যদিও বলা হয়ে থাকে দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচন। তবে মূলতঃ নির্বাচন হয় অাওয়ামী লীগের ২গ্রুপেরই মাঝে। অার অন্যদলের তেমন একটা সুযোগ হয়না। কেনো হয়না সেটা অাপনাদের অজানা নয়...
অাজ অামি একটা ঘটনা শেয়ার করছি। বিস্তারিত বললে অাপনারা চিনে ফেলতে পারেন এজন্য অাকার ইংগিতে বলতে চাচ্ছি। অামার দুলাভাই, অাওয়ামী লীগের নেতা। সে একজন জনপ্রিয় মানুষ। গ্রাম্য বিচার-শালিশ করে থাকেন। সবগ্রামেই কমবেশি ভালো মন্দো মানুষ থাকে। দুলাভাই সৎমানুষ হওয়াই, বিচার করতে গেলে যারা অন্যায় করে তাদের বিপক্ষে কথা বলেন।
ঘটনার পটভূমি এমন ছিলো- মফিজ(রুপক নাম) মাঠ থেকে ফসল চুরি, গরুদিয়ে ক্ষেতের ফসল খাওয়ানো, রাস্তার গাছ চুরি করা ইত্যাদি করে থাকে। কে ঠেকাবে তাকে। দুলাভাই তাকে প্রতিবাদ করে।
অার, এসব ছোট খাট বিষয় নিয়ে মাঝে মাঝেই ঝামেলা হয়। বিচার শালিস হয়। একবিচারে দুলাভাই মফিজকে পিটিয়ে ছিলো। এবং তাকে জরিমানা করেছিলো। এরপর...
২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচন।সরকার ঘোষণা দিলেন দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হবে। দুলাভাই সাপোর্ট দিলেন সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল চক্রবর্তীকে। দুলাল চক্রবর্তী একজন ভালোমানুষ। দু’বারের চেয়ারম্যান। দুঃখের বিষয় দুলাল চক্রবর্তী দলীয় নমিনেশন পাননাই। তবুও তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বিএনপির নেতা কর্মীদের হুমকি দিয়ে অাসায় পোলোং এজেন্ট দেওয়ারই লোক পাওয়া যাচ্ছিলোনা। অাওয়ামী দলীয় নমিনেশন পান হারুন জর্দার। হারুন জর্দার ব্যক্তিগত ভাবে সন্ত্রাস, মাদক, চোরাকারবারির সাথে জড়িত। টাকার মাধ্যমে মূলতঃ তার নৌকা প্রতিকে দলীয় নমিনেশন হয়। প্রচারণা চলা অবস্থাই দুলাল চক্রবর্তীর একজন সাপোর্টারকে হত্যা করা হয়। যার বিচার অাজও হয়নি।
নির্বাচন পরবর্তী অনেক সহীংশতা হয়। দুলাভাই ভাবছে, সেতো মাতবর মানুষ, তার কিছু হবেনা।
একদিন বাজার থেকে ফেরার পথে মফিজ ৩-৪ জন সন্ত্রাসি সাথে করে দুলাভাইকে হামলা করে চলে যায়। প্রায় ৪-৫মাস অসুস্থ থেকেও অাজও সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। এখনো তারা হুমকি দিয়ে যায়। থানাই জিডি করতেও ভয় পাচ্ছে। যদি জিডি গ্রহণ না হয়।
এই যদি সরকারি দলের নেতা কর্মীর অবস্থা হয় তবে যারা সাধারন মানুষ তারা অাজ কেমন অাছে। নির্বাচন সেতো দুরের কথা। ভালোভাবে জীবন যাপন করাও কঠিন হয় দাড়িয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৮