somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘আন্তঃধর্মীয় শান্তির ফুটবল ম্যাচে’ ম্যারাডোনার জাদু!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বয়স হলেও ফুটবলটা যে ভোলেননি সেটা আবারও মাঠে নামে প্রমাণ করলেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা। ৫৩ বছর বয়সেও ফুটবল খেললেন তারুণ্যের আবহে। জাদু দেখালেন ফুটবল ভক্তদের। নিজে গোল না করলেও বানিয়ে দিলেন দারুণ একটি গোল।

ভ্যাটিকান সিটির পোপ ফ্রান্সিস গাজা সংকটের কুটনৈতিক সমাধান চান তিনি। আর এ কাজে অগ্রগতির জন্য তিনি একটি ‘আন্তঃধর্মীয় শান্তির ফুটবল ম্যাচ’ আহবান করেন। সাবেক কিংবদন্তি অনেক খেলোয়াড় ও বর্তমান খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে দু’টি দল গঠন করা হয়। সব ধর্মের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে এ ম্যাচের আয়োজন করা হয়।

মুসলমানদের মধ্যে ৫০ সদস্যের দলে ছিলেন ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান, মেসুত ওজিল ও ঘানার স্ট্রাইকার সুলে মুনতারিসহ আরও কয়েকজন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিনিধি ছিলেন সাবেক ইতালিয়ান খেলোয়াড় কিংবদন্তি রবার্তো ব্যাজিও। ছিলেন দিয়েগো আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা, কলম্বিয়ার ঝাকড়া চুলের অধিকারী সাবেক খেলোয়াড় কার্লোস ভালদেরামা, ইতলির সাবেক তারকা আলেসান্দ্রো দেল পিরলো, বর্তমানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আর্জেন্টাইন কোচ দিয়েগো সিমিওনের মতো সাবেক খেলোয়াড়রা।


পোপ ফ্রান্সিসের পৃষ্ঠপোষকতা আর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ারস ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘পুপি ফাউন্ডেশন’-এর সহযোগিতায় রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় এ ‘শান্তির ফুটবল ম্যাচ’। পোপ ফ্রান্সিস নিজে মাঠে বসে উপভোগ করেন এ ম্যাচটি। জিয়ানলুইজি বুফনের নেতুত্বাধীন ‘স্কলস’কে ৬-৩ গোলে হারিয়েছে জাভিয়ের জেনেত্তির নেতৃত্বাধীন ‘পুপি ফাউন্ডেশন’।

ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার ‘পুপি’র হয়ে করেছেন হ্যাটট্রিক। তবে ম্যাচের সবচেয়ে স্মৃতিময় মুহূর্ত সৃষ্টি করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা ও ইতালির কিংবদন্তি রবার্তো ব্যাজিও। তারা দু’জনে খেলেন স্কলসের হয়ে। যদিও তার দল ৬-৩ গোলে হেরেছে। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন ব্যাজিও। আর এ বলটি তৈরী করে দেন কিংবদন্তি মারাডোনা। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে পুরো স্টেডিয়ামের দর্শক দাড়িয়ে যায়।

ফরাসি কিংবদন্তি জিদান, আর বর্তমানের লিওনেল মেসি ও মেসুত ওজিল এ ম্যাচের ৫০ সদস্যের দলে থাকলেও তারা এদন খেলেন নি। ‘পুপি ফাউন্ডেশন’-এর কোচের দায়িত্ব পালন করেন আর্সেনালের কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। আর স্কলসের কোচের দায়িত্ব পালন করেন আর্জেন্টিনার কোচ জেরার্ডো মার্টিনো।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×