আই গিভ মাই ফাস্ট লাভ টু ইউ, জীবনের প্রথম ভালোবাসার মানুষটি সবসময় অন্যরকম । সেই ভালোবাসার অনুভূতি অনুভব সবই প্রথম । জীবনটাকে অন্যরকম করে দেখার এক বিশেষ ক্ষেত্র তৈরি করে জীবনের প্রথম ভালোবাসা । খুব দূরে না- খুব কাছে না , কিন্তু মনে হয় ভালোবাসার মানুষটি সারাক্ষণ আপনার আশেপাশেই বিচরণ করছে , আপনাকে দেখছে । অনেক পাগলামো থাকে সেই ভালোবাসায়, সেই অনুভবে। অনেক বাধাই সেই ভালোবাসার দুজন মানুষের কাছে ধরা দেয়না । প্রতিটা মুহূর্তই বিশেষ কিছু , আর কাছের মানুষটিকে ঘিরে ভিন্নরকম অনুভূতির ঢেউ খেলে বেড়ানো ।
আমার স্বপ্ন নভোচারী হওয়া ,সাথে তোমাকে বিয়ে করা । এতে করে আমাদের সংসার এবং জীবন আনন্দময় হয়ে উঠবে । একজন প্রেমিকের কাছ থেকে একজন প্রেমিকার এর থেকে বড় চাওয়া হয়ত কিছুই থাকেনা । ভালোবাসা ঠিক ছোঁয়া যায়না , অনুভব করা যায় । আবার অনুভবগুলো অন্যরকম মনের ভেতর থাকে, যা হয়ত মানুষের কথায় উঠে আসেনা পুরোপুরিভাবে । জীবনটাকে অন্যরকম কিছু মুহূর্ত দেয় । যে মুহূর্তগুলো দুজন মানুষের সম্পর্ককে আরও গভীরতা দেয়, আরও গভীরভাবে নিজেদের মাঝে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করায় ।
তুমিই সেই ছেলে যাকে ওই মেয়েটা ভালোবাসে । সহপাঠীদের কাছ থেকে প্রথম পরিচয়েই তাকুমাকে এই কথাটা শুনতে হয় । সিডো স্কুলের সবাই ইতিমধ্যে জানে ময়ুচান নামের মেয়েটা ভালোবাসে তাকুমাকে । বলা যায় এই হাই স্কুলের জাতীয় জুটি এই দুইজন smile emoticon । অদ্ভুত জুটি এই দুইজন , দুইজন দুইজনকে অন্যরকম এক ভালোবাসার আবর্তে আবর্তিত করে । প্রতিটা মুহূর্ত তাদের ভালোবাসার গভীরতা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকবেনা মানুষের । তাকুমা যেখানে খুব সিরিয়াস টাইপের ছাত্র সেখানে ময়ুচান কিছুটা অন্যরকম ভিন্নরকম ধাঁচের । তার ধ্যান-জ্ঞান তাকুমাকে ঘিরে , তাকুমাকে ভালোবাসা যেন জীবনের সবকিছু তার কাছে । একই স্কুলে পড়ার জন্যে তাই দশটা স্যারের কাছে পড়তেও কার্পণ্য করেনা ময়ুচান, তার মধ্যে শুধুই তাকুমার পাশে থাকার জন্য ইচ্ছে ।
আর কিছু মানুষ দূর থেকেই ভালোবাসা দেখে, দূর থেকে অন্যের ভালোবাসা দেখে হাসে নিজের মনে । তাদের মাঝে ভালোবাসার সংজ্ঞা অন্যরকম এক অধ্যায় , যেখানে তাদের প্রবেশ নেই কিংবা প্রবেশ করতে নেই । তারা চারপাশটায় ভালোবাসা হন্যে হয়ে খোঁজে , তাদের ভালোবাসা অন্যরকম এক বিষয়, এক কল্পনার স্রোতের নাম । যেখানে তারা প্রতিনিয়ত ছুটে যেতে চায় কিন্তু সেখানে কেউ তাদের জন্যে অপেক্ষায় থাকেনা , অপেক্ষা করতে চায়না । অপেক্ষা নামক শব্দটা শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের জন্যে বরাদ্ধ থাকে, সেই মানুষগুলোর কাছে ভালোবাসার আরেক নাম আছে ।
দুইজন মানুষের ভালোবাসার রসায়নকে ঘিরে আই গিভ মাই ফাস্ট লাভ টু ইউ চলচ্চিত্রটি ২০০৯ সালে মুক্তি পায় জাপানে । জাপানিজ ভাষায় নির্মিত ছবির বিষয়বস্তুতে উঠে আসে জীবনে প্রথম ভালোবাসার মানুষকে ঘিরে । সেই অনুভূতি সেই চাওয়াকে ঘিরে প্রথম ভালোবাসার গল্প উঠে আসে কতমি অকির লেখা পরিচালক তাহিহিকো শিনজের একশ বাইশ মিনিটের চলচ্চিত্রে ।
বক্স অফিসে 24,051,386 ডলার আয় করা এ চলচ্চিত্রে Keiko Horiuchi, Mao Inoue, Masaki Okada, Natsuki Harada, Toru Nakamura প্রমুখ অভিনয় করেন । কেনজি বেন্ডোর স্ক্রিনপ্লেতে চলচ্চিত্রটির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় প্রশ্ন জাগাবে ভালোবাসা আসলে মানুষের জীবনে কি । সেই অনুভবগুলো কিভাবে বেড়ে ওঠে , কিভাবেইবা মানুষ এর পিছনে ছুটতে এত চেয়ে থাকে । ভালোবাসার কেমিস্ট্রি দারুণভাবে ব্যবহার করেছেন পরিচালক তাহিহিকো শিনজে , মানুষগুলোর প্রেম-ভালোবাসা অনেক জীবনঘনিষ্ঠ মনে হবে । কোন বাহুলতা যেন নেই গল্পে । মানুষের জীবনের চিরায়িত ভালোবাসার রুপই চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত হয়েছে ।
Celluloid Diary
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৮