বছর খানেক আগে আমাকে কিছু তরুনের সাথে একটা কারনে কিছু দিন থাকতে হয়েছিলো । সবাই ছিল আমার সমবয়সি বা একটু বড় কি ছোট এমন ১৫/১৬ জন । সেখানকার ওই দুটো ঘটনা বলবো আজ । জায়গাটায় নমাজ পড়ার ব্যবস্থা ছিলো তবে কাউকে জোর করা যাবে না । তো আমার রুমমেটরা প্রথম দিকে আমাকে ডাকতো নামাজ পড়ার জন্য । বিভিন্ন কারনে আমার নামাজ পড়া হতো না। এই ভাবে কিছু দিন যাবার পর আমার রুমেটরা আর আমাকে ডাকতো না । একদিন আমরা সবাই রাতের খাবারের জন্য খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছি এমন সময় এক বড়ভাই ধর্মিয় কথা বলা শুরু করলো । আমরা শুনছি এবং সবাই মিলে মাঝে মাঝে সুবাহান আল্লা,আলহামদুইল্লা,ইনসাল্লা এই সব বলছে । কেউ কেউ আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির এর মত করছে । আমিও করছি । হঠাৎ বড় ভাইটা আমারে একটা ধমক দিয়ে থামিয়ে দিল । তার পর বলল আপনি যদি আবার এমন ফাজলামু করেন আমি আপনার নামে অভিযোগ দিব কর্তিপক্ষকে । আমি আকাশ থেকে পরলাম । বলাম অন্যরা যে বলছে । উনি তখন বললেন ওরা মন থেকে বলছে আর আপনি ফাজলামু করছেন । আমি এতোটাই অবাক হলাম যে আর কিছু বলতে পারলাম না ।
আমাদের সাথে একজন ডাঃ ছিলেন মসুলমান । উনি মাঝে মাঝে হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা বলতে । ভালো কথাই বলতেন খারাপ কিছু বলতেন না । আমাদের সাথে ২/৩ জন হিন্দু ছিলো । তারা উনাকে দেখতে পারতো না ।তারা বলতো এই লোক ধর্ম নিয়ে ফাজলামু করে । ব্যাটা তুই এতো জানিস তো মসুলমান কেন ? ফাজিল কথাকার ।
এই ঘটনা দুটো এই কারনে বললাম যে,যে কোনো ধর্ম নিয়ে কথা বলাই বিপদজনক । আর এভাবেই আমরা ধর্মিয় ব্যপারে কথা বলার উৎসাহ হারাচ্ছি । এভাবেই আমরা ধর্মকে ধরা ছোয়া নিষিদ্ধ একটা বিষয় বানাছি এবং কিছু বললেই বলছি ,ব্যাটা তুই ধর্ম কতোটুকু মানিস বা কোন ধর্নের তুই? এতে তাদেরই লাভ হচ্ছে । যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছে ।