চৈত্র সংক্রান্তিতে বড় মেলা বসেছে পাঠান মুলুকে।
তরফদার বাড়ীর পুকুর ধারটা জুয়ারিদের দখলে।
কেঁপে ওঠে অপ্সরাদের ছলা-কলায় যাত্রার মঞ্চ।
বয়সের তফাৎ ভুলে উপভোগে আধমরা পৌঢ়।
মাঠের পশ্চিম কোনে জমে উঠেছে লটারীর হাট।
আবাল বৃদ্ধ বিত্ত খুয়িয়ে ঝুকেছে প্রাপ্তির নেশায়।
বয়সের বন্ধুরতা ভুলে সবাই যেন সমভূমিতে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই দেখা যায় সভ্যদের বিচরণ।
ক'আটি শাপলা বেচতে এসেছিলো বোবা মেয়েটি,
ডজন খানেক সস্তা চুড়ি কিনে আহ্লাদে আটখান।
বায়োস্কোপবিহীন মেলায় যেন জনতার ঢল।
রংয়ের মেলায় ভ্যাপসা গন্ধে জঘন্য দমকা হাওয়া।
ঝোপের ধারে দাড়িয়ে একদল উৎসুক জনতা।
ব্যাথায় গোঙ্গাচ্ছে একটি রক্তাক্ত কচি শরীর।
পাষন্ডরা খাবলে খেয়েছে ওর দক্ষিণ বাহু।
ধ্বনিত হয়না বাতাসে ভায়োলিনের করুন সুর।
শুনেছি এ পাড়ার মানুষগুলো আর আধপেটা নেই
পোদ্দার বাড়ীর লোমহীন কুকুরটা আধপেটা কেন?
মানুষ বাঁচার জন্য খায়? নাকি খাওয়ার জন্য বাঁচে?
উদ্ভট প্রশ্নে বিভ্রান্ত শেখর কালিদাস পন্ডিত।
হাওয়াই মিঠাই আর কাচের চুড়ি সবই এখন বিলুপ্ত
"নাগরদোলা" শব্দটা যেন এখন যাদুঘরে সজ্জিত।
হোল্ডল গুছিয়ে দোকানিরা ঝিমুচ্ছে ঠা-ঠা অালোতে
একরত্তি ভালোবাসাহীনতায় ভুগছে চৈত্র মেলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭