কারনা ভালো লাগে বিশ্বরেকর্ড করতে। সাবাই চাই, সাবাই অামাকে দেখুক। অামার কথা বলুক। কিন্তু যদি বিষয়টি শখের বসে হয়। সেটা ব্যক্তিগত হলেও কথা থাকে। কিন্তু যদি রাষ্ট্রিয় উদ্যোগে বিশাল ব্যয় করা হয় তবে? এখানেই কথা থেকে যায় অামাদের দেশে এখনো অনেক মানুষ শিক্ষার অালো থেকে বঞ্চিত। অনেকে খাবারের জন্য সংগ্রাম করছে। সেখানে টাকা খরচ করে অনর্থক বিশ্বরেকোর্ডের কোন অর্থ হয়না। সর্বপ্রথম দেশ ও দেশের মানুষের কথা অামাদের সকলেরই ভাবা উচিৎ। অামরা যদি অামাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারি তবে দেশ উন্নত হতে সময় লাগবেনা। তাই পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে।মেধাবীদের উৎসাহ প্রদান ও চাকুরির ক্ষেত্রে মেধার মূল্যয়ন করতে হবে। কিন্তু বার বারই শিক্ষা খাত উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
অামাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শিক্ষা ক্ষেত্রে যে বিনিয়োগ করে। অামরা তার ৫০ ভাগের এক ভাগও করছিনা। সুযোগ খুজতেছি, শিক্ষা খাত থেকে ভ্যাট নেওয়া যায় কিনা।
অামাদের প্রতিযোগিতা হওয়া উচিৎ বিজ্ঞানী তৈরীতে বিশ্ব রেকোর্ড করা। এতে দেশের কল্যান হবে। জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্বরেকোর্ডের কিছুদিন যেতে না যেতেই ভারতের একটি প্রদেশ জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনেজ বুকে নাম তুললো। এখন এই গিনেজ বুকে নাম তোলা ও নামানোই অামাদের দেশের লাভ ও লস কতটুকু হলো??? একটি সুন্দর পরিকল্পনা, একটি দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারে।
তাই, পরিকল্পিত শিক্ষানীতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ননীতি সর্বসম্মতি ক্রমে গ্রহণ করে দলমত নির্বিশেষে সকলে সেই নীতি বাস্তবায়নে তৎপর হতে পারলে দেশের উত্তর উত্তর উন্নতি সম্ভব।নচেত দেশের সার্বিক উন্নতি ও জনগণের কল্যান সম্ভব নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮