প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের বেলাভুমি পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকতের রূপে ডুব সাতার কাটতে কিংবা বিশাল ঢেউয়ের তালে তালে ঝাঁপ দিতে না হয় প্রেয়সীর কোমল হাতে হাত রেখে লোনা জলে নগ্ন পায়ে হাটেনি এমন মানুয়ের স্ংখ্যা হয়তো সংখ্যায় খুবই নগন্য । মজার বিষয় হলো প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ভ্রমণ করতে গেলেও সৈকতের বাহিরে আরো যে আশেপাশে দেখার মতো প্রাচীন দর্শনীয় জায়গা আছে তা এখনো অনেক মানুষ জানে না। মূল পর্যটন স্পট সৈকত প্রান্ত থেকে এই সব জায়গার অবস্থান খানিকটা দুরে হওয়ায় এবং সঠিক অবস্থান না জানার কারনে কক্সবাজার সদরের মধ্যে অবস্থান হওয়ার পরেও এমন সুন্দর সুনশান স্থাপনা দেখা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে । আজ আপনাদের জন্য এমনি একটি স্থাপনার পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছি …
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে গিয়েছি বেশ কয়েকবার । তখনও জানা ছিলো না ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছাড়াও শহরের মাঝে সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য অপেক্ষা করছে আমার মতো ভ্রমণপিপাসু নাদানের জন্য।
কোন প্রকার পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই হুটহাট সিদ্ধান্তে অফিস কলিগের সাথে ছুটির দিনে বের হয়ে গিয়েছিলাম বিশাল জলরাশির টানে। সকাল পেরিযে যখন তপ্ত রোদের ছোয়াঁয় দুপুর হবে হবে এমন টান টান মুর্হূতে শহরের মধ্যে উদ্দেশ্যহীন এলোপাতাড়ি ঘুরাঘুরিতে আমাদের নজরে পড়লো হিলটপ সার্কিট হাউস, রাডার স্টেশন, রাখাইনদের প্যাগোডা ও দুষ্টিনন্দন আগ্গ মেধা বৌদ্ধ ক্যাং।
পাহাড়ের চুঁড়া থেকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ ও পর্যটন নগরীর অপূর্ব দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে । যতদূর আপনার দৃষ্টি যাবে হারিয়ে যাবেন আপনি ভিন্ন রকম আনন্দের আতিসায্যে।
কক্সবাজারের কোথায় কোন পর্যটন স্পট আছে তার বিশদ বিবরণ ও দিক নির্দেশনা আছে এই মানচিত্রে
● প্যাগোডা (জাদী) :
১৭৯০ সালের দিকে বার্মিজরা আরাকান বিজয়ের পর কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায় এটি নির্মাণ করেন। তারা এটিকে স্মৃতিচিহ্ন বলেন। কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফের পাহাড় বা উঁচু টিলায় এ ধরনের প্যাগোডার দেখা মিলে।
● কক্সবাজার সরকারি হিলটপ সার্কিট হাউজ
কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজ লাবণী পয়েন্ট থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের উপর অবস্থিত। এখান থেকে আপনি বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি কক্সবাজার শহরকেও দেখতে পাবেন ভিন্ন রূপে। এই সার্কিট হাউজটি কক্সবাজার লাইট হাউজের কাছে অবস্থিত। জেলা পরিষদ ভবনের পশ্চিম দক্ষিণে পাহাড়ের চুঁড়ায় মনোরম নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে হিলটপ সার্কিট হাউসের অবস্থান।
● রাডার স্টেশন
হিলটপ সার্কিট হাউসের দক্ষিণ পাশের চূঁড়াতে কক্সবাজার রাডার স্টেশন। এখান থেকেই দেশব্যাপী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। রাডার যন্ত্রটি সুইডিশ শিশুকল্যাণ সংস্থা ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ১৯৬৮ সালে স্থাপন করা হয়। পরে জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় তা আধুনিকীকরণ করা হয়।
সব জেলা শহরে সার্কিট হাউজ একটা করে থাকলেও কক্সবাজারে ব্যতিক্রম যেখানে দু’টি সার্কিট হাউজ আছে। একটি পাহাড়ের চুঁডায় অন্যটি সমতলে।
হিলটপ সার্কিট হাউসে উঠার জন্য ঢেউ খেলানো বাঁকা রাস্তা । আপনার উঠতে কষ্ট হলেও উপরে উঠার পর যে সৌন্দয্য তা উপভোগা করার জন্য এই সামান্য কষ্টতো স্বীকার করে নিতে হবে। তবে যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তারা গাড়ি নিয়ে পাহাড়ের উপরে উঠে যেতে পারবে।
ঝিরিঝিরি বাতাসে ছায়াময় এই গাছ তলায় বসার পর আপনার দেহে ও মনে বয়ে যাবে প্রশান্তির ছোঁয়া। সমতল থেকে পাহাড়ের চুঁড়ায় উঠার সব ক্লান্তি ভুলে যাবেন মুর্হূতে সবুজ প্রকৃতির অপূর্ব কারুকাজের মায়ায়।
সার্কিট হাউসের পাশে এই রাস্তা দিয়ে একটু সামনে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন রাখাইনদের স্মৃতি চিহ্ন দৃষ্টিনন্দন প্যাগোডা।
■ কিভাবে যাবেন :
কক্সবাজারে পৌছানোর পর আপনি রিক্সা বা সিএনজি নিয়ে এখানে ভিজিট করতে পারেন যেটি সৈকত সমবায় সমিতি এলাকায় অবস্থিত।
কক্সবাজার ভ্রমণের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানঃ
■ সবুঝ চত্বরে সুনশান এক চমৎকার বেড়ানোর জায়গা আগ্গ মেধা বৌদ্ধ ক্যাং
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩২