কাশেম বিন আবুবাকার। ভদ্রলোককে নিয়ে ইদানিং বেশ আলোচনা সমালোচনা চলছে। তাই বাংলট্রিবিউনকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ আমি এখানে তুলে ধরলাম সামুর পাঠকদের জন্য।
আপনি কেন পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন, এ প্রশ্নের জবাবে কাসেম বলেন, ‘আমি মামুষকে মানুষ করতে চেয়েছি লেখার মধ্য দিয়ে। মুসলমান হয়ে চরিত্রহীন হলে চলবে না। আল্লাহর কথামতো যারা চলে না, তারা তো মুসলমান না। আমি মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে চেয়েছি বলে আমি জনপ্রিয়।’ কিন্তু ইসলামি উপন্যাস নামকরণের লেবাসে তার লেখা উপন্যাসে উঠে আসা বিষয়গুলো ইসলাম অনুমোদন করে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি তো ইসলামি উপন্যাস লিখিনি। আমি ইসলামি ভাবকে কাজে লাগিয়ে উপন্যাস লিখেছি। কোরআন-হাদিসের আলোকে রোমান্টিসিজমের কথা লিখেছি। প্রেম তো থাকবেই— ভাইয়ের সঙ্গে, মায়ের সঙ্গে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে, বিয়ের আগে প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু সেই প্রেম ভেঙে গেলে প্রেমিকাকে এসিড ছুড়তে হলে সেটা তো প্রেম না, সেটাকে বলে মোহ। আমার বইয়ের মধ্য দিয়ে আমি এগুলোই শেখাতে চেয়েছিলাম পাঠকদের। আর আমার লেখা এই শিক্ষামূলক বই সবাই পড়তে চেয়েছে বলেই আমি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছি।”
“বিয়ের আগে নর-নারীর প্রেম বিষয়ে ইসলাম কী বলে, জানতে চাইলে কাসেম বলেন, ‘না না, ইসলাম এটা অ্যালাউ করে না। তবে প্রেম ভালবাসা তো আটকে রাখার বিষয় না। কিন্তু এটাকেও সীমাবদ্ধ রাখা যায়। প্রেম-ভালোবাসা বন্ধ করতে পারবেন না। তাই আমি চাই, তারা এটা করুক। তবে তার মধ্যেও যেন শালীনতা থাকে। ছেলে-মেয়ে মিশবেই, কিন্তু কোন পর্যায়ের মেলামেশা ব্যাভিচারে পরিণত হয়, সেটা জানতে হবে।”
পাঠকপ্রিয়তা পাওয়া এই লেখক দাবি করেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি ভাবুক। কোনোকিছুকেই হালকাভাবে দেখেন না তিনি, সবকিছু নিয়েই গভীরভাবে চিন্তা করেন। তিনি বলেন, ‘ভালোবাসাও গভীর হতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রেম আল্লাহর দান। প্রেম থাকবেই, সবার প্রতি সবার।’
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯