বিধাতার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মা
স্বর্গের সিঁড়ি যাঁর পা।
মায়ের নেই তুলনা
কবর থেকে দোলনা।
ফকির দরবেশ র্মিজা
সবার জন্য মা মসজিদ মন্দির গীর্জা।
মা নামক মধুর বাণী
হৃদয় জুড়ায় নির্বোধ,মূর্খ,জ্ঞানী।
মায়ের মাথার আঁচল খানি
সন্তানের মাথার ছানি
যার আছে মা নামক সীসাঢালা দুর্ভেদ্য প্রাচীর
তার গায়ে লাগে না অনাদর অবহেলা লাঞ্ছনা বঞ্ছনার শিশির।
মায়ের অনাদর অবহেলায় যাদের জীবন ঢাকা
সম্পদের পাহাড় থাকা সত্বেও জীবনটা তাদের নিকট ফাঁকা।
মায়ের আদর যতœ থেকে হয়েছে যে বঞ্ছিত
সে জানে হৃদয় তার কতটুকু রক্তে রঞ্জিত।
ক্ষণিকের তরে সামান্য বোঝা করতে পারি না বহন
মা কিভাবে সহ্য করেন সন্তান ধারণের দহণ ?
মা যে কষ্ট ভোগ করেন সন্তান থাকতে গর্ভে
সন্তান সে ঋণ পরিশোধ করতে কি পারবে ?
কায়ার প্রতি না করে মায়া
সন্তানের জীবনে পেলেন শান্তির ছায়া।
মা হলো এমন এক জাতি
যারা নিজের জীবন নিভিয়ে, জ্বালিয়ে রাখে সন্তানের জীবনের বাতি।
করলে মায়ের সেবা
ন্ধদয়ে অনুভব হয় স্বর্গের আভা।
মায়ের করে সমাদর
জাতি হয় অমর।
যে জাতি করে না মায়ের কদর
স্বর্গ সুখ নাও পেতে পারে সে শহীদ হলেও বদর।
অবহেলা করে যে মা জাতির প্রতি
হারিয়ে যায় তাদের জীবনের গতি।
মায়ের সাথে সন্তানের সর্ম্পক নাড়ীর
তা ছিন্ন হয় না ঠোকাঠুকিতে হাঁড়ির।
কখনো ঋৃণ পরিশোধ হবে না মায়ের
নিজের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলেও তাঁর পায়ের।
অবজ্ঞা অবহেলার ছিন্ন করে তিমির
প্রমদা কে নিয়ে প্রফুল্ল বদনে মালঞ্চ সাজালে জমির
মা জাতির হৃদয়ে জ্বলবে বাতি
পাবো মোরা একটি সুস্থ সুন্দর জাতি।
আমিষ খেতে দিলে গর্ভবতী মাকে
তোফা পাবে জাতি সুস্থ সুশ্রী সন্তান ঝাঁকে ঝাঁকে।
গর্ভবতী মায়ের অভাব হলে পুষ্টির
পীড়িত কদাকার সন্তান জন্ম নিবে যুধিষ্ঠির।
গর্ভকালে মায়ের সকল ক্রিয়াকলাপের তাসির
গর্ভজাত সন্তানের উপর প্রভাব ফেলে হয়ে বিজলী শিশির।
তাই গর্ভবতী মায়ের চলাফেরা আচার আচরণ
উন্নত জাতি গঠনের স্বার্থে করতে হবে নিয়ন্ত্রন।
গর্ভবতী মা জাতির হয়ে দর্পণ
গর্ভকালে যে বীজ করে রোপন
অনাগত সন্তান
সে ফল নিয়ে করে আগমন
মা জাতির প্রতি রাখলে খেয়াল
জাতির হবে না বেহাল।