somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে অভাবী, গরিব, নিঃস্ব বলাটা কাফির, মুশরিক ও মুনাফিকদের জঘন্য মিথ্যাচার ও অপপ্রচার; যা প্রকাশ্য কুফরী

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারক সম্পর্কে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “তিনি হচ্ছেন আমারই দেহ মুবারক উনার অংশ মুবারক।” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে উনার লখতে জিগার, প্রিয়তমা আওলাদ সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে আলাদা করার বা আলাদাভাবে দেখার ও মনে করার কোনো অবকাশ নেই।
কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেরূপ মহান আল্লাহ পাক উনার সকল গুণে গুণান্বিত একইভাবে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিও উক্ত সকল গুণে গুণান্বিত। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ সবকিছুর মালিক; তদ্রুপ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার দেহ মুবারক উনার অংশ মুবারক হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনারাও হলেন সবকিছুর মালিক। আর উনাদের গোলাম ও খাদিম হলেন কায়িনাতের সকলেই। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধুমাত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহতাজ বা মুখাপেক্ষী। এছাড়া উনারা কায়িনাতের কারো বা কোনো কিছুরই মুখাপেক্ষী নন। বরং কায়িনাতের সকলেই উনাদের মুহতাজ বা মুখাপেক্ষী।
বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি (সবকিছু) হাদিয়া করেন আর নিশ্চয়ই আমি হলাম (উক্ত হাদিয়া) বণ্টনকারী।”
উল্লেখ্য, কায়িনাতের সকলেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। উম্মতের কেউই সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে কোনো নিয়ামত লাভ করতে পারবে না, বরং কোনো নিয়ামত লাভ করতে হলে তাকে অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমে লাভ করতে হবে।
এখানে স্মরণীয় যে, যার উসীলায় কায়িনাতের সবকিছু সৃষ্টি এবং যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত্ব নিয়ামত স্বীয় উম্মতের মাঝে বণ্টনকারী তিনি এবং উনার পূত-পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং বিশেষ করে উনার প্রিয়তমা লখতে জিগার সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি কি করে নিঃস্ব ও গরিব হতে পারেন।
ফী সাবীলিল্লাহ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করার অর্থ কি এটাই যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি গরীব ও অভাবী। নাউযুবিল্লাহ!
যদি তা না হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উনার পূত-পবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক প্রদানের অর্থ মহান আল্লাহ পাক উনার মতোই গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় কাফির ও জাহান্নামী হতে হবে।
বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত ও সম্পদশালিনী মহিলা। উনার বাণিজ্য সম্ভার সিরিয়া যেত এবং উনার একার পণ্য কুরাইশদের সকলের পণ্যের সমান হতো। সুবহানাল্লাহ! এ থেকে উনার সম্পদের পরিমাণ ও ব্যবসার পরিধি সহজেই উপলব্ধি করা যায়। তাই তো উনার নাম মুবারকের সাথে কুবরা (বড় সম্পদশালিনী) উপাধিটি যুক্ত হয়েছে। তিনি যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আহলিয়া হিসেবে ভূষিত হন তখন তিনি উনার সমস্ত ধন-সম্পদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে হাদিয়া করে দেন। সুবহানাল্লাহ! উনারই আদরের দুলালী হলেন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি । সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টই বর্ণিত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন সবচেয়ে বড় দানশীল অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন বড় দানশীল অতঃপর যারা প্রকৃত মু’মিন-মুসলমান উনারা সবচেয়ে বড় দানশীল।
মোটকথা, মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই কায়িনাতের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বড় দানশীল উনাকে এবং উনার পূত-পবিত্র হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে গরিব, অভাবী, নিঃস্ব বলাটা কাফির, মুশরিক ও মুনাফিকদের জঘণ্য মিথ্যাচার ও অপপ্রচার; যা প্রকাশ্য কুফরী। এ কুফরী থেকে বেঁচে থাকা সকল মুসলমানের জন্যেই ফরয।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×