বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে ছাত্রীদের বোরকা পরে কলেজে যেতে নিষেধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বোরকা পরা ছাত্রীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। তবে, অধ্য বলেছেন, বোরকার নিচে ইউনিফর্ম না পরায় ছাত্রীদের কলেজে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
অভিভাবকরা জানান, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের সদ্য বিদায়ী অধ্য প্রফেসর সামস্ উল আলম বোরকা পরা ছাত্রীদেরকে কলেজের নিজস্ব ইউনিফর্মের রঙের বোরকা পরে কলেজে আসতে বলেছিলেন। সে অনুযায়ী ছাত্রীরা বোরকা পরে কলেজে যাতায়াত করছিল।
গত আগষ্ট মাসে নতুন অধ্য হিসেবে প্রফেসর মোস্তফা আলী যোগদানের পর বোরকা পরা ছাত্রীরা নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়ে। গত সোমবার উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রী এবং অনার্স শ্রেনীর প্রায় অর্ধশত ছাত্রী বোরকা পরে কলেজে গেলে মূল ফটকে তাদের আটকে দেয়া হয়। তাদের জানানো হয়, অধ্য ইউনিফর্ম ছাড়া কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
এ ঘটনায় ছাত্রীরা ােভ প্রকাশ করলে অধ্য নিজে ছাত্রীদের সাথে দেখা করে বোরকা খুলে ইউনিফর্ম পরে কলেজে প্রবেশ করতে বলেন। এতে অনেক ছাত্রী বাসায় ফিরে যায়।
আজ মঙ্গলবার আবারও ওইসব ছাত্রীরা বোরকা পরে কলেজে প্রবেশ করতে চাইলে মূল ফটকে বাধা দেয়া হয়। এমনকি ডিগ্রী টেষ্ট পরীার্থী মেয়েদেরও কলেজে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে ছাত্রী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। এঘটনায় ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে ােভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্য প্রফেসর মোস্তফা আলী বলেন, কিছু ছাত্রী বোরকা পরে কলেজে এলেও বোরকার নিচে ইউনিফর্ম না পরায় তাদের কলেজে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে, পরীার্থীদের পরীা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিা ও উন্নয়ন) সুফিয়া নাজিম জানান, কলেজে বোরকা পরার ব্যাপারে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কেউ বোরকা পরলে আপত্তি থাকার কথা নয়।