somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রেডিট কার্ডের ফ্রডুলেন্ট এক্টিভিটিঃ সাবধান হওয়া উচিত আমাদের।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১২ বছর ধরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একাউন্ট চালাচ্ছি। নানান প্রতিরোধ, বাণী চিরন্তণী আর উপদেশের মাঝেও ক্রেডিট কার্ড চলছে প্রায় এক দশক। আমার নিজের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা নিয়ে কোন দিনই কোন অভিযোগ ছিল না। হিডেন চার্জ হয়, এডিক্ট বানায় দেয় এসব বেনেডিক্টিয় বাণীতে আমার ব্যক্তিগত কোন সমস্যা গত ৯ বছর আট মাসে হয় নাই একেবারেই।
আজ ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট চেক করতে গিয়ে দেখি একটি চায়নিজ অনলাইন পোর্টালে আমার SCB ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৯২ ইউ এস ডলার কেনাকাটা হয়েছে গত ৭ ই জুন। ৭৬০০ টাকার মত। পোর্টাল টি একটি চাইনিজ পোর্টাল এবং বেইজিং ভিত্তিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে। ট্র্যাঞ্জেকশান অনলাইনে হয়েছে এটা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কল সেন্টারের দুজন কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি ই ঐক্যমতে স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে প্রথমজন আমাকে ভাবতে একরকম বাধ্যই করেছেন যে আমি ই ট্রাঞ্জেকশন টি করেছি, এতে ভুল হতে পারে না। দ্বিতীয় জন শুরুতেই ঘটনা টি শুনে বলেছেন এটি ফ্রডুলেন্ট এক্টিভিটি। কার্ডটি এখনই বন্ধ করে দিতে চেয়ে তিনি একটি এনকোয়ারি রিকুয়েস্ট ও রেকর্ড করেছেন। আমার অনুমতি সাপেক্ষে কার্ড অপারেশন সাসপেন্ড করা হয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাস্কিং SMS port থেকে আমাকে SMS করে জানানো হয়েছে যে অভিযোগটি ব্যাংক গ্রহণ করেছে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত ও চলবে - ঠিক যেমনটি দ্বিতীয় কাস্টমার ম্যানেজার বলেছেন।
অনলাইন ট্র্যাঞ্জ্যাকশনের কিছু প্রসিডিউর আছে। নিরাপত্তা ধাপ আছে। আপনার কার্ড আপনি (বা কোন দুর্ঘটনা জনিত কারণে অন্য কেউ ও ) যদি অনলাইনে ব্যবহার করতে যান, তাহলে টাকাটি কেটে নেবার আগে হয় আপনার মোবাইল অথবা ইমেইল অথবা দুটোতেই একটা গোপন নাম্বার আসবে (OTP SMS অথবা ইমেইলে)। সেই নাম্বার আপনি সিকিউরিটি পোর্টালে প্রবেশ করানো হলেই কেবল মাত্র আপনার ট্র্যাঞ্জেকশন সফল হবে মানে আপনার টাকা কাটা যাবে। এরকম কোন OTP SMS বা ইমেইল ই আমার কাছে আসে নাই। ইমেইলে SCB বাল্ক বা spam ফোল্ডারে যায় না। এই ব্যাংকের ইমেইল আমার মূল ইনবক্সেই আসে, সব সময়ই আসত। তাও ক্রস চেক করে দেখলাম কোন ইমেইল নেই। ফিজিক্যালি কার্ডটি একবারো আমার হাতছাড়া হয় নি। এটি চিপ কার্ড। এর ফরেন ট্রাঞ্জেকশন হবার সুযোগ ই নেই কোন। এখানেই শেষ নয়। প্রতিটি ট্র্যাঞ্জেকশানের পর ব্যাংক সেই তাদের পোর্ট থেকে SMS করে জানিয়ে দেয় যে কত টাকা কি উদ্দেশ্যে এবং কোন রিটেইল এ বা কোন মার্চেন্টে ব্যবহার হয়েছে।
খুব অদ্ভুতভাবে এই কনফারমেশন SMS টি ও আমার কাছে আসে নাই। ৬ তারিখ আছে। ৮ তারিখে আছে। কিন্তু ৭ তারিখে এই ফ্রড অ্যাক্টিভিটির কোন SMS নাই। তার মানে আজকে অনলাইন ব্যাংকিং চেক না করলে আমার জানার কোন উপায় ই থাকত না এই ঘটনা ঘটে গেছে।
পুরা ঘটনা শুধু গোলমেলে নয়। মারাত্মক ভয়ংকর কিছুর ও নির্দেশক বটে। সিকিউরিটি breaching হয়েছে নিশ্চিত। হতে পারে হ্যাকিং। সিকিউরিটির দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে দেশের ভিতর বা বাইরে থেকে এই ফ্রড অ্যাক্টিভিটিগুলো হচ্ছে। এগুলা বড়সর ঝড়ের ও পূর্বাভাস হতে পারে। মূল খেলার আগে কেউ হয়ত নেট প্র্যাক্টিস করছে। সেটা যাই হোক। ব্যাপারটা হেলা ফেলা করার সুযোগ একেবারেই নেই। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকেই এই অবস্থা হলে, যারা কমপ্লায়েন্স প্রায় অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে, অন্য অনেক দেশী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (যারা নিয়মনীতির ধার ধারে না) এ কি বিপর্যয় অপেক্ষা করছে কে জানে? !!
এই কার্ডটি আমার রেগুলার কাজে লাগে। নেটফ্লিক্স এর monthly payment, কিছু আরো ইন্টারন্যাশনাল ট্র্যঞ্জেকশান ট্রাভেল ইত্যাদি। কিন্তু আপাততঃ করণীয় হচ্ছে আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের ফরেন ট্র্যাঞ্জেকশন পার্ট টি বন্ধ করে রাখুন। দরকার হলে এখনই। ইদানিং ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার (মোবাইলের ও ) রা কেয়ার ম্যানেজারিং ছেড়ে দিয়ে আপনার শিক্ষক হয়ে উঠতে চাইছেন। তবুও তাদের সাথে ধৈর্য্য ধরে কথা বলে সমস্যার সমাধান আগে বুঝুন, তারপর সমাধানে আগান। উপরে বর্ণিত দ্বিতীয় ম্যানেজারের মত অনেকেই সাহায্য ও করবেন।

মুল লিখা- Rafiqullah Romel ভাই।

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×