নিজেকে যদি প্রকৃতির মাঝে বিলিন করে দিতে চান। সতেজ অক্সিজেন কিংবা হিম হিম বাতাসে সবুজের বুকে হারাতে চান কিছুটা সময় পরিবার পরিজন নিয়ে । যান্ত্রিকতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত পাখির মতো উড়তে চান । নগ্ন পায়ে সবুঝ ঘাসের আস্তরনে প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে চলতে চান কিছুটা সময় নিরবে নিভুতে তবে আপনাকে আসতে হবে সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারী মিলিটারী একডেমীতে অবস্থিত নিরিবিলি নিরাপদ মনোরম এই পাহাড়ের বুকে।
এই পয়েন্ট থেকে খুব ভাল ভাবে বর্ণিল রঙে নদীর বুকে পড়ন্ত বেলায় সূর্যস্ত দেখা যায় ।
এমন নজরকাড়া সবুঝ প্রকৃতিতে যতদুর চোখ যাবে আপনার নয়ন জুড়িয়ে যাবে অন্যরকম প্রশান্তিতে
বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীর মূল প্রবেশ গেইট। যদি আপনার পরিচিত কেউ সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকে তাহলে উনার রেফারেন্স নিয়ে আপনি ঢুকতে পারবেন একাডেমি প্রাঙ্গনে আর দেখার সুযোগ হবে তাদের অভ্যান্তরীন সাজসজ্জা।
সানসেট পয়েন্ট এর সামনে আছে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত খাবার দোখান। খিদে ফেলে সমস্যা নাই । অর্ডার করলে আপনার জন্য খাবার তৈরি করে দিবে । পাহাড়ের চুড়ায় আছে বসার সুব্যবস্থা। চাইলে আপনি ঐখানে বসেও খেতে পারেন আর উপভোগ করতে পারেন খাওয়ার বিরতিতে পাহাড়ের রূপ।
মিলিটারী একডেমীর ভিতরে পাহাড়ের কোল ঘেষে সবুঝের মাঝে দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম যেখানে বড় বড় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
রাস্তার দুপাশে আছে পাহাড়ের হাতছানি আর হৃদ এর পানির দীপ্তিময় উজ্জ্বলতা। যার সান্নিধ্যে আপনি খোঁজে পাবেন স্নিগ্ধতা আর ভিন্নরকম ভাললাগার মাদকতা।
পাহাড়ের বুকে হৃদের সচ্ছ পানির মধ্যে আসল সুন্দর দেখার জন্য ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বোর্ডের ব্যবস্থা আছে। চাইলে আপনি পাহাড়ের মাঝে জেগে উঠা হৃদে বোর্ড নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। তখন বুঝতে পারবেন খুব কাছে থেকে প্রকৃতি প্রদত্ত সুন্দর কতখানি আপনাকে মুগ্ধ করে।
উচুঁ পাহাড়ের এমন অপূর্ব বাকে আপনি ছবি না তুলে থাকতে পারবেন না। যেমন আমি পারিনি।
খাবার দোখানের পিছন দিকে আছে পাহাড়ে উঠার জন্য সিড়ি যা দিয়ে আপনি খুব সহজে উপড়ে উঠে যেতে পারবেন।