somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় (Season-2) - পর্ব- ৬

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ট্রেনের একদম পিছনের একটা বগিতে ঝটপট উঠে পরলাম সিরাজ কে নিয়ে। তুলনামূলক যাত্রী কম থাকায় পছন্দমত জানালার পাশের একটা সিটে গিয়ে বসলাম। সিরাজ জানালার বাইরে মাথা রেখে এদিক ওদিক গভীর পর্যবেক্ষণ শেষে দুইহাত ঝাড়তে ঝাড়তে বলল -
“ব্যাটা ভাগছে”
আমি মৃদু হাসলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই লম্বা একটা হুইসেল দিয়ে ট্রেন চলতে শুরু করলো। জানালা দিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেনের এগিয়ে যাওয়া দেখছি। সবকিছু কে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। মানুষ তার জীবনের সাথে যদি এই প্রক্রিয়াটির প্রয়োগ ঘটাতে পারতো তবে হয়তো সস্তায় কিছুটা সস্থি মেলানো যেত।

“দুঃখিত ভাই, একটু দেরী করে ফেললাম”
পিছন ফিরে দেখলাম হাপাতে হাপাতে জনাব জুনায়েদ সাহেব ট্রেনের বগির দরজা ধরে ঝুলছে! বুঝলাম সিনেমার নায়িকা গোছের কেউ হাত বাড়িয়ে না দেয়াই বেশ কসরত করেই ট্রেনের সাথে পাল্লা দিয়ে উঠতে হয়েছে তাকে। সিরাজ সেদিকে অবাক হয়ে তাকালেও আমি স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললাম -
“পানি খাবেন?”
আমার কাছে পানি নেই তবুও পানি খাওয়ার কথা বললাম সৌজন্যতার খাতিরে। উনি হ্যাঁ না কিছু না বলে আমার পাশে এসে বসলেন । ঝিকঝিক ঝিকঝিক শব্দে ট্রেন তার পূর্ণ গতি নিয়ে ছুটে চলেছে আগামীর দিকে। আমি জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রাখলাম। গ্রাম বাংলার অতুলনীয় সৌন্দর্যে বারবার মুগ্ধ হই আমি। প্রতি সেকেন্ডেই চিত্রপট পাল্টাচ্ছে। চোখের পলক ফেলতেও ইচ্ছা করেনা। মনেহয় চোখ বুজলেই বুঝি কোন এক বিশেষ দৃশ্য মিস করবো। কিন্তু জুনায়েদ সাহেবের মত নাছোড়বান্দা পিছে লেগে থাকলে উপায়ান্তর থাকেনা কিছু!!

“নাঈম সাহেব, আমি কি আপনাকে একটু বিরক্ত করতে পারি?”
বলল জুনায়েদ সাহেব। আমি বললাম -
“হ্যাঁ অবশ্যই, কতদিন বিরক্ত হইনা।”
“আপনি কি রাগ করছেন?”
“জী না রাগ করছিনা, বিরক্ত হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি”
“শুনলাম আপনি নাকি দশ বছরের পাগল কে সুস্থ করে দিয়েছেন আপনার মুখের কথায়”
“জী, আমার মুখের কথায় যাদু আছে। জ্বীন পরীদের নগরী ‘কোহেকাফ’ থেকে এই যাদু বিদ্যা শিখে এসেছি আর দুনিয়ার পাগল ধরে ধরে সুস্থ করছি। আর কদিন পর দুনিয়ার সমস্ত পাগলাগারদ বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি শিখতে চান এই যাদুবিদ্যা?”
ভদ্রলোক চরম করুন দৃষ্টিতে তাকাল আমার দিকে। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হতাশ ভঙ্গিতে বলল -
“দুঃখিত!! আপনি মনেহয় আমার উপর একটু বেশিই বিরক্ত। ভাল থাকবেন”
বলে তিনি উঠে দাড়িয়ে অন্য বগির দিকে অগ্রসর হলেন। আমি পিছন থেকেই বলে উঠলাম -
“জী আমি ভাল থাকবো। কিন্তু নিজের স্ত্রীকে এভাবে দিনের পর দিন অবিশ্বাস বা সন্দেহ করতে থাকলে আপনি তো কোনদিন ভাল থাকতে পারবেন না জুনায়েদ সাহেব!! আর, নিজের মন পরিস্কার না করে পোশাক বদলানোর মত যতই বউ বদলান না কেন, দুদিন পর সেই বউয়ের ডিভোর্স লেটার দিয়েও ঠুঙ্গা বানিয়ে ঝালমুড়ি খাওয়া লাগবে!!”

ভদ্রলোক পাথর হয়ে গেলেন। তারপর ধীরে ধীরে পিছন ফিরে বললেন -
“এতকিছু আপনি জানলেন কিভাবে? আর আমার সন্দেহ যে ভুল সেটাই বা আপনি বলে দিলেন কিভাবে?”
“সিক্সথ সেন্স”
“Sixth scenes?”
“জী! আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খুব প্রখর কিনা। তাই অনেক কিছুই অনুমান করে বলতে পারি।”
ভদ্রলোক আবার এসে আমার পাশে বসে পরলেন। আমাকে এমন ভাবে দেখতে লাগলেন যে আমার রীতিমতো লজ্জা লাগতে শুরু করলো। কোন মেয়েও আজ অবধি এমন ভাবে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেনি। ভদ্রলোকের বিকৃত চরিত্রের কোন সমস্যা আছে কিনা তা বোঝার প্রয়োজনবোধ করছি। এমন সময় তিনি অনেকটা ফিসফিসি স্বরে বললেন -
“আমি নিজের চোখে যা দেখেছি তাও ভুল?”
“জী ভুল!”
“এ কিভাবে সম্ভব??”
“জী সম্ভব!! কেননা, গভীর রাতে আপনার স্ত্রী আপনাকে বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে থুয়ে বাড়ির বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে তার প্রেমিকের সাথে প্রেম করছে এটা কেন ভাবলেন? তার কি প্রেম করার সময় বা জায়গার এতই অভাব পরে গেছিল? আগেই কেন নেগেটিভ চিন্তা মাথায় আসলো?”
জুনায়েদ সাহেব আমার কথা মানতে চাইলেন না!! তিনি রাগে গজরাতে গজরাতে বিষ্ফোরিত কন্ঠে বললেন -
“গভীর রাতে যে পুরুষ আমার বউয়ের দুই হাত নিজের বুকে চেপে ধরতে পারে সে কি তার প্রেমিক নয়?”
আমি হাসতে হাসতে বললাম -
“জী প্রেমিক!! তবে আপনার বউয়ের নয়!! আপনার একমাত্র শালির!!”
“মানে!!! What do you mean??”
জুনায়েদ সাহেবের চোখ দুটো বড়বড় হয়ে গেল। তিনি যেন আকাশ থেকে পরলেন!!
এদিকে সিরাজ একবার আমার দিকে একবার জুনায়েদ সাহেবের দিকে তাকাচ্ছে আর মিটমিট করে হাসছে।
আমি বললাম -
“I mean that - that Guy was your brother in law. আপনার কি ছেলেটির চেহারা মনে আছে?”
“হ্যাঁ আছে!!”
“আপনার শালির সাথে যোগাযোগ করে দেখুন, তারা ইতমধ্যে বিয়েও করে ফেলেছে। এবং সম্পর্কে সে আপনার ভাইরা ভাই!!”
“ঠিক আছে, আপনার সব কথা মেনে নিলাম, কিন্তু অত রাতে সে আমার বউয়ের কাছে কেন এসেছিল?”
“খুব সহজ!! আপনার শশুর শাশুড়ি বিয়েটা সহজে মানতেন না, তাই নিরুপায় আপনার বউয়ের কাছে সাহায্য ভিক্ষা চাইতে এসেছিল এবং আপনার বউ গোপনে নিজ হাতে ওই ছেলের সাথে তার বোনের বিয়েও দিয়ে দেয়”
জুনায়েদ সাহেব ভেঙে পরলেন। অনুশোচনার সর্বোচ্চ বিষাক্ত যন্ত্রণা তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। চরম ভুল করে ফেলেছেন তিনি। এতবড় ভুল তিনি কিভাবে করলেন তা ভাবতে ভাবতেই প্রশ্ন করলেন -
“আচ্ছা, তাহলে ও আমাকে সব সত্য কথা না বলে ডিভোর্স দিল কেন?”
আমি এক নিশ্বাসে বললাম -
“দীর্ঘদিন ধরে আপনি তাকে অযথাই সন্দেহ করে এসেছেন। যা প্রত্যেক নারীর কাছেই নরক যন্ত্রণার সমতুল্য, আর তাই আপনার মত সন্দেহবাজ স্বামীর হাত থেকে বাচার জন্য এছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা কামিনীর!!”
শেষ বারের মত বিষ্মিত হলেন জুনায়েদ সাহেব। তার স্ত্রীর নাম যে “কামিনী” তা কিভাবে জানলাম ভাবছেন হয়তো। অনুমান করে অনেক কিছুই বলা সম্ভব, কিন্তু কারো নাম বলাও কি সম্ভব!!

আমি ট্রেনের বাইরে চোখ রাখলাম। এবং দুরে একটা খোলা মাঠে দেখতে পেলাম একটা মেয়ে কুকুরকে ঘিরে অনেক গুলো পুরুষ কুকুর মাতামাতি করছে। মেয়ে কুকুর টা অন্য সব কুকুর গুলোর সাথেই একটু একটু করে রোমান্স করছে। তার কোন নির্দিষ্ট প্রেমিক বা স্বামী নেই। মানব জাতি বাদে কোন জাতিরই বোধহয় প্রেমিক বা স্বামী প্রথা নেই। তারা অবলা। সবাই সবার প্রেমিক, সবাই সবার স্বামী। আবার সবাই সবার প্রেমিকা, সবাই সবার স্ত্রী । কে মা, কে বোন, কে ভাই, কে বাপ তার কোন বাছ বিচার থাকেনা। এজন্যই হয়তো শেষ বিচারের দিন কোন অবলা প্রাণী বিচারের আওতায় থাকবেনা। বিচার হবে কেবল মানুষ জাতির। কে নিজের বউকে থুয়ে অন্যের বউকে নিয়ে মাস্তি করছে, কে নিজের স্বামীকে ঠকাচ্ছে দিনের পর দিন। অবলা না হয়েও বা জ্ঞান বুদ্ধি থাকা সত্বেও কে কে বা কারা কারা ওই কুকুরের ন্যায় আচরণ করেছে তাদের বিচারটা বোধহয় একটু কঠিনভাবেই হবে।

কত সময় পার হয়েছে বলতে পারবোনা, ট্রেনের লম্বা হুইসেলের শব্দে তন্দ্রা কাটলো। আস্তে আস্তে থেমে গেল ট্রেন টা। রেল কতৃপক্ষের মাইকিংয়ে বুঝলাম ট্রেন এখন ‘চুয়াডাঙ্গা রেলষ্টেশনে’। প্রচুর যাত্রীর ওঠানামা চলতে শুরু করেছে। হই হুল্লোড় আর চেচামেচিতে মনে হচ্ছে কানের ভিতরে ঝিঝি পোকা ডাকছে। ভীড়ের ভিতরেই সিরাজ কে নিয়ে নেমে পরলাম ট্রেন থেকে। ওভারব্রিজ পার হয়ে অপর প্রান্তের প্লাটফর্মে আসতেই পেছনে খেয়াল করলাম জুনায়েদ সাহেব আবারো পিছুু নিয়েছেন। আচ্ছা মুশকিল হল তো!! আমি ওনার দিকে ঘুরে তাকাতেই দেখলাম একটা ভিজিটিং কার্ড আমার দিকে বারিয়ে ধরেছেন। আমি ওটা হাতে নিয়ে না দেখেই পকেটে ঢুকালাম। তিনি বললেন -
“যেকোন বিপদে আমাকে স্বরন করবেন”
“জী, অনেক ধন্যবাদ”
“আর হ্যাঁ, আরেকটি কথা”
“জী বলুন”
“আমি কি আমার স্ত্রীকে আর ফিরে পাবো?”
আমি হাহা করে হেসে দিয়ে উল্টো ঘুরে হাটা শুরু করলাম। তিনিও আমার সাথে হাটতে হাটতে বললেন -
“কিছু বললেন না যে?”
“এধরনের বোকা প্রশ্নের কোন উত্তর হয়না”
“বুঝলাম না”
“না বোঝার কিছু নেই। আপনি পুরুষ মানুষ, হাজার টা বিয়ে করতে পারেন, কিন্তু কামিনীর মত মেয়েদের সতীত্বের অনেক দাম। তারা রোজ রোজ স্বামী পাল্টাতে পারেনা। অনেক কষ্ট আর যন্ত্রণা নিয়ে শুধুমাত্র শিক্ষা দেয়ার জন্য সে আপনাকে ডিভোর্স দিয়েছে। এবং অপেক্ষা করছে কখন আপনি ওই ডিভোর্স লেটার দিয়ে ঠুঙ্গা বানিয়ে ঝালমুড়ি খেতে খেতে তার সামনে গিয়ে বলবেন- SORRY বউ!! আমার ভুল হয়ে গেছ!!”
এরপর তিনি একটু আহ্লাদে কন্ঠে বললেন -
“আমি সরি বললেই ও আমায় ক্ষমা করবে? জানেন আমার এক্ষুনি ইচ্ছা করছে ছুটে গিয়ে ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলি ‘সরি’!!”
“হাহাহা কামিনীদের ভালোবাসার সম্পূর্ণ গভীরতা উপলব্ধি করতে পারলে প্রতিদিন ১০০ বার করে সরি বলতে ইচ্ছা করতো… যাইহোক ভাল থাকবেন”

বলে সিরাজ কে নিয়ে একটা সেলুনের খোঁজ করতে থাকলাম মনে মনে। ওর চুল দাড়ির যে হাল হয়েছে তাতে কোন মেয়ের বাপ এমন পাগলের কাছে নিজের মেয়েকে তুলে দিবে না। আমি জানি চুল দাড়ির ওই জঙ্গলের ভিতরে লুকিয়ে আছে নিষ্পাপ অমায়িক সুন্দর একটা চেহারা। যা দেখলে মেয়ের বাবারা হাসতে হাসতে মেয়েকে তুলে দিবে। আর তাছাড়া আমার মন বলছে ওর বিয়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে। ওকে প্রস্তুত করা প্রয়োজন। দুঃখ আমার একটাই … অন্য সবার ব্যপারে আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় অনেক পূর্বাভাস দিলেও আমার নিজের ব্যপারে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই নিজের বিয়েশাদীর ব্যপারে কিছু বলতে পারছিনা … আদৌ বিয়েশাদী কপালে আছে কিনা তাও জানিনা … তবে এটা জানি যে - “সবার কপালে সংসার থাকেনা” ....

চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×