জগত জীবন কাল আচার অনাচার দুরাচার এই ত্রি-ধাঁরার দুরবার স্রোত মুখে নিয়ে যারা এগিয়ে গেলেন তারা শুধু বলে গেলেন এগিয়ে চল এগিয়ে চল। কিন্তু কোথায় ? যেখানে নেই মহা মানবতার সঙ্গমস্থল। যেখানে নেই অন্ধকার আছে আলোর বন্যা। আছে সীমাহীন সময়ের অনন্ত শান্তি। আর সেই শান্তির নীগাড়ে পৌঁছার ধ্যান আমরা কেউ যে করিনা। দু,দিনের এই দুনিয়াতে কত রঙের রঙ্গিন তামাসায় মত্ত থাকি। কখন সময় ফুরিয়ে যাবে তা যে কেউ ভাবিনা।
সেই না জানা প্রলয়ংকারী ঝড় যে সল্প সময়ের বেড়ে উঠা দু,টি তাজা প্রানে আঘাত হানবে তা কেইবা জানে। নিমিষেই ভেঙ্গে তছনছ করে দেবে সপ্নের মত সাজানো ঘর। ভাসিয়ে দেবে সপ্নের আঁকা রংগুলিকে। ফিকে করবে বসন্ত বাতায়ন।
রুপম তনিমার প্রেম। যেন আকাশে বাতাসে ধবনিত হইতেছে। সবার মুখেমুখে একই সুর দু,জন কে খুবই সুন্দর মানিয়েছে। কেউ আবার বিধাতার গুনগান করে বলছে সত্যি আল্লার কি অপার মহিমা,কেউ আবার বলছে মাবুদ তোমার খেলা বোঝা বড় দায়। তনিমা বলছে আমি তোমার কাছে এর চেয়ে আর বেশিকিছু চাইনা প্রভু।
সল্প সময়ে দু,জনের প্রেম যে এতো গভির হবে তা যেন ভাবতেই অবাক লাগে। একজন আরেক জন কে এক মুহুরত না দেখলে থাকতে পারেনা। কি প্রেম,কি আকর্ষণ, কি মায়ার বন্ধন লেগেছে দু,টি প্রানে।
নিয়তি হয়ত সেদিন দূর থেকে নীরব হাসি হেসেছিল।
আগেই বলেছিলাম রুপম বিদেশ চলে যাবে। সে দিনটির আর মাত্র তিন দিন বাকী। বিদেশ যাওয়ার ভীষন ব্যস্ততায় সে দিন সারা দিন দু,জনার দেখা হয়নি। রুপমের মনটাও দেখা করার জন্যে আকূল হয়ে আছে। আর তনিমার কথা কি আর বলবো।
সারা দিন রুপম তার বাবার সাথে ছিল বলে খুব একটা কথা তনিমার সাথে বলতে পারেনি। ঠিক পনে নয়টার দিকে বাসায় ফিরে।কোন রকম গোসলটা সেরে নিয়েই তনিমাকে ফোন দেয়।
তনি। তনি আমার-
লক্ষি সোনা আমার কথা শোন।একটু বোঝার চেষ্টা কর।
যতই বলছে কোন সারা শব্দ যেন নেই।
একের পর এক অনেক অনুনয় বিনয়। পৃথিবীর মাঝে যত অনুনয় বিনয় মধুর কথার সৃষ্টি হয়েছে রুপম যেন তার সবি প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছে। মনে হয়েছে তাতেও সে খুব একটা সফল হয়নি। রুপম ভাবছে তনিমা যেন সেভাবে আর আগের মত কথা বলছে না। কেন জানি ছারাছাড়া। মানে তনি কথা বলছে বাট প্রান খোলে বলছে না। কে জানে কি হয়ছে। হয়ত তনিমা জানত কিছু কিংবা হয়ত কিছুই জানত না।
রাত দশটা। রুপম কোন ভাবেই সস্থ্যি পাচ্ছে না। তাই গাড়িটা নিজেই ড্রাইভ করে বে্রিয়ে পড়ল। নানা জল্পনা কল্পনা আর হতাসা নিয়ে ড্রাইভ করছিল। হঠাত পেছন থেকে একটা গাড়ী এসে হাল্কা ধাক্কা দিল।রুপম ঊকি দিল। গাড়ি থেকে স্পষ্ট আওয়াজ এলো মিয়া মাতাল হয়ে গাড়ি চালাও কেন?
রুপম একটু সাবধান হয়েই গাড়ি চালায়।
যাওয়ার আগেই রুপম মেসেজ দিয়ে জানিয়েছিল।
তনি আর যাই কর। আমি আসছি তোমার বাসায় অন্ততঃ দারোয়ান দিয়ে অপমানিত করোনা।
তনিমার কর্ণ কোহরে যেন কথাটি বাঁজিয়া ঊঠিল। মনে মনে খুশি হইল। জানালার শিক ধরে দাঁড়াল। চোঁখ দু,টি তার
কেবলি নীল রঙের গাড়িটার দিকে। কেবলি উত্তেজনার প্রহর, কেবলি উচছলতা কখন আসবে প্রিয়।
ইতিমধ্যেই তনিমা গেটে থাকা তিনজন দারোয়ান কে বলে দিয়েছে যে রুপম আসলে তাকে যেন ভিআইপির মর্যাদায় ঢুকতে দেওয়া হয়।
---------
প্রিয় বন্ধুরা
বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে
ষষ্ঠ পর্বেই শেষ করব
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩