সম্পর্ক কিংবা সংসার; একটা ছেলে যদি উদাসীন কিংবা উড়নচণ্ডী হয়, তবুও টিকিয়ে রাখা সম্ভব। একটা মেয়ে চাইলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে কাজটা সফলতার সাথে করতে পারে, যদি সে কমিটেড হয়। কারন মেয়েদের মধ্যে স্রষ্টা অসাধারণ কিছু ক্ষমতা দিয়েছেন; দিয়েছেন মায়া। তাই একটা ছেলে সময়ের স্রোতে উপলব্ধি করতে বাধ্য, সে যে ভুল।
.
কিন্তু সংসার কিংবা সম্পর্কে একটা মেয়েই যদি হয় উদাসীন কিংবা উড়নচণ্ডী?
ঐ সংসার কিংবা সম্পর্ক ভাঙ্গতে বাধ্য; লিখে রাখুন। একটা ছেলে যতোই চাক, যে ভাবেই চাক; বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই টিকাতে পারবে না বন্ধনটি! কারন পাথরে ফুল ফোটানোর ক্ষমতা হাজারে হয়তো একটা ছেলেকেও দেননি স্রষ্টা; যা প্রতিটা মেয়েকে দিয়েছেন।
.
প্রশ্ন করতে পারেন, কি ভাবে? এসব কথার ভিত্তি কি? আমাদের বাপ-দাদাদের আমল দেখুন। তখন কি সব ছেলে/পুরুষ দুধে ধোয়া তুলসী ছিলো? মোটেই তেমন না। বরং তারা সংসারী হতে বাধ্য হয়েছিলেন ঘরে থাকা লক্ষী প্রতিমা প্রেয়সী মায়ায়। আর এখন কি হচ্ছে? কোর্টের বারান্দায় রিলিফ গ্রহনের মতো ডির্ভোসের লাইন। আর প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক ভাঙ্গাটাতো সকালে উঠে পেট পরিষ্কার করতে টয়লেটে যাবার মতোই। করান কি জানেন? মায়ার যাদুতে সম্পর্কের অপর মানুষ এবং সম্পর্কটি মুগ্ধ করে রাখার কথা ছিলো যার/যাদের, তারাই আজ মায়াহীন হয়ে গেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। মায়াবীরা আজ উশৃঙ্খল জীবনকেই কেন যেন বেছে নিতে বেশি আগ্রহী। তারা আজ মুক্ত-অবাধ স্বাধীনতার জীবন পেতে মরিয়া। তারা ছুটছে তো ছুটছেই, আকাশকে ছুঁয়ে দিতে; শিকড়কে ছাড়িয়ে, শিকড়ের মায়া ছেড়ে!
ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬