মানবজমিন রিপোর্ট: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মধ্যরাতে রোগীর স্বজন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেডিকেল এলাকায় তোলপাড় চলছে। ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল সকালে পুলিশ ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে।
অসুস্থ নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল নবম শ্রেণিপড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন ওই স্কুলছাত্রীর নানি। রোববার রাতে ওই স্কুলছাত্রী ছাড়া আর কেউ রোগীর সঙ্গে ছিল না।
রাতে ফাইল দেখার কথা বলে ডাক্তার মাহী ওই মেয়েটিকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। সকালে বাবা-মা হাসপাতালে আসার পর স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানায়।
গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার একেএম মাহবুবুল হক জানিয়েছেন- ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের এবং ওই চিকিৎসককে নিয়ে বসি। মেয়ের পক্ষ এবং ওই ইন্টার্নি ডাক্তারদের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মেয়ের পরিবারের আনা অভিযোগ মাহী অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর জানান- মাক্কাম মাহীকে আটক করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ওই স্কুলছাত্রীকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।’ অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মাক্কাম আহমদ মাহী। সে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার মোখলেসুর রহমানের পুত্র। সে ওসমানী মেডিকেলের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক। স্কুলছাত্রীটি তার পরিবারের সঙ্গে সিলেট মহানগরীতেই থাকে।
সূত্র: Click This Link
বিডিনিউজ২৪বাংলা রির্পোট:
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর কিশোরী স্বজনকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকাম এ মাহমুদ মাহীকে সোমবার দেড়টার দিকে পুলিশে দেওয়া হয়।
মাহী ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোখলেসুর রহমানের ছেলে। ওসমানীর নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক তিনি।
হাসপাতাল থেকে আটক করে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছন কোতোয়ালি থানার ওসি মোশাররফ হোসেন।
কিশোরীর বাবা বলেন, অসুস্থ নানির সঙ্গে রোববার রাতে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন তার মেয়ে। তাদের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না।
“মধ্যরাতে ফাইল দেখার কথা বলে চিকিৎসক মাহী তাকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সকালে স্বজনরা হাসপাতালে আসার পর মেয়েটি ঘটনা তাদের জানায়।”
সোমবার সকাল ৮টার দিকে ওসমানীর পরিচালকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশে দেয়।
পরিচালক মাহবুবুল হক বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই কিশোরীর স্বজন ও চিকিৎসক মাহীকে নিয়ে বসি। উভয় পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মাহী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনায় সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেওয়া হয়।
“কিশোরীকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া ওয়ার্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
কোতোয়ালি থানার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আর মাকাম এ মাহমুদ মাহীকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীর পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে |
সূত্র: Click This Link
আমার কথা : সমাজে কষাই বলে পরিচিত ডাক্তারদের চরিত্রের এক নতুন দিক উন্মোচিত হলো! সাবাস বাংলাদেশ, মরার আগে নিজের চোখে আর কি কি দেখতে হবে সেটাই ভাবছি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জুলাই, ২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১০