somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নীল মনি
ভীষণ কঠিন পোড়ামাটিকে আবার সেই কাদামাটিতে ফিরিয়ে আনা,ভীষণ কঠিন আঘাত দেয়া শব্দমালা গুলো ফিরিয়ে নেয়া।ভীষণ কঠিন নিজের সম্পর্কে কিছু বলা।যে চোখ দেখিনি সে চোখ কেমন করে বিশ্বাস করবে জানি না।যে কখনো রাখিনি হৃদয়ের উপর হৃদয়;সে কেমন করে বুঝবে আমায়!

একান্ত ভাবনা ও রহমত

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টুনটুনি ডিম পাড়ার আগে গাছের পাতা সেলাই করে নেয়। আচ্ছা আমাদের সুই আছে, সুতা আছে ওদের কি তা আছে? ওরা তো পাখি তাহলে কেমন করে করবে শুনি? এই পাখিটা ডুমুরের পাতায় বাসা বাঁধতে বেশি ভালো বাসে তবে বেগুন গাছেও বাঁধে।ছোট্ট পাখির ছোট্ট পৃথিবী।ডিম তো পাড়তে হবে তার জন্য ঘর তো আগে চায়।ঠোঁটে করে তুলা সংগ্রহ করে আনে তারপর ঠোঁট দিয়ে পাতা ফুটো করে তার মাঝে তুলা ঢুকিয়ে সেলাই করে ফেলে পাতা।আপনি কখনো ভেবেছেন ছোট্ট পাখির এই নিখুঁত কারুকার্য কে শিখিয়ে দিল ?কে তাকে এত বুদ্ধি দিল? কিভাবে তারা এত দক্ষ হয়ে উঠল!

ঘুমিয়ে আছি অথচ তখনো পৃথিবী জেগে আছে।এই যে ঘুমের সময়ও একটা পোকা গা'য়ের উপর দিয়ে হেঁটে গেলেও টের পাই, হাত ব্যস্ত হয়ে উঠে পোকাকে সরাতে।তারপর আচমকা কোন শব্দ হলে জেগে উঠি বিশেষ করে যে কোন বিপদের মূহুর্তে। মাঝে মাঝে ভাবি আমরা ডুবে আছি রহমতের সাগরে।প্রতিটা সেকেন্ডই রহমত। তা না হলে সদা ঘূর্ণায়মান এই পৃথিবীতে স্থির হতে পারতাম না কোন কিছুতেই।প্রতি মূহুর্তে বিপদ এসে যেত! একটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আর একটা।প্রায় দিন এমন হয় হাঁটতে গিয়ে পড়েও যাচ্ছিলাম কিন্তু শেষ অব্দি যায়নি।

ইদের দিন আমাদের এক আত্মীয় ঘরের মধ্যেই ছিলেন তারপর কিভাবে যেন পড়ে গেলেন।হাতের দুটো হাড় ভেঙে গেল।

ইদের পর দিন আমাদের অন্য আরেক আত্মীয় ভাই -বোন বাইকে করে বাসা থেকে বের হয়েছেন। পথে যেতে না যেতেই এক্সিডেন্ট। হাত ভাঙিনি কিন্তু মারাত্মক আহত হয়েছে।

ঘটনা দুটি বলার কারণ হল বিপদ যে কোন ভাবেই মানুষের জীবনে আসতে পারে সেটা ঘরে থেকেও কিংবা রাস্তায়।যার হাত ভেঙেছে তার এর চেয়ে বড় ক্ষতি হতে পারত।রহমত ছিল বলেই এইটুকুর উপর দিয়ে গেছে।একটা কলম যখন মানুষ প্যান্টের ডান পকেটে রেখে বাম পকেটে খোঁজে আর খুঁজেও যখন পায় না পেরেশানি বোধ করে এই সময়টুকুর জন্য কিন্তু গুনাহ মাফ করা হয়। সেখানে জীবনে যখন কোন কষ্ট আসে তখন ভাবা উচিত এর বিনিময়ে হয়ত পাপ মোচন হচ্ছে।অন্য প্রসঙ্গে একটু বলি আমরা কিন্তু ভীষণ পাপী।বিশেষ করে ছোট ছোট পাপে।ধরুন আপনি বলেই ফেললেন তুমি তো অনেক খাটো আমি তোমার চেয়ে লম্বা।এই কথাটা দুর্গন্ধময় কথা যা সমুদ্রে নিক্ষেপ করলে সমুদ্রও দুর্গন্ধময় হবে।কথাটিতে মানুষ আঘাত পাবে।শুধু নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এই পাপগুলো করি।ছোট পাপ হিসেবে নিজেরা ভাবি। কিন্তু শস্য দানার পরিমাণ অন্যায়ও পাপ।যাইহোক সেই আগের কথায় ফিরে যাই।
যাদের এক্সিডেন্ট হল বাসার কাছাকাছি একবার চিন্তা করেন যে তাদের অনেক দূরে এক্সিডেন্ট হল সেখানকার কেউ তাদের চেনে না, কোন হাসপাতাল ভর্তি নিল না, ডাক্তার পেল না তাহলে আরো বিপদ কী হত না।

একই রাস্তা পার হয়ে ওপারে যান কিন্তু কোন একদিন বিপদ আসে তার মানে প্রতিনিয়ত রহমতে ডুবে ছিলেন।আজ বিপদ এল কারণ এটা আপনার জন্য নির্ধারিত ছিল আপনি চাইলেও লিখিত এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতেন না। যাইহোক আমরা সত্যি ই বুঝি না কী অপরিসীম নেয়ামত ঘিরে আছে আমাদের। আমাদের চোখ ব্যস্ত অন্য কিছুতে,হৃদয় ব্যস্ত উদাসীনতায়।আমাদের ভাবনার সময় নেই। প্রতিমুহূর্তে কাটছে অস্থির ব্যস্ততায়।আমাদের সাথে সব সময়ই রহমতের ফেরেশতা আছে যারা বিশ্বাস করে না সেটা তাদের বিষয়।আমাদের মনোরঞ্জনের জন্য ফুল, পাখি, আকাশ,নদী,মেঘ ইত্যাদির অফুরন্ত আয়োজন।আমরা বেঁচে আছি এটাই আমাদের জীবনের বড় পাওয়া।সমবয়সী অনেক মানুষ যারা ব্যস্ত আছে কবরে তাদের কর্মের হিসেব দিতে আর আমরা ব্যস্ত আছি আমাদেরকে নিয়ে কার সাথে শত্রুতা করা যায়,কার জমি দখল করে নেয়া যায়,কিভাবে সম্পর্ক নষ্ট করা যায় ইত্যাদি।
যে অবস্থায় থাকুন আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করুন প্রশংসায় বলুন আলহামদুলিল্লাহ্‌, বিস্ময়ে বলুন সুবহান আল্লাহ, দু:খের সংবাদে বলুন ইন্নালিল্লাহ ইত্যাদি।
শস্য দানার ন্যায় ছোট্ট এই শব্দগুলোকে অভ্যস্ত করিয়ে নিন নিজের সাথে।শুকরিয়া আদায় করুন সেই মহান স্রষ্টার যিনি আসমান ও জমিনের একচ্ছত্র অধিপতি এবং যার কোন ইলাহ নেই।তিনি এক ও অদ্বিতীয়।


#এলোমেলো
©রুবাইদা গুলশান
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×