখটা কেমন জ্বলজ্বল করছে দেখে খুব মায়া হল মেয়েটার প্রতি। এত সুন্দর একটা মেয়ে… অথচ তার জীবনের অতিত এত কষ্টের ..!!!

ছায়ার হাতের মাছ রান্না, শাকভাজি, আলুরদম এত ভাল হয়েছিল যে আড়াই প্লেট ভাত নাক ডুবিয়ে খেয়ে ফেললাম!! তারপর নানান গল্প-সল্প করতে করতে বেশ রাত হয়ে গেল। এইটুকু সময়ের ভিতরেই ছায়া আমার সাথে অনেকটাই বন্ধুসুলভ আচরণ শুরু করে দেয়। যেটা মেয়েরা এত সহজেই করতে পারেনা। তবে সয়ং কোন বাবা যদি কোন ছেলে সম্পর্কে ভালোর সার্টিফিকেট দেয়, তবে মেয়েরা চোখ বুঝে তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। আর সেই সাথে আমার সঙ্গও মেয়েটার ভাল লাগতে শুরু করেছে, যেটা খুবই খারাপ কথা!! দুনিয়াতে যেকোন জিনিসের শুরুটাই হল আসল। যদি কোন শুরুর ভবিষ্যৎ টা খারাপ হয় বা হতে পারে তবে তা শুরুতেই শেষ করে দেয়া উচিত। আর যদি ফলাফল ভাল হয় তবে তাকে প্রশ্রয় দেয়া যেতে পারে। যদিও আমি এই শুরুটার প্রশ্রয় দিবনা!! কোনভাবেই না। কেননা আমার উদ্দেশ্য যে অন্যকিছু …!! প্রেম ভালবাসার জন্য আমি নই।

কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে পরলাম আমি। বাপ মেয়ে হয়তো এখোনো ঘুমোচ্ছে। আমি পাশের ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। তারপর একটা কাগজ আর কলম নিয়ে আব্বাস মিয়াকে উদ্দেশ্য করে একটা শর্টটেক্সট লিখলাম -

“সালাম জানবেন, আপনার এই এক রাতের আতিথিয়ত্য কোনদিন ভুলবো না। নিশ্চয় আবার দেখা হবে। ভাল থাকবেন।
----ফয়সাল”

তারপর রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হতেই দেখি বাশ ঝাড়ের নিচে একটা নীল রঙের কামিজ পরে দাড়িয়ে আছে ছায়া!! ভোরের আলোয় তার সৌন্দর্যের বর্ননা নাহয় নাই দিলাম। আমি হাস্যোজ্জ্বল মুখে বললাম -
-”কেমন আছো ছায়া?”
ছায়া কেমন যেন একটা অসহায় মুখ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। খুব অসহ্য লাগলো তার এই দৃষ্টি আমার কাছে। আমি এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলাম কোন রাস্তা দিয়ে বের হব সেটা দেখার জন্য। এসময় ছায়া বলল -
-”চলে যাচ্ছেন তাইনা?”
আমি বললাম -
-”হ্যা, নিজের খেয়াল রেখো.. ভাল থেকো কেমন!”
বলে হাটা শুরু করলাম। পিছন থেকে আবারো সে বলে উঠলো -
-”আর কোনদিন আসবেন না তাইনা?”
ততক্ষণে আমি বেশ খানিকটা পথ এগিয়ে গিয়েছি। তাই আর তার কথাটা শুনতে পাইনি। আর সে জন্যই তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ারও কোন প্রয়োজন নেই!! তাই হেটেই চললাম।
কিন্তু প্রশ্ন হল- আসলেই কি শুনতে পাইনি? ….!!!

চলবে…
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×