নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন প্রতিরোধে রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির সামাজিক আন্দোলন এর অংশ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা মানব বন্ধনে দাঁড়িয়েছিলাম রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে। আমরা মনে করি, ব্যক্তি পর্যায়ে বা যূথবদ্ধ/দলবদ্ধ হয়ে আমাদের যেমন ধর্ষণ বন্ধে সমাজের মধ্যে কাজ করতে হবে, তেমনি রাজনৈতিকভাবেও তৎপর হতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে ধর্ষণ বন্ধে দীর্ঘমেয়াদী কার্যকর পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। এজন্য জনসচেতনতা তৈরি করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নাই।
ঈদ সহ অন্যান্য উৎসবের সময়টায় বিপণী বিতানগুলোতে নারী ও শিশুর প্রতি নানা ধরণের যৌন হ্যানস্থার ঘটনা ঘটে তাই বিগত কয়েকটি মানব বন্ধন শপিং কমপ্লেক্সের সামনেই হয়েছে। দেশের মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি এই সামাজিক আন্দোলনে সকলকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির জন্য এই সামাজিক আন্দোলন চলছে। আমরা এমন একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে নারী ও শিশুরা নিরাপদে নির্ভয়ে আনন্দে থাকবে। মানুষ হবে মানবিক সংবেদনশীল।
ধর্ষণ প্রতিরোধ যাত্রা (Anti Rape March) সারা দেশে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২ এপ্রিল থেকে একজন বা একাধিক মানুষের অংশগ্রহণে নিয়মিত মানব বন্ধন করে আসছে। ধর্ষণ প্রতিরোধসহ নারী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরণের সহিংসতা বন্ধে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভূমিকা জোরদার করার জন্য আমরা সচেতন মানুষদের অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানাই।
প্রতিদিন আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে একজন দুজন পাঁচ জন করে সুহৃদ বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষী। ঈদের পর আবার নিয়মিত ভাবে এই মানব বন্ধন সহ অন্যান্য আরও কিছু প্রতিবাদী কর্মসূচী নিয়ে আমরা আবার পথে নামবো।
আসুন আপনিও।
আওয়াজ তুলুন নারী ও শিশুর প্রতি সকল সহিংসতা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন প্রতিরোধে। আজকের ধর্ষণ বিরোধী প্রতিবাদ আগামীকালের একটি ধর্ষণকে প্রতিরোধ করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬