somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের গুরু বাবা রাম রহিম ( স্বঘোষিত গড) ধষনের দায়ে 20 বছরের সাজা হলো আজ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কয়েকদিন ধরেই এই বাবা রাম রহিমের ধষ`নের ঘটনায় ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে তোড়পাড় চলছে।



বাবা নিজেকে ভগবান দাবি করে। এবং তার ডেরায় থাকা ২০০ স্বাধ্বী থেকে অনেকেই ধষ`ন করেছে বলে অভিযোগ উঠে। ভারতের সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেসন বুরো তাকে দোষী বলে প্রমান পায়।

আজ তাকে 20 বছরের সাজা শোনালো কোট`

তার এই ঘটনায় এখন পযন্ত ৩২ মানুষ মারা গেছে।

ঘটনার একটি চিঠি যেই সাংবাদিক প্রকাশ করেছিলো তাকে গুলি করে হত্যা করে বাবার লোকজন।

পরে ঐ ধষিতা নারীর ছোট ভাইকে্ও হত্যা করা হয় ।


উকিপিডিয়া:: Click This Link

তার ছবি ম্যাসেন্জার অফ গড >>
https://www.youtube.com/watch?v=scuWiXG5bh8

ভারতে তার অনুসারী আছে প্রায় ৬ কোটি...



নিচের চিঠিটি লিখেছিলেন বেনামে একজন সাধ্বী যারা সাদা শাড়ী পরে ডেরায় থাকে এবং বাবার সেবা করতো।

শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি
প্রধানমন্ত্রী, নয়াদিল্লি

আমি পাঞ্জাব থেকে আসা মেয়ে। সিরসার (হরিয়ানা) ডেরা সচ সউদে একজন সাধ্বী হিসেবে সেবা করে চলেছি পাঁচ বছর ধরে। আমার মতো আরও কয়েক শ মেয়ে এখানে রয়েছেন, যাঁরা প্রতি দিন ১৮ ঘণ্টা করে সেবা করে চলেছেন।

কিন্তু এখানে আমরা যৌন নির্যাতনের শিকার। ডেরায় মেয়েদের ধর্ষণ করেন ডেরা মহারাজ (গুরমিত সিংহ)। আমি একজন স্নাতক। ডেরা মহারাজের ওপরে আমার পরিবারের অন্ধবিশ্বাস‌‌। পরিবারের সেই অন্ধবিশ্বাসের জেরেই আজ আমি একজন সাধ্বী। সাধ্বী হওয়ার বছর দুয়েক পর একদিন রাত ১০টা নাগাদ হঠাৎ এক মহিলা ভক্ত আমার ঘরে আসেন। জানান, মহারাজ আমাকে ডেকেছেন। মহারাজ স্বয়ং ডেকে পাঠিয়েছেন শুনে খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলাম। সাধ্বী হওয়ার পর সেটাই তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে তাঁর ঘরে ঢুকি। দেখলাম, ওনার হাতে একটা রিমোট এবং টিভিতে তিনি ব্লু ফিল্ম দেখছেন। বিছানায় তাঁর বালিশের পাশে একটা পিস্তল রাখা ছিল। এসব দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। ভীষণ নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। এরপর মহারাজ টিভিটা বন্ধ করে দেন। আমাকে ঠিক তাঁর পাশে নিয়ে গিয়ে বসান। খাওয়ার জন্য এক গ্লাস জল দেন। তারপর খুব আস্তে করে বলেন, ডেকে পাঠানোর কারণ, আমাকে তিনি নিজের খুব কাছের বলে মনে করেন। এটাই ছিল আমার প্রথম অভিজ্ঞতা।

এরপরই তিনি এক হাত দিয়ে আমাকে জড়িয়ে তাঁর আরও কাছে টেনে নেন। কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলেন, আমাকে তিনি হৃদয়ের গভীর থেকে ভালোবাসেন। আমার সঙ্গে সহবাস করতে চান। বলেন, তাঁর শিষ্যা হওয়ার সময়ই আমার সমস্ত সম্পদ, আমার শরীর এবং আত্মা তাঁর কাছে উৎসর্গ করেছি এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন। আমি বাধা দিলে তিনি বলেন, ‘আমি ঈশ্বর, এতে তো কোনো সন্দেহ নেই।’ আমি তাঁকে বলি, ঈশ্বর কখনো এ রকম করেন না। আমাকে বাধা দিয়ে তিনি বলেন:
১. শ্রীকৃষ্ণও ঈশ্বর। তাঁর ৩৬০ জন গোপী ছিলেন। যাঁদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ প্রেমলীলা করতেন। আমাকেও সবাই ঈশ্বর বলে মানে। এতে এত অবাক হওয়ার কিছু নেই।
২. আমি তোমাকে এখনই এই পিস্তল দিয়ে খুন করতে পারি। তোমার লাশ এখানেই পুঁতে দেব। তোমার পরিবারের প্রতিটা সদস্য আমার অন্ধ ভক্ত। তুমি খুব ভালো করেই জানো, তাঁরা কখনোই আমার বিপক্ষে যাবেন না।
৩. সরকারের ওপরেও আমার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রের অনেক মন্ত্রীও আমার কাছে আসেন। আমার প্রতি তাঁদের ভক্তি দেখান। রাজনীতিবিদেরা আমার কাছ থেকে সাহায্য নিতে থাকেন। সুতরাং, তাঁরাও আমার বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ করবেন না। আমি তোমার পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি কেড়ে নেব এবং তাঁদের সেবাদার দিয়ে খুন করাব। আর সেই খুনের কোনো প্রমাণ থাকবে না। তুমি খুব ভালো করেই জানো, ডেরা ম্যানেজার ফকিরচাঁদকেও আমি গুন্ডা দিয়ে খুন করিয়েছি। এখনো সেই খুনের কিনারা হয়নি। ডেরার দৈনিক আয় এক কোটি। এই টাকা দিয়ে আমরা রাজনীতিক নেতা, পুলিশ, এমনকি বিচারক সকলকেই কিনে ফেলতে পারি।

ঠিক এরপরই মহারাজ আমাকে ধর্ষণ করেন। তিন বছর ধরেই মহারাজ এভাবে আমাকে ধর্ষণ করে আসছেন। প্রতি ২৫ থেকে ৩০ দিন অন্তর আমার পালা আসে। আমি জানতে পেরেছি, আমার মতো যতজন সাধ্বীকে তিনি তলব করেছেন, তাঁদের সবাইকেই ধর্ষণ করেছেন। বেশির ভাগেরই বয়স এখন ৩০ থেকে ৪০। বিয়ের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাছে এখন ডেরার এই আশ্রয় ছাড়া আর কোনো অবলম্বন নেই।

এই মহিলাদের বেশির ভাগই শিক্ষিত। কারও স্নাতক তো কারও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। কিন্তু তাঁরা তা সত্ত্বেও এই নরকবাস করছেন। কারণ একটাই, মহারাজের ওপরে তাঁদের পরিবারের অন্ধবিশ্বাস‌‌। আমরা সাদা পোশাক পরি, মাথায় স্কার্ফ বাঁধি, পুরুষদের দিকে চেয়ে দেখি না। পুরুষদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে ৫-১০ ফুট দূরত্ব বজায় রাখি। কারণ, এসবই মহারাজের ইচ্ছা। তাঁর কথামতোই আমরা এখানে চলাফেরা করি। সাধারণ মানুষ আমাদের দেবী গণ্য করেন। কিন্তু তাঁরা জানেন না, ডেরাতে আমরা আসলে রক্ষিতা। ডেরা এবং মহারাজের আসল সত্যিটা আমি আমার পরিবারকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। তাতে তাঁরা আমাকেই বকাবকি করে। জানায়, ডেরায় স্বয়ং ঈশ্বরের (মহারাজ) বাস। সুতরাং, এর থেকে ভালো জায়গা আর নেই। এবং ডেরা সম্পর্কে যেহেতু আমার মনে খারাপ ধারণা জন্মেছে, তাই আমার উচিত ‘সদ্‌গুরু’-র নাম করা। শেষ পর্যন্ত আমাকে মহারাজের সমস্ত আদেশ পালন করতেই হয়, কারণ আমি সব মিলিয়ে অসহায়।

এখানে কাউকেই অন্যদের সঙ্গে বেশি কথা বলতে দেওয়া হয় না। পাছে ডেরার সত্য ফাঁস হয়ে যায়, তাই টেলিফোনেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না। কোনো সাধ্বী যদি মহারাজের এই আচরণ ফাঁস করে দেন, তাহলে মহারাজের আদেশমতো তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে, ভাতিন্দার এক তরুণী মহারাজের এই সমস্ত নির্যাতনের কথা পরিবারকে জানান। মহারাজের নির্দেশে সমস্ত সাধ্বী মিলে তাঁকে বেধড়ক পেটান। মেরুদণ্ডে গুরুতর চোট নিয়ে তিনি এখন শয্যাশায়ী। তাঁর বাবা ডেরায় কাজ করতেন। কাজে ইস্তফা দিয়ে বাড়ি ফিরে যান। মহারাজের ভয়ে এবং আত্মসম্মানের কথা ভেবে মুখ খোলেননি।

একই ভাবে, এই নির্যাতনের শিকার হন কুরুক্ষেত্রের এক তরুণীও। ডেরা ছেড়ে বাড়ি চলে যান তিনি। তাঁর কাছ থেকে এসব কথা জানার পর তাঁর ভাইও ডেরার কাজ থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে যান। পাঞ্জাবের সঙ্গরুর এক তরুণী সাহস করে বাড়ি ফিরে ডেরার ভয়ংকর দিকটা সবাইকে জানিয়েছিলেন। পরদিনই ডেরার অস্ত্রধারী সেবাদার বা গুন্ডারা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান। মুখ খুললে তাঁকে খুনের হুমকি দেন।

একই ভাবে মানসা, ফিরোজপুর, পাতিয়ালা ও লুধিয়ানা থেকে এখানে আসা তরুণীরাও ভয়ে ডেরা নিয়ে কিছু জানাতে চাননি। তাঁরা ডেরা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরও খুন হওয়ার ভয়ে মুখ বন্ধ করে আছেন। সিরসা, হিসার, ফতেয়াবাদ, হনুমানগড় এবং মেরঠের তরুণীরাও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।

আমিও যদি আমার নাম জানাই, তাহলে আমাকে এবং আমার পরিবারকে খুন করা হবে। সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এই সত্য আমি সামনে আনতে চাই। এই মানসিক চাপ আর নির্যাতন সহ্য করতে পারছি না। খুব বিপদে রয়েছি। সংবাদমাধ্যম বা সরকারি কোনো সংস্থা যদি তদন্ত চালায়, তাহলে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন সাধ্বী এগিয়ে এসে এই সত্য জানাবেন, আমি নিশ্চিত। আমাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হোক। আমরা আদৌ সাধ্বী কি না, তা জানা হোক। পরীক্ষায় যদি প্রমাণ হয় যে আমদের কুমারীত্ব নেই, তাহলে তদন্ত করে জানা হোক, কে আমাদের সতীত্ব হরণ করেছেন।

তাহলেই সত্য বাইরে আসবে। মহারাজ গুরমিত রাম রহিম সিংহই যে আমাদের জীবন নষ্ট করেছেন, তার প্রমাণ মিলবে।


আমাদের দেশেও এমন বাবা আছে যাদের মুখোশ খুলে ফেলা দরকার। আশা করি ভুক্তভুগীরা এমন ভাবে প্রমান নিয়ে সামনে আসবে যাতে করে তাদের ভন্ডামী প্রকাশ পায়।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২২
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×