পৌষ সংক্রান্তিতে মায়ের হাতের পিঠা খাওয়ার ইচ্ছা আর কোনোদিন এতোটা হয়নি, যতটা না আজ হচ্ছে।
ছোট থেকেই মায়ের মুখে শুনেছি, ধর্মীয় বিধিমতে নাকি এই দিনে প্রতি ঘরে ঘরে পিঠার সাজ পুড়িয়ে পিঠা বানাতে হয়। তাতে নাকি বংশের সকলের(বর্তমান ও গত সকলের) মঙ্গল হয়। এই একটা কারণে, খাওয়ার কেউ না থাকলেও মাকে দেখেছি সাজ পুড়িয়ে রাখতে!
ছোট থেকেই পাটালি গুড় আর বেশি করে মসলা দিয়ে রান্না করা মুরগির ঝোল দিয়ে চিতই পিঠা আমার প্রিয়। পিঠা খুব ভালো বানাতে পারতো আমার বাবা, যেকোনো ধরণের রান্নাতেই তাঁর মুন্সিয়ানা ছিল। মা পিঠা বানাতে গেলে দেখা যেতো বাবার মতো অতটা সুন্দর ফুলে ফেঁপে উঠতো না সাজের পিঠা। এজন্য কতো মন খারাপ করেছি মায়ের ওপর!
আজ এই মুহূর্তে আমি ফরিদপুর থাকলে মাকে বলতাম, যেনতেনভাবে হলেও কয়েকটা চিতই পিঠা বানাও তো মা, আমি মুরগি কিনে নিয়ে আসছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৮