কখনো কখনো কষ্টের বিশালতায পা বাড়িয়ে থমকে দাড়াই হঠাৎ। ভাবি এই বুঝি শেষ হলো জীবনের সমস্ত অায়োজন।কেড়ে নেওয়া অতীত, অগোছালো বর্তমান, ঝাপসা ভবিষ্যৎ এ সবি যেন আজ আমার ভীষন পরিচিত। চলছে, বেশ কাটাচ্ছি সময়। বেলা করে ঘুম থেকে উঠা,না খেয়েই বেরিয়ে পড়া,অনেক রাতে ঘরে ফেরা। এ সবি যেন আজ আমার নিত্য চাহিদা। এ নিয়েই চলছে আমার নিরেট উল্লাসের স্বচ্ছল দিনগুলো। পেরিয়ে যাব, কাটিয়েও হয়ত উঠব একদিন। হয়ত দেখবো সেদিন হাতে সময় খুব অল্প। দাড়ি গোফে পাক,বিশাল বাবরী। সেদিন হয়ত সত্তরেও ঝরবে কষ্টের ভীষন উন্মাদনা। চলে আসবো হয়ত কুড়িতে। হয়ত সেদিন সুধাংশু কাঁদবে তার নিপুণ তাড়নায়। ব্যর্থ অাঙ্গুলগুলো বাজাবে তার সমস্ত কবিতার শিরোনাম। হঠাৎ যদি মাঝে হয় দেখা! দেখবো তার চুলেও ধরেছে পাক। দারুন উল্লাসে মেয়ে,নাতনি নিয়ে কাটাচ্ছে সময়। আমার থমকে যাওয়া জীবন তখন হয়ত সময়ের কাছে হেরে যাবে - ভীষন হেরে যাবে।দারুন উন্মাদনার দু এক ফোটা বৃষ্টি হয়ত সেদিন নাচবে তালবেতালে।আমার ফেলে আসা চন্দ্রা হয়ত সেদিন কারো দক্ষ গিন্নী, স্নেহে ভরা মা।আর আমি! আমিতো তখন একা,,,,,,ভীষন একা।।।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫৯