একটি #কাল্পনিক গল্প
রিতা বেশ উগ্র স্বভাবের।কথায় কথায় মানুষের সাথে ঝগড়া বাধায়।যাকে বলা যায় পায়ে পা বাধিয়ে ঝগড়া।
মেয়েটা বোরকা পরে না কিন্তু দিন কয়েক হল মাথায় হিজাব পরে।হিজাব পরলে নাকি বেশ আকর্ষণীয় দেখায়।
রিতা শামসুন্নাহার হলে থাকে।মৃত্তিকা বিজ্ঞান,৩য় বর্ষ।এক রুমে চারজন থাকে।রিতার রুমমেট আরাধ্য। সেও রিতার মত উগ্র মেজাজি।কিন্তু দু'জনের মধ্যে বেশ মিল।একসাথে প্রতিদিন বেশ অনেকটা সময় গল্প করে কাটায়।একজনের জিনিস আর একজন ব্যবহার করে।বোনের মত মিল যাকে বলে।
একদিন রীতা সকালে ক্লাসে যাবার আগে সেফটিপিন হারিয়ে ফেলে।আরাধ্যের কাছ থেকে রীতা সেফটিপিন নেয়।।তাড়াহুড়া করে হিজাব পরতে রিতার হাতে সেফটিপিন ফুটে যায়।আরাধ্যের হিজাব পরা দেখেই মূলত রীতা হিজাব পরে।
বেশ কিছুদিন ধরে আরাধ্য অসুস্থ।আরাধ্য ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যায়।কয়েক মাস হয়ে যায় অথচ ক্যাম্পাসে ফেরার কোন নাম নাই।এর মধ্যে একদিন রিতার জ্বর আসে,গলা ব্যথা করে।ক্লান্তি লাগে।আর সারাক্ষণ মাথাব্যথা লেগেই আছে।মাথা ব্যথার জন্য কিছু খেতেও ভালো লাগে না।দিন দিন ওজন কমে যাচ্ছে।
রীতাকে ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়েছে।রক্তের বিভিন্ন রিপোর্ট করতে দেয়া হয়েছে।তাতে দেখা গেছে রীতার HIVপজেটিভ মানে রিতার এইডস।খবরটা জেনে রীতা আকাশ থেকে পড়ে।এই ধরনের কোন কিছুই হয়নি তার সাথে।হিসাব মেলাতে পারে না।
ভাবতেই থাকে।রীতার রিপোর্টের দিনই ঠিক খবর আসে
আরাধ্য মারা গেছে এইডসে।
রীতার কখনো জানা হয়ে উঠবে না
আরাধ্যের ব্যবহৃত সেফটিপিন তার
এইডসের জন্য দায়ী।
#অভিজ্ঞজনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
#রুবাইদা গুলশান
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭