অনেক রাত জেগে নাকি মোবাইল টিপছিলো ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েটি। তা দেখে মা হয়তো বকা দিয়েছেন। সেজন্য মেয়েটিকে আত্মহত্যা করতে হবে? বিষয়টা ঠিক মাথায় ঢুকছে না। নাকি অন্য কোনো কারণ ছিল?
ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী নাকি ঘটিয়েছে এমন ঘটনা। নিতে পারছি না বিষয়টা। সন্তান ভুল করলে, ভুল পথে গেলে, পড়ালেখা না করলে, রাত জেগে মোবাইল টিপলে বাবা-মা বকা দিবেন, দরকার হলে মারবেনও। এজন্যই তো তাঁরা বাবা-মা। সন্তান জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করছেন, শাসনের অধিকারও তো তাঁদেরই।
আমার কাছে বাবা-মায়ের শাসন মানে আশীর্বাদ।ছোটবেলায় বাবা-মায়ের বকা তো আমরাও খেয়েছি। যারা আমাকে বা আমার পরিবারকে ছোট থেকে জানেন, তারা ভালো বলতে পারবেন। অনেক বাধ্য ছেলে ছিলাম। তবুও একটু ভুল-ত্রুটি করলেই বকা খেতাম। একটু টিভি দেখার জন্য আগে থেকে পড়া করে রেখে বাবাকে সন্তুষ্ট করে তারপর মাথা নিচু করে মিনমিনে গলায় টিভি দেখার অনুমতি চাইতাম। সন্ধ্যার পর বাসার বাইরে থাকার কথা ভাবতে পারতাম না, সাহস করা দূরের কথা। রাত জেগে পড়তাম। তখন যদিও মোবাইলে ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিল না। রাত জেগে মোবাইলে কথা বলার সাহসও ছিল না। বকা দিলেই আবার একটু পর এসে বাবা নিজে থেকেই আদর করে দিতো। আমার মনে হয় ৯০ এবং এর আগের দশকের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের অধিকাংশই এমন ছিলো।
এখন, এই যে মেয়েটি আত্মহত্যা করলো, এই ঘটনা জানার পর তো অভিভাবকেরা সন্তানদের বকা দিতেও ভয় পাবেন! হয়তো কোনো কোনো সন্তান তার বাবা-মাকে আত্মহত্যা করার হুমকিও দিয়ে বসবে। শুধু বকাঝকাই হয়তো কারণ ছিলো না। হয়তো মেয়েটি অন্য কোনো কারণে ডিপ্রেসড ছিলো। আসল কারণটি খুঁজে বের করতে হবে। আর সন্তানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, বকার পাশাপাশি আদরও দিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫০