অনেকে শখ করে স্বামীকে ভাই,বাবা ডাকেন।( আরে বাবা! কখন থেকে ডাকছি_ এই রকম# দুষ্টামি করে বলা এই কথা গুলো কিন্তু মিথ্যা)স্ত্রীকে মা, বোন ডাকেন।
এটা অনেক বড় গোনাহের কাজ সেটা কি জানেন?
ইসলামের পরিভাষায় এটাকে "যিহার" বলে।আল্লাহ্ আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভুল গুলো ক্ষমা করুন।(আমি ভুল বললে ধরিয়ে দেবেন প্লিজ,কৃতজ্ঞ থাকব।অন্যের ভুল ভাঙাতে গিয়ে নিজের ভুল থেকে বাঁচতে চাই।)এই ব্যাপারে পবিত্র কোরআনুল কারীমে এসেছে।আমি পড়েছিলাম।
"তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা নয়। তাদের মাতা কেবল তারাই, যারা তাদেরকে জন্মদান করেছে। তারা তো অসমীচীন ও ভিত্তিহীন কথাই বলে। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী,ক্ষমাশীল৩যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, অতঃপর নিজেদের উক্তি প্রত্যাহার করে, তাদের কাফফারা এই একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসকে মুক্তি দিবে। এটা তোমাদের জন্যে উপদেশ হবে। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর । " (সূরা মুজাদালাহ, ২_৩)
এখন প্রশ্ন হল কেউ যদি এমনটি করে ফেলে স্ত্রীকে মা, স্বামীকে বাবা,ভাই ইত্যাদি ডেকে ফেলেছেন তাদের জন্য করণীয় কী?
"যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তাদের উক্তি প্রত্যাহার করে নেয়, তাদের জন্য পারস্পরিক স্পর্শের পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেওয়া হল। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছু কর তৎসম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। অতঃপর যে সেটার সামর্থ্য রাখে না তাকে পারস্পরিক স্পর্শের পূর্বে একটানা দু’মাস ছিয়াম রাখতে হবে। যে তারও সামর্থ্য রাখে না তাকে ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে হবে। এ বিধান এজন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা যেন ঈমান রাখ। এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে মর্মান্তিক শাস্তি”। [সূরা আল-মুজাদালাহ, আয়াত: ৩-৪]
মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল।বিশ্বাস ও ধৈর্য্যের সাথে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
#আমার লেখায় ভুল ত্রুটি পেলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল
এ বিষয়ে আরো জানতে হলে যিহার
©রুবাইদা গুলশান
৮ নভেম্বর ২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২১