somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিধাতার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মা
স্বর্গের সিঁড়ি যাঁর পা।
মায়ের নেই তুলনা
কবর থেকে দোলনা।
ফকির দরবেশ র্মিজা
সবার জন্য মা মসজিদ মন্দির গীর্জা।
মা নামক মধুর বাণী
হৃদয় জুড়ায় নির্বোধ,মূর্খ,জ্ঞানী।
মায়ের মাথার আঁচল খানি
সন্তানের মাথার ছানি
যার আছে মা নামক সীসাঢালা দুর্ভেদ্য প্রাচীর
তার গায়ে লাগে না অনাদর অবহেলা লাঞ্ছনা বঞ্ছনার শিশির।
মায়ের অনাদর অবহেলায় যাদের জীবন ঢাকা
সম্পদের পাহাড় থাকা সত্বেও জীবনটা তাদের নিকট ফাঁকা।
মায়ের আদর যতœ থেকে হয়েছে যে বঞ্ছিত
সে জানে হৃদয় তার কতটুকু রক্তে রঞ্জিত।
ক্ষণিকের তরে সামান্য বোঝা করতে পারি না বহন
মা কিভাবে সহ্য করেন সন্তান ধারণের দহণ ?
মা যে কষ্ট ভোগ করেন সন্তান থাকতে গর্ভে
সন্তান সে ঋণ পরিশোধ করতে কি পারবে ?
কায়ার প্রতি না করে মায়া
সন্তানের জীবনে পেলেন শান্তির ছায়া।
মা হলো এমন এক জাতি
যারা নিজের জীবন নিভিয়ে, জ্বালিয়ে রাখে সন্তানের জীবনের বাতি।
করলে মায়ের সেবা
ন্ধদয়ে অনুভব হয় স্বর্গের আভা।
মায়ের করে সমাদর
জাতি হয় অমর।
যে জাতি করে না মায়ের কদর
স্বর্গ সুখ নাও পেতে পারে সে শহীদ হলেও বদর।
অবহেলা করে যে মা জাতির প্রতি
হারিয়ে যায় তাদের জীবনের গতি।
মায়ের সাথে সন্তানের সর্ম্পক নাড়ীর
তা ছিন্ন হয় না ঠোকাঠুকিতে হাঁড়ির।
কখনো ঋৃণ পরিশোধ হবে না মায়ের
নিজের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলেও তাঁর পায়ের।
অবজ্ঞা অবহেলার ছিন্ন করে তিমির
প্রমদা কে নিয়ে প্রফুল্ল বদনে মালঞ্চ সাজালে জমির
মা জাতির হৃদয়ে জ্বলবে বাতি
পাবো মোরা একটি সুস্থ সুন্দর জাতি।
আমিষ খেতে দিলে গর্ভবতী মাকে
তোফা পাবে জাতি সুস্থ সুশ্রী সন্তান ঝাঁকে ঝাঁকে।
গর্ভবতী মায়ের অভাব হলে পুষ্টির
পীড়িত কদাকার সন্তান জন্ম নিবে যুধিষ্ঠির।
গর্ভকালে মায়ের সকল ক্রিয়াকলাপের তাসির
গর্ভজাত সন্তানের উপর প্রভাব ফেলে হয়ে বিজলী শিশির।
তাই গর্ভবতী মায়ের চলাফেরা আচার আচরণ
উন্নত জাতি গঠনের স্বার্থে করতে হবে নিয়ন্ত্রন।
গর্ভবতী মা জাতির হয়ে দর্পণ
গর্ভকালে যে বীজ করে রোপন
অনাগত সন্তান
সে ফল নিয়ে করে আগমন
মা জাতির প্রতি রাখলে খেয়াল
জাতির হবে না বেহাল।

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×