১ - ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ১০ টিতে কমিয়ে এনেছে আইসিসি। এর ফলে কপাল পুরেছে ক্রিকেটে ইমারজিং টাইগার খ্যাত আয়ারল্যান্ড ও হল্যান্ডের। কেবল তাই নয়, আগামী বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে এবারের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা বাংলাদেশও। আগামী বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়েকে র্যাঙ্কিং এ শীর্ষে থাকা চার সহযোগী দেশ আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি এবং আরব আমিরাতের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে হবে।
২ - ক্রিকেটই একমাত্র বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট যাতে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ার বদলে কমতে থাকে। ২০০৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬, যা কমে ২০০৭ ও ২০১৫ তে দাঁড়ায় ১৪ তে। ২০১৯ এ গিয়ে তা হবে ১০।
৩ - ক্রিকেটই একমাত্র খেলা, যার নিয়ম-কানুন এর নিরন্ত্রনকারী সংস্থা ইচ্ছেমত বানায়, ইচ্ছেমত বাতিল করে। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে সাডেন ডেথ পদ্ধতি চালু হয়। কিন্তু ব্যাপক সমালচনার মুখে পরের বিশ্বকাপে তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ক্রিকেটে চালু হওয়া পাওয়ার প্লে, ফ্রি হিট এবং আম্পায়ার'স ডিসিশন রিভিউ নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও তা এখনো বহাল আছে।
৪ - ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি এবং বেশ কয়েকটি ৪০০+ ইনিংস করায় (এবং এর একটিতেও ভারতের অংশ না থাকায়) আইসিসি ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনে কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা চিন্তা ভাবনা করছে, যাতে বোলাররা একটু বেশি সুবিধা পায়।
৫ - হকি বিশ্বকাপে যখন ইউরোপীয় টীমগুলো তেমনভাবে অংশগ্রহণ করতোনা, তখন ভারত ও পাকিস্তানের অনেকটা কর্তৃত্ব ছিল। কিন্তু কালক্রমে জার্মানি, স্পেন ও নেদারল্যান্ডের মত দেশগুলো হকি খেলা শুরু করলে এ কর্তৃত্ব তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। ক্রিকেট বিশ্বকাপেও তেমনি কয়েক বছর ধরে ইউরোপীয় দেশগুলোর আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে - যা কিনা এশীয় এবং অস্ট্রেলিয় কর্তাদের জন্য এক ধরণের রেড এলার্ট!